ETV Bharat / state

রাঢ়বঙ্গের সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি আগলে রেখেছে নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজ - পশ্চিম বর্ধমান

180 বছর আগে 1248 বঙ্গাব্দে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ধবনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় । উনিশ শতকে তাঁর গানের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন রাঢ়বঙ্গের সাধক কবি ৷ প্রতিষ্ঠা করেন নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজ ৷ সেই ধারা আজও বয়ে চলেছেন কবির অনুগামীরা ৷ নিয়মিত কীর্তনের অনুষ্ঠান করতেন তাঁরা ৷ তবে করোনার জন্য এখন সেসব বন্ধ ৷ অবশ্য নিয়মিত রেওয়াজ করে চলেছেন তাঁরা ৷

রাঢ়বঙ্গের সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়
রাঢ়বঙ্গের সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়
author img

By

Published : Jul 4, 2021, 8:00 PM IST

দুর্গাপুর, 4 জুলাই : উনিশ শতকে রাঢ়বঙ্গের সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় তাঁর গানের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন ৷ সেই গান আজও শোনা যায় কাঁকসা এবং লাউদোহা, ফরিদপুর ব্লকের আনাচে কানাচে । জামবন এলাকায় নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের সংগীত চর্চার গ্রামে আজও মাটির বাড়িতে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছেন নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজের মানুষজন ।

দুর্গাপুরের কাঁকসার জামবনের ক্ষুদ্র গ্রামে ছিল সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের সংগীত চর্চার জগৎ ৷ এখনও বিভিন্ন স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সেই গ্রামে ৷ নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে গড়ে ওঠে নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজ ৷ কীর্তন গানের দল হিসাবেই পরিচিত তারা ৷ সাধক কবির সংগীত ধারা অব‍্যাহত রাখতে গ্রামের খড়ের ঘরে প্রত্যহ রীতিমতো চলে কীর্তনের রেওয়াজ ৷ সারা বছর ধরে কীর্তন গানের অনুষ্ঠান করা হয় ৷ তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত সেসব বন্ধ ৷

বিভিন্ন ভাবে নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য সরকার ৷ নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে মহাবিদ্যালয় তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷ নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের সেই গান-বাজনার ধারা বজায় রাখতে জামবন এলাকায় খড়ের ঘরের মধ্যে কেনারাম গোপ এবং তাঁর কীর্তন সম্প্রদায় সকাল-সন্ধ্যা রেওয়াজে বসেন । পাশাপাশি আরও অনেকেই রেওয়াজ করেন ৷

1248 বঙ্গাব্দে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ধবনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় । ধবনীর পাশ্ববর্তী এলাকা জামবনে সংগীত শিক্ষার পাঠ নেন ৷ পরবর্তীতে জামবন গ্রামেই কৃষ্ণযাত্রা গানের আসর বসাতেন । দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতেন কৃষ্ণযাত্রা শোনার জন্য । সেখান থেকেই নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজ গড়ে উঠেছিল জামবনে ৷ নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের গানের ধারা অব্যাহত রাখতে আজও সঙ্গীত নিয়ে চর্চা চলে আসছে ওই এলাকায় ।

রাঢ়বঙ্গের সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের গানের ধারা বজায় রেখেছেন কাঁকসা এবং লাউদোহা, ফরিদপুরের বাসিন্দা তাঁর অনুগামীরা ৷

বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে গত দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে উৎসব-অনুষ্ঠান ৷ বন্ধ রয়েছে কীর্তন গানও ৷ তবে বন্ধ নেই সাধনা ৷ যাতে রেওয়াজ হারিয়ে না যায় তার জন্য রীতিমতো বাড়িতে বসেই চলছে অনুশীলন । কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শিল্পীরা রাজ্য সরকারের ভাতা পাচ্ছেন ৷ তবে এখনও যে সমস্ত শিল্পীরা ভাতা পাননি, তাঁদের দিকেও নজর রয়েছে ৷ তাঁদের যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় সে জন্য রাজ্য সরকার সচেষ্ট আছে ।

আরও পড়ুন : খুলে গেল সোনাঝুরির খোয়াই হাট, খুশি ব্যবসায়ী থেকে পর্যটকরা

দুর্গাপুর, 4 জুলাই : উনিশ শতকে রাঢ়বঙ্গের সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় তাঁর গানের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন ৷ সেই গান আজও শোনা যায় কাঁকসা এবং লাউদোহা, ফরিদপুর ব্লকের আনাচে কানাচে । জামবন এলাকায় নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের সংগীত চর্চার গ্রামে আজও মাটির বাড়িতে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছেন নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজের মানুষজন ।

দুর্গাপুরের কাঁকসার জামবনের ক্ষুদ্র গ্রামে ছিল সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের সংগীত চর্চার জগৎ ৷ এখনও বিভিন্ন স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সেই গ্রামে ৷ নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে গড়ে ওঠে নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজ ৷ কীর্তন গানের দল হিসাবেই পরিচিত তারা ৷ সাধক কবির সংগীত ধারা অব‍্যাহত রাখতে গ্রামের খড়ের ঘরে প্রত্যহ রীতিমতো চলে কীর্তনের রেওয়াজ ৷ সারা বছর ধরে কীর্তন গানের অনুষ্ঠান করা হয় ৷ তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত সেসব বন্ধ ৷

বিভিন্ন ভাবে নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য সরকার ৷ নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে মহাবিদ্যালয় তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷ নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের সেই গান-বাজনার ধারা বজায় রাখতে জামবন এলাকায় খড়ের ঘরের মধ্যে কেনারাম গোপ এবং তাঁর কীর্তন সম্প্রদায় সকাল-সন্ধ্যা রেওয়াজে বসেন । পাশাপাশি আরও অনেকেই রেওয়াজ করেন ৷

1248 বঙ্গাব্দে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ধবনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় । ধবনীর পাশ্ববর্তী এলাকা জামবনে সংগীত শিক্ষার পাঠ নেন ৷ পরবর্তীতে জামবন গ্রামেই কৃষ্ণযাত্রা গানের আসর বসাতেন । দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতেন কৃষ্ণযাত্রা শোনার জন্য । সেখান থেকেই নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজ গড়ে উঠেছিল জামবনে ৷ নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের গানের ধারা অব্যাহত রাখতে আজও সঙ্গীত নিয়ে চর্চা চলে আসছে ওই এলাকায় ।

রাঢ়বঙ্গের সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের গানের ধারা বজায় রেখেছেন কাঁকসা এবং লাউদোহা, ফরিদপুরের বাসিন্দা তাঁর অনুগামীরা ৷

বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে গত দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে উৎসব-অনুষ্ঠান ৷ বন্ধ রয়েছে কীর্তন গানও ৷ তবে বন্ধ নেই সাধনা ৷ যাতে রেওয়াজ হারিয়ে না যায় তার জন্য রীতিমতো বাড়িতে বসেই চলছে অনুশীলন । কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শিল্পীরা রাজ্য সরকারের ভাতা পাচ্ছেন ৷ তবে এখনও যে সমস্ত শিল্পীরা ভাতা পাননি, তাঁদের দিকেও নজর রয়েছে ৷ তাঁদের যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় সে জন্য রাজ্য সরকার সচেষ্ট আছে ।

আরও পড়ুন : খুলে গেল সোনাঝুরির খোয়াই হাট, খুশি ব্যবসায়ী থেকে পর্যটকরা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.