দুর্গাপুর, 7 ডিসেম্বর: কলকাতার এক হোটেলের নীচ থেকে দুর্গাপুরের সুমন্ত ঘোষের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয় আজ সকালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয় (Youth Dead Body In Kolkata)। দুর্গাপুরের সুমন্তর রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দাবি (Borough Chairman demand investigation) জানালেন দুর্গাপুর পৌরনিগমের 2 নম্বর বরো চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার। দুর্গাপুরের বেনাচিতি সংলগ্ন 54 ফুট এলাকায় সুমন্তর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি ৷ সান্ত্বনা দেন সুমন্ত ঘোষের স্ত্রীকে ৷ দেন পাশে থাকার বার্তাও । দুর্গাপুরের ফরিদপুর ফাঁড়ির পুলিশও আসে সুমন্তর শ্বশুরবাড়িতে ৷ কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে।
দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর ভারতীতে থাকতেন সুমন্ত ৷ মাস ছয়েক হল কলকাতার একটি হোটেলে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ব্যক্তি ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই টালিগঞ্জ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন ৷ ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরে যুবকের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Body Found at Tollygunge : হোটেলের নিচ থেকে উদ্ধার দেহ, চাঞ্চল্য টালিগঞ্জে
মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন কলকাতায় আসছেন ৷ কলকাতায় আসার পরই তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখান থেকেও মৃত্যুর কারণ জানা যেতে পারে বলে পুলিশ মনে করছে ৷ যদি ওই ব্যক্তি আত্মহত্যাই করে থাকেন, তাহলে তার পিছনে কী কারণ রয়েছে তার উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি যে দু'জন নিরাপত্তারক্ষী দেহটি প্রথম দেখতে পান তাঁদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে টালিগঞ্জ থানার পুলিশ।