ETV Bharat / state

TMC District Committee: জেলা কমিটিতে 'মলয় ঘনিষ্ঠ' না হওয়ায় বাদ পড়ার অভিযোগ

তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটি থেকে একাধিক বরিষ্ঠ নেতাকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ ৷ মলয় ঘনিষ্ট নন এমন নেতাদেরই মূলত বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ আর সেই নিয়ে জেলার একাংশ তৃণমূল নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ৷

TMC District Committee ETV BHARAT
TMC District Committee
author img

By

Published : Apr 12, 2023, 7:27 PM IST

দুর্গাপুর, 12 এপ্রিল: তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে মঙ্গলবার ৷ দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদ শূন্য ছিল ৷ শীর্ষনেতৃত্বের অনুমোদনের পর পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক ‘ডাকাবুকো’ নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নাম সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ৷ কিন্তু এখান থেকেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক ৷ অভিযোগ উঠেছে ‘মলয় ঘনিষ্ঠ’ নন এমন নেতারা ব্রাত্য রয়ে গেলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কমিটিতে ৷

1998 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যিনি দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের অভিভাবক হয়েছিলেন ৷ সেই অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের দীর্ঘদিনের নেতা তথা বর্তমানে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল, দুর্গাপুর পৌরনিগমের ডেপুটি-মেয়র, বর্তমানে পুরো প্রশাসক মণ্ডলীর ডেপুটি চেয়ারপার্সন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পৌরনিগমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পাল, তাঁরা প্রত্যেকেই নতুন জেলা কমিটিতে উপেক্ষিত থেকে গেলেন ৷

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার তাঁর দলের পুরনো কর্মীদেরকে সম্মান জানানোর কথা বলেন ৷ তাঁদের আবারও রাজনীতির মূল ময়দানে ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছেন ৷ কিন্তু, তার পরেও জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা নেতারা কেন ব্রাত্য থেকে গেলেন নতুন জেলা কমিটিতে ? সেই প্রশ্ন উঠছে ৷ সামনেই পঞ্চায়েত ও দুর্গাপুর পৌরনিগম নির্বাচন ৷ এতদিন অপূর্ব মুখোপাধ্যায় দুর্গাপুর পৌরনিগমের মেয়র দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ এমনকি দুর্গাপুরের দু’বারের প্রাক্তন বিধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৷

পুরনো তৃণমূল নেতাদের বাদ দেওয়া নিয়ে কার্যত ক্ষোভ দেখা গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাংশ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ৷ উল্লেখ্য, তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্ন থেকে দলের অন্যতম মুখ হিসেবে কাজ করেছেন ৷ তাঁর মতো অভিজ্ঞ নেতারও জায়গা হয়নি জেলা কমিটিতে ৷ শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক মাটিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, নতুন জেলা কমিটিতে তাঁরা স্থান পেয়েছেন, যাঁরা মন্ত্রী মলয় ঘটকের ‘ঘনিষ্ঠ’ ৷ জেলা কমিটিতে এমন অনেকের নাম রয়েছেন যাঁরা মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই তথা আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের কাছের ৷ মূলত অভিজিৎ ঘটকের নির্দেশেই তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সংগঠন সামলাবেন ৷

আরও পড়ুন: 'সর্বভারতীয় ভাইপো এবার বাংলার ভাইপোতে পরিণত হয়েছেন'- কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের

তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটিতে ব্রাত্যদের অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ৷ কিন্তু, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ঠিক উলটোটা ৷ একজন ব্যক্তিকে একাধিক পদে বসানোর অভিযোগ উঠেছে ৷ সেই নিয়েই শিল্পাঞ্চল আসানসোল ও দুর্গাপুরে পুরনো তৃণমূল নেতাদের অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভ জন্মেছে ৷ জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই ক্ষোভের আঁচ আগামী পঞ্চায়েত এবং পৌরনিগম ভোটে পড়তে পারে ৷ উল্লেখ্য, মলয় ঘনিষ্ঠরা তৃণমূল কংগ্রেসের মূল সংগঠনে রয়েছেন তাই না ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত শাখা সংগঠনগুলিতেও একই ছবি বলে অভিযোগ বিক্ষুব্ধদের ৷

দুর্গাপুর, 12 এপ্রিল: তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে মঙ্গলবার ৷ দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদ শূন্য ছিল ৷ শীর্ষনেতৃত্বের অনুমোদনের পর পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক ‘ডাকাবুকো’ নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নাম সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ৷ কিন্তু এখান থেকেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক ৷ অভিযোগ উঠেছে ‘মলয় ঘনিষ্ঠ’ নন এমন নেতারা ব্রাত্য রয়ে গেলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কমিটিতে ৷

1998 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যিনি দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের অভিভাবক হয়েছিলেন ৷ সেই অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের দীর্ঘদিনের নেতা তথা বর্তমানে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল, দুর্গাপুর পৌরনিগমের ডেপুটি-মেয়র, বর্তমানে পুরো প্রশাসক মণ্ডলীর ডেপুটি চেয়ারপার্সন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পৌরনিগমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পাল, তাঁরা প্রত্যেকেই নতুন জেলা কমিটিতে উপেক্ষিত থেকে গেলেন ৷

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার তাঁর দলের পুরনো কর্মীদেরকে সম্মান জানানোর কথা বলেন ৷ তাঁদের আবারও রাজনীতির মূল ময়দানে ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছেন ৷ কিন্তু, তার পরেও জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা নেতারা কেন ব্রাত্য থেকে গেলেন নতুন জেলা কমিটিতে ? সেই প্রশ্ন উঠছে ৷ সামনেই পঞ্চায়েত ও দুর্গাপুর পৌরনিগম নির্বাচন ৷ এতদিন অপূর্ব মুখোপাধ্যায় দুর্গাপুর পৌরনিগমের মেয়র দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ এমনকি দুর্গাপুরের দু’বারের প্রাক্তন বিধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৷

পুরনো তৃণমূল নেতাদের বাদ দেওয়া নিয়ে কার্যত ক্ষোভ দেখা গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাংশ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ৷ উল্লেখ্য, তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্ন থেকে দলের অন্যতম মুখ হিসেবে কাজ করেছেন ৷ তাঁর মতো অভিজ্ঞ নেতারও জায়গা হয়নি জেলা কমিটিতে ৷ শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক মাটিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, নতুন জেলা কমিটিতে তাঁরা স্থান পেয়েছেন, যাঁরা মন্ত্রী মলয় ঘটকের ‘ঘনিষ্ঠ’ ৷ জেলা কমিটিতে এমন অনেকের নাম রয়েছেন যাঁরা মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই তথা আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের কাছের ৷ মূলত অভিজিৎ ঘটকের নির্দেশেই তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সংগঠন সামলাবেন ৷

আরও পড়ুন: 'সর্বভারতীয় ভাইপো এবার বাংলার ভাইপোতে পরিণত হয়েছেন'- কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের

তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটিতে ব্রাত্যদের অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ৷ কিন্তু, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ঠিক উলটোটা ৷ একজন ব্যক্তিকে একাধিক পদে বসানোর অভিযোগ উঠেছে ৷ সেই নিয়েই শিল্পাঞ্চল আসানসোল ও দুর্গাপুরে পুরনো তৃণমূল নেতাদের অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভ জন্মেছে ৷ জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই ক্ষোভের আঁচ আগামী পঞ্চায়েত এবং পৌরনিগম ভোটে পড়তে পারে ৷ উল্লেখ্য, মলয় ঘনিষ্ঠরা তৃণমূল কংগ্রেসের মূল সংগঠনে রয়েছেন তাই না ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত শাখা সংগঠনগুলিতেও একই ছবি বলে অভিযোগ বিক্ষুব্ধদের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.