দুর্গাপুর, 6 জুলাই : কাঁকসা থানার গোপালপুরে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালানো হল ৷ প্রায় কয়েকশো সশস্ত্র আদিবাসীর সঙ্গে পঞ্চায়েত কর্মীদের প্রথমে বচসা ও পরে ধস্তাধস্তি হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছে কাঁকসা থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷
কাঁকসা থানা এলাকার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 8-10টি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম আছে । গোপালপুর থেকে সারেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় 8 কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার দু'পাশে এই আদিবাসী গ্রামগুলি রয়েছে । আজ সকালে 30-40 জন আদিবাসী ওই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে আসেন । তখন প্রধান জয়জিৎ মণ্ডল তাঁদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেন ৷ জানান, তিনি পাঁচজনের সঙ্গেই কথা বলবেন ৷ তাঁর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই আদিবাসীদের সঙ্গে বচসা হয় পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েতের এক আধিকারিক সুব্রত মজুমদারের ।
পঞ্চায়েতের অভিযোগ, এরপরই আদিবাসীরা মারমুখী হয়ে সুব্রত মজুমদারকে মারধর করতে থাকে । তাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়জিৎ মণ্ডল । আদিবাসিদের অভিযোগ, এরপরই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রমেন মণ্ডলের নেতৃত্বে একদল লোক আদিবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । 7-8 জন আদিবাসীকে বেধড়ক মারধর করা হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পুলিশ আসে । আহতদের পানাগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ।
এরপর হঠাৎই কাঁকসার আদিবাসীরা দলে দলে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় । পঞ্চায়েত কর্মীরা ভয়ে পালিয়ে যান । তির, ধনুক,বাঁশ, লাঠি নিয়ে দিনভর ভাঙচুর চালানো হয় । এরপর ঘটনাস্থানে পুলিশ এসে তাদের ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েও ব্যর্থ হয় । পুলিশের সঙ্গেও তাদের দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয় ।