ETV Bharat / state

Price Rise Protest by Congress: সবজির বাজারে রাহুলের 'মহব্বত', ফিকে মোদির 'আচ্ছে দিন'

Protest Against Price Rise in Durgapur: মূল্যবূদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব পন্থা যুব কংগ্রেসের ৷ দুর্গাপুরে ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’ এবং ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ খুলে সবজি বিক্রি করল তারা ৷ যেখানে মোদির নামের দোকানের অর্ধেক দামে রাহুলের দোকান থেকে বিক্রি হল সবজি ৷

Price Rise Protest by Congress ETV BHARAT
Price Rise Protest by Congress
author img

By

Published : Jul 30, 2023, 3:31 PM IST

দুর্গাপুরের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সামিল যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব

দুর্গাপুর, 30 জুলাই: আদা, রসুন, কাঁচা লংকা ও টমেটোর দোকান দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি এবং রাহুল গান্ধি ! দুর্গাপুরে এমনই ছবি দেখা গেল ৷ তবে, সেই দোকানে রাহুল গান্ধি বা নরেন্দ্র মোদি নেই ৷ রয়েছে তাঁদের নাম ও স্লোগান ৷ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দুর্গাপুরের আশিস মার্কেটে যুব কংগ্রেসের তরফে এক অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয় ৷ সেখানেই ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’ এবং ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ খোলা হয়েছে ৷ ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ থেকে বর্তমান বাজারদরে বিক্রি হচ্ছে জিনিসপত্র ৷ আর ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’-এ এর অর্ধেক দামে পাওয়া যাচ্ছে আদা, রসুন, কাঁচা লংকা ও টেমটো ৷

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেমন আকাশ ছোঁয়া ৷ তেমনি গৃহস্থের রোজকার রান্নায় ব্যবহার হওয়া আদা, রসুন, কাঁচা লংকা ও টেমটোর মতো সবজির দামও ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ এই মূল্য়বৃদ্ধির বাজারে নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হল দুর্গাপুর যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ সেই সঙ্গে রাহুল গান্ধির সমর্থনেও শুরু হয়েছে প্রচার ৷ আর তাই প্রতিবাদ ও প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে দুই নেতার স্লোগান ৷ একদিকে রাহুল গান্ধির নামে ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’ ৷ আর অন্য়দিকে, নরেন্দ্র মোদির নামে ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ ৷

‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ থেকে বাজারমূল্যে আদা বিক্রি হচ্ছে 300 টাকা কেজি দরে ৷ রসুন 200 টাকা প্রতি কেজি ৷ অর্থাৎ, বর্তমানে বাজারে গেলে যে দামে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্র বিক্রি করছেন, সেই দামেই মোদির নামাকিংত দোকানে জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে ৷ আর রাহুল গান্ধির দোকান থেকে তার প্রায় অর্ধেক দামে একই জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই মানুষ সস্তা জিনিস কেনার জন্যই ভিড় করছেন ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’-এ ৷ আর ঠিক সেই সময় ফাঁকা পড়ে রয়েছে ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ ৷ সেখানে পায়জামা-পাঞ্জাবি ও জওহর কোট পরা দোকানি বসে বসে মাছি মারছেন ৷

আরও পড়ুন: টমেটোর মূল্যবৃদ্ধি মোদির ভুল নীতির কারণেই, তোপ কংগ্রেসের; শীঘ্রই কমার আশ্বাস কেন্দ্রের

তেমনি এক ক্রেতা সুমনা গুহ, যিনি রাহুল গান্ধির নামাকিংত দোকান থেকে সবজি কিনলেন ৷ তাঁর কথায়, "যেভাবে বাজারদর প্রতিদিন চড়ছে, তাতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ আর খেতে পাবে না ৷ সবজির দাম প্রতিদিন বাড়ছে ৷ আদা, কাঁচা লংকা, রসুন সবকিছুর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ৷" রবিবার বাজার করতে এসেছিলেন প্রবীণ গোরাচাঁদ আচার্য ৷ ভিড় থাকলেও তিনিও ‘রাহুল জির মোহাব্বত কি দুকানে’ লাইন দিলেন কম দামের জিনিস কিনবেন বলে ৷ তিনিও জানালেন, এই মূল্যবৃদ্ধিতে চরম সংকটে পড়েছেন ৷

পশ্চিম বর্ধমান কংগ্রেসের সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী জানান "এসেনশিয়াল কমোডিটিজ আইন তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ আর তার পর ফোড়েদের দখলে চলে গেছে দেশের বাজার ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নজরদারি নেই ৷ আমরা তাই এই বিজেপি সরকারের পতন চাইছি ৷ মানুষ আর কয়েকদিন পর খাবারের জন্য লড়াই করবে ৷" তবে, সেই পতন হবে কি হবে না ঠিক করবে জনতা ৷ আপাতত একদিন বাজারে গিয়ে অর্ধেক দামে আদা, কাঁচা লংকা, রসুন ও টমেটো কিনতে পেরে খুশি দুর্গাপুরের এই বাজারে আসা লোকজন ৷

দুর্গাপুরের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সামিল যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব

দুর্গাপুর, 30 জুলাই: আদা, রসুন, কাঁচা লংকা ও টমেটোর দোকান দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি এবং রাহুল গান্ধি ! দুর্গাপুরে এমনই ছবি দেখা গেল ৷ তবে, সেই দোকানে রাহুল গান্ধি বা নরেন্দ্র মোদি নেই ৷ রয়েছে তাঁদের নাম ও স্লোগান ৷ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দুর্গাপুরের আশিস মার্কেটে যুব কংগ্রেসের তরফে এক অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয় ৷ সেখানেই ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’ এবং ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ খোলা হয়েছে ৷ ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ থেকে বর্তমান বাজারদরে বিক্রি হচ্ছে জিনিসপত্র ৷ আর ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’-এ এর অর্ধেক দামে পাওয়া যাচ্ছে আদা, রসুন, কাঁচা লংকা ও টেমটো ৷

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেমন আকাশ ছোঁয়া ৷ তেমনি গৃহস্থের রোজকার রান্নায় ব্যবহার হওয়া আদা, রসুন, কাঁচা লংকা ও টেমটোর মতো সবজির দামও ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ এই মূল্য়বৃদ্ধির বাজারে নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হল দুর্গাপুর যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ সেই সঙ্গে রাহুল গান্ধির সমর্থনেও শুরু হয়েছে প্রচার ৷ আর তাই প্রতিবাদ ও প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে দুই নেতার স্লোগান ৷ একদিকে রাহুল গান্ধির নামে ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’ ৷ আর অন্য়দিকে, নরেন্দ্র মোদির নামে ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ ৷

‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ থেকে বাজারমূল্যে আদা বিক্রি হচ্ছে 300 টাকা কেজি দরে ৷ রসুন 200 টাকা প্রতি কেজি ৷ অর্থাৎ, বর্তমানে বাজারে গেলে যে দামে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্র বিক্রি করছেন, সেই দামেই মোদির নামাকিংত দোকানে জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে ৷ আর রাহুল গান্ধির দোকান থেকে তার প্রায় অর্ধেক দামে একই জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই মানুষ সস্তা জিনিস কেনার জন্যই ভিড় করছেন ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’-এ ৷ আর ঠিক সেই সময় ফাঁকা পড়ে রয়েছে ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ ৷ সেখানে পায়জামা-পাঞ্জাবি ও জওহর কোট পরা দোকানি বসে বসে মাছি মারছেন ৷

আরও পড়ুন: টমেটোর মূল্যবৃদ্ধি মোদির ভুল নীতির কারণেই, তোপ কংগ্রেসের; শীঘ্রই কমার আশ্বাস কেন্দ্রের

তেমনি এক ক্রেতা সুমনা গুহ, যিনি রাহুল গান্ধির নামাকিংত দোকান থেকে সবজি কিনলেন ৷ তাঁর কথায়, "যেভাবে বাজারদর প্রতিদিন চড়ছে, তাতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ আর খেতে পাবে না ৷ সবজির দাম প্রতিদিন বাড়ছে ৷ আদা, কাঁচা লংকা, রসুন সবকিছুর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ৷" রবিবার বাজার করতে এসেছিলেন প্রবীণ গোরাচাঁদ আচার্য ৷ ভিড় থাকলেও তিনিও ‘রাহুল জির মোহাব্বত কি দুকানে’ লাইন দিলেন কম দামের জিনিস কিনবেন বলে ৷ তিনিও জানালেন, এই মূল্যবৃদ্ধিতে চরম সংকটে পড়েছেন ৷

পশ্চিম বর্ধমান কংগ্রেসের সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী জানান "এসেনশিয়াল কমোডিটিজ আইন তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ আর তার পর ফোড়েদের দখলে চলে গেছে দেশের বাজার ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নজরদারি নেই ৷ আমরা তাই এই বিজেপি সরকারের পতন চাইছি ৷ মানুষ আর কয়েকদিন পর খাবারের জন্য লড়াই করবে ৷" তবে, সেই পতন হবে কি হবে না ঠিক করবে জনতা ৷ আপাতত একদিন বাজারে গিয়ে অর্ধেক দামে আদা, কাঁচা লংকা, রসুন ও টমেটো কিনতে পেরে খুশি দুর্গাপুরের এই বাজারে আসা লোকজন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.