আসানসোল, 10 এপ্রিল: ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু দুই বিজেপি নেতার ৷ বরিবার রাতে বারাবনির আমাডিহা পেট্রোলপাম্প এলকায় ঘটনাটি ঘটেছে ৷ মৃত দুই বিজেপি নেতার নাম বাবলু সিং (34), মহেন্দ্র সিং (32) । তাঁরা বাইকে করে আসানসোল ফিরছিলেন ৷ ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপি নেতারা । ঘটনাটিকে নিছক দুর্ঘটনা মানতে নারাজ বিজেপির জেলা নেতৃত্ব । তাদের মতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে ষড়যন্ত্র করেই এই দুই লড়াকু বিজেপি নেতাকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ।
বিজেপির বারাবনি মণ্ডল (2) এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বাবলু সিং । মহেন্দ্র সিং ছিলেন ওই মণ্ডলেরই সহ-সভাপতি । দুজনেই রবিবার রাতে মোটর সাইকেল নিয়ে আসানসোল থেকে ফিরছিলেন । আসানসোল-গৌরান্ডী পথে আমডিহা পেট্রোল পাম্পের কাছে একটি ডাম্পার তাদের ধাক্কা মেরে পালায় । গুরুতর আহত অবস্থায় বাবলু সিংকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । অন্যদিকে, মহেন্দ্র সিংকে আসানসোলের সেনর্যালে রোডে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁরও মৃত্যু হয় । এই ঘটনার খবর বিজেপি নেতারা আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভিড় জমান । হাসপাতালে আসেন জেলা সভাপতি দিলীপ দে, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে আরও অনেকে ।
আরও পড়ুন: 'এখনই শুধরে যান, নাহলে কড়া শাস্তি অপেক্ষা করছে', দলীয় নেতাদের হুঁশিয়ারি উদয়নের
এই প্রসঙ্গেই বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে বলেন, "এই ঘটনাই আমি রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি । পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমাদের লড়াকু কার্যকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া, এটা কোনও স্বাভাবিক দুর্ঘটনা নয় । তদন্ত করলে নিশ্চয় এর সত্যতা বেরোবে । তবে রাজ্য প্রশাসন-এর তদন্ত করে কতটা সত্য বের করতে পারে জানি না । তাই ওদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এটার সিবিআই তদন্ত চাইছি ।"
এই নেতার কথার রেশ টেনেই বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন "বারাবনি অঞ্চলে তৃণমূলের চোখের চোখ রেখে রাজনীতি করতেন বাবলু সিং । ওঁর জন্যই বিজেপির বারাবনি অঞ্চলে সংগঠন মজবুত হয়ে উঠেছিল । তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরিয়ে দেওয়া হল বাবলু সিংকে । এটা সাধারণ দুর্ঘটনা নয় । এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত থাকাটাও কোনও আশ্চর্য কিছু নয় ।"