ETV Bharat / state

"দেশ-বিদেশ জয় করলেও রাজ্যে সম্মান পেলাম কই", খেদ মহিলা সাইক্লিস্টের

সাইকেল চালিয়েই গোটা দেশ চষে ফেলেছেন তিনি ৷ এমন কী, বিদেশের মাটিও ঘুরে এসেছেন ৷ তবে তাঁর দুঃখ একটাই, রাজ্যের তরফে তেমন কোনও সম্মান পেলেন না ৷ বিশ্ব বাইসাইকেল দিবসে দুঃখপ্রকাশ করলেন মহিলা সাইক্লিস্ট প্রণতি দাস ৷

প্রণতি দাস
প্রণতি দাস
author img

By

Published : Jun 3, 2020, 6:56 PM IST

আসানসোল, 3 জুন : ছোটো থেকে সাইকেল চালিয়েই দেশ-বিদেশ ঘোরার স্বপ্ন ছিল ৷ বাকিদের মতো বড় হওয়ার সঙ্গে হারিয়ে যেতে দেননি নিজের স্বপ্নকে ৷ বড় হতেই স্বপ্ন পূরণে তাই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়া ৷ কখনও আসানসোল থেকে দিল্লি, কখনও বা চিত্তরঞ্জন থেকে মুম্বই ৷ আবার কখনও চুরুলিয়া থেকে বাংলাদেশ ৷ সাইকেল চালিয়েই গোটা দেশ চষে ফেলেছেন তিনি ৷ এমন কী, বিদেশের মাটিও ঘুরে এসেছেন ৷ তবে তাঁর দুঃখ একটাই, রাজ্যের তরফে তেমন কোনও সম্মান পেলেন না ৷ বিশ্ব বাইসাইকেল দিবসে দুঃখপ্রকাশ করলেন মহিলা সাইক্লিস্ট প্রণতি দাস ৷

প্রণতি দাসের বাবা ছিলেন DVC কর্মী ৷ তাই বড় হয়ে ওঠা মাইথন DVC কোয়ার্টারে ৷ বর্তমানে আসানসোলে থাকেন ৷ কর্মসূত্রে কখনও কখনও কলকাতাতেও থাকতে হয় ৷ ইতিহাসে অনার্স নিয়ে স্নাতক ৷ কিন্তু, ছোটোবেলা থেকেই শখ ছিল সাইকেলের ৷ সাইকেল নিয়ে ঘোরাটা যেন নেশা ৷ তাই সাইকেল নিয়ে দেশ-বিদেশ জয়ের স্বপ্নও দেখতেন ৷ কিন্তু, অন্যদের মতোই মেয়ে বলে বাড়ি থেকে পড়তে হয়েছিল বাধার মুখে ৷ তাদের বক্তব্য ছিল, একা মহিলা সাইকেল নিয়ে কোথায় যাবে ৷ কিন্তু, নিজে কখনও ভয় পাননি প্রণতি ৷ ছোটো বেলা থেকেই সাইকেল নিয়ে এক শহর থেকে আর এক শহর ঘুরে বেড়াতেন ৷

তাঁর প্রথম বড় সফর 1993 সালে ৷ বার্নপুর ভারতী ভবন থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন ৷ প্রায় 15 দিন সাইকেল চালিয়ে 1,770 কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছিলেন ৷ তখন থেকেই অ্যাডভেঞ্চার যেন পেয়ে বসে তাঁকে ৷ এরপরই চিত্তরঞ্জন রেল শহর থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দেন ৷ সেখানে সাংসদ সুনীল দত্তের বাড়িতেই ছিলেন প্রণতি দাস ৷ পরে হরিয়ানা, কর্নাটক, তেলাঙ্গানা প্রভৃতি রাজ্যে সাইকেল নিয়ে গিয়েছেন ৷

আগামীদিনে গিনেজ় ওয়ার্লড রেকর্ডে নাম তোলার লক্ষ্য প্রণতির

শুধু দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাইকেল নিয়ে ঘোরাই নয়, মৈত্রী যাত্রা করতে কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মভিটে চুরুলিয়া থেকে তিনি সাইকেল নিয়ে বাংলাদেশেও সফরে গিয়েছেন ৷ পেয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু পুরস্কার ৷ পেয়েছেন অনেক সম্মানও ৷ কিন্তু, কোথাও যেন দুঃখটা রয়েই গিয়েছে ৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা পেলেও খেদ জমে রয়েছে মনে ৷ প্রণতি বলেন, "যতটুকু সম্মান পাওয়ার কথা ছিল, ততটা আমি পাইনি ৷"

বর্তমানে রেসিং সাইকেলের অনেক দাম ৷ সামান্য বেসরকারি ফার্মে চাকরি করা প্রণতির পক্ষে সাইকেল কেনা বা সফরের খরচ ওঠানো সম্ভব হচ্ছে না ৷ আগামী দিনে বিদেশে সাইকেল সফর কিংবা দেশের জায়গায় যাওয়ার স্বপ্ন রয়েছে ৷ কিন্তু, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থের যোগান ৷ এমনই জানালেন তিনি ৷ আগামীদিনে গিনেজ় ওয়ার্লড রেকর্ডে নাম তোলার লক্ষ্য প্রণতির ৷ এই জন্য চায় সরকারের সহায়তা ৷

আসানসোল, 3 জুন : ছোটো থেকে সাইকেল চালিয়েই দেশ-বিদেশ ঘোরার স্বপ্ন ছিল ৷ বাকিদের মতো বড় হওয়ার সঙ্গে হারিয়ে যেতে দেননি নিজের স্বপ্নকে ৷ বড় হতেই স্বপ্ন পূরণে তাই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়া ৷ কখনও আসানসোল থেকে দিল্লি, কখনও বা চিত্তরঞ্জন থেকে মুম্বই ৷ আবার কখনও চুরুলিয়া থেকে বাংলাদেশ ৷ সাইকেল চালিয়েই গোটা দেশ চষে ফেলেছেন তিনি ৷ এমন কী, বিদেশের মাটিও ঘুরে এসেছেন ৷ তবে তাঁর দুঃখ একটাই, রাজ্যের তরফে তেমন কোনও সম্মান পেলেন না ৷ বিশ্ব বাইসাইকেল দিবসে দুঃখপ্রকাশ করলেন মহিলা সাইক্লিস্ট প্রণতি দাস ৷

প্রণতি দাসের বাবা ছিলেন DVC কর্মী ৷ তাই বড় হয়ে ওঠা মাইথন DVC কোয়ার্টারে ৷ বর্তমানে আসানসোলে থাকেন ৷ কর্মসূত্রে কখনও কখনও কলকাতাতেও থাকতে হয় ৷ ইতিহাসে অনার্স নিয়ে স্নাতক ৷ কিন্তু, ছোটোবেলা থেকেই শখ ছিল সাইকেলের ৷ সাইকেল নিয়ে ঘোরাটা যেন নেশা ৷ তাই সাইকেল নিয়ে দেশ-বিদেশ জয়ের স্বপ্নও দেখতেন ৷ কিন্তু, অন্যদের মতোই মেয়ে বলে বাড়ি থেকে পড়তে হয়েছিল বাধার মুখে ৷ তাদের বক্তব্য ছিল, একা মহিলা সাইকেল নিয়ে কোথায় যাবে ৷ কিন্তু, নিজে কখনও ভয় পাননি প্রণতি ৷ ছোটো বেলা থেকেই সাইকেল নিয়ে এক শহর থেকে আর এক শহর ঘুরে বেড়াতেন ৷

তাঁর প্রথম বড় সফর 1993 সালে ৷ বার্নপুর ভারতী ভবন থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন ৷ প্রায় 15 দিন সাইকেল চালিয়ে 1,770 কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছিলেন ৷ তখন থেকেই অ্যাডভেঞ্চার যেন পেয়ে বসে তাঁকে ৷ এরপরই চিত্তরঞ্জন রেল শহর থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দেন ৷ সেখানে সাংসদ সুনীল দত্তের বাড়িতেই ছিলেন প্রণতি দাস ৷ পরে হরিয়ানা, কর্নাটক, তেলাঙ্গানা প্রভৃতি রাজ্যে সাইকেল নিয়ে গিয়েছেন ৷

আগামীদিনে গিনেজ় ওয়ার্লড রেকর্ডে নাম তোলার লক্ষ্য প্রণতির

শুধু দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাইকেল নিয়ে ঘোরাই নয়, মৈত্রী যাত্রা করতে কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মভিটে চুরুলিয়া থেকে তিনি সাইকেল নিয়ে বাংলাদেশেও সফরে গিয়েছেন ৷ পেয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু পুরস্কার ৷ পেয়েছেন অনেক সম্মানও ৷ কিন্তু, কোথাও যেন দুঃখটা রয়েই গিয়েছে ৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা পেলেও খেদ জমে রয়েছে মনে ৷ প্রণতি বলেন, "যতটুকু সম্মান পাওয়ার কথা ছিল, ততটা আমি পাইনি ৷"

বর্তমানে রেসিং সাইকেলের অনেক দাম ৷ সামান্য বেসরকারি ফার্মে চাকরি করা প্রণতির পক্ষে সাইকেল কেনা বা সফরের খরচ ওঠানো সম্ভব হচ্ছে না ৷ আগামী দিনে বিদেশে সাইকেল সফর কিংবা দেশের জায়গায় যাওয়ার স্বপ্ন রয়েছে ৷ কিন্তু, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থের যোগান ৷ এমনই জানালেন তিনি ৷ আগামীদিনে গিনেজ় ওয়ার্লড রেকর্ডে নাম তোলার লক্ষ্য প্রণতির ৷ এই জন্য চায় সরকারের সহায়তা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.