পশ্চিম মেদিনীপুর, 2 জুন: একদিনে 11 জনের শরীরে মিলল কোরোনা ভাইরাসের হদিস।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে যা সর্বোচ্চ। যদিওআক্রান্তদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক বলে জানা গিয়েছে। গত 48 ঘণ্টায় জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা 12। জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বাড়িঘাটাল মহকুমায়।
মেদিনীপুরমেডিকেল কলেজ গতকাল রাতে জেলা স্বাস্থ্য ভবন রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্টে 11 জনের কোরোনা পজিটিভ বলে জানা গিয়েছে।আক্রান্তদের মধ্যে ঘাটাল মহকুমার 6 জন, দাসপুরের 3 জন, মেদিনীপুর সদরের 1 জন, খড়গপুর মহকুমার 1 জন রয়েছে।তবে এদের বেশির ভাগটাইপরিযায়ী শ্রমিক।
জেলাবাসীরদাবি, পরিযায়ীশ্রমিকেরা ফেরায় দিনের পর দিন কোরোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে বিভিন্ন এলাকায়।বিভিন্ন রাজ্য থেকে ট্রেনে বাসে জেলায় আসছে ভিন রাজ্যের শ্রমিকেরা। প্রশাসনের তরফেতাঁদের কোয়ারানটাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে কোরোনা টেস্টও করানো হচ্ছেতাঁদের।
এরআগে জঙ্গলমহলের শালবনি ব্লকের একজন কোরোনায় আক্রান্ত হন। অপরদিকে সবং ব্লকের একজনআক্রান্ত হয়েছেন কোরোনায়। তবে, ওই ব্যক্তি অন্য জেলায় থাকায় জেলার সংখ্যা হিসেবে ধরা হবেনা।
উল্লেখ্য, ঘাটাল মহাকুমায় দিনের পর দিন কোরোনারোগীর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রতিদিনই প্রায় খোঁজ মিলছে আক্রান্তের। তবে, আগে যা সংখ্যা ছিল সেইসব সংখ্যাররেকর্ড ভেঙে দিয়ে আজ নতুন করে রেকর্ড গড়লো ঘাটাল মহকুমা। এর আগে ঘাটাল মহকুমায়একদিনে 9 জনআক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। মূলত ঘাটালের 10 নম্বর ওয়ার্ডের প্রতাপনগর এলাকা, দাসপুরের দুজন, সেকেন্দ্রাপুর, ঘোলাও মোহনচকে একজন করে আক্রান্তরখোঁজ মিলেছে। আজ সকালে সবং এর একজন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় জেলায় 48 ঘন্টায় মোট সংখ্যা দাঁড়ালো 12 জন।
এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, গত 24 ঘণ্টায়11 জনেরকোরোনা ধরা পড়েছে। কিন্তু সবং এর একজন ধরা পড়েছে যা অন্য জেলায় যার ফলে জেলারহিসেবে সংখ্যাটা ধরা হবেনা। এবিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেয়েছি।