জামুড়িয়া, 23 মার্চ : সকালেই জামুড়িয়ার বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতারা খোদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার মুখে সেই জেলা সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতেই মুনমুন সেনের প্রচার সভায় দলীয় কোন্দল স্পষ্ট হল। কুলটির মিঠানি গ্রামে তৃণমূলের কর্মিসভায় কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে সরাসরি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে গেলেন। অভিযোগ করলেন দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "গতরাত থেকে বড় চক্রান্ত চলছে। কুলটির এক কাউন্সিলর, অন্যান্য কাউন্সিলরদের সভায় আসতে বাধা দিচ্ছে। জেনে রাখবেন এই দল তৃণমূল কংগ্রেসের। আমরা দল করি, কাউন্সিলরও তৈরি করতে পারি। কেউ যদি ভেবে থাকে কাউন্সিলরকে বসিয়ে দেব, কুলটি থেকে হারিয়ে দেব ভুল কথা। কুলটি চলবে কুলটির মত। কুলটি সবাইকে পথ দেখায়। কেউ বদনাম করতে এলে কোনও মতেই মেনে নেওয়া হবে না।" এরপরেই মঞ্চে মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং জেলা সভাপতি শিবদাসন দাশুকে সামনে রেখেই বলেন, "গত নির্বাচনের কাউন্সিলরদের টিকিট আমরাই দিয়েছিলাম, অন্য কেউ নয়। এবারও সেই টিকিট আমরাই দেব।"
পাশাপাশি কুলটি থেকে মুনমুন সেনকে প্রচুর ভোটে লিড দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। তবে, তাঁর বক্তব্যে সরাসরি উঠে এল দলের গোষ্ঠীকোন্দলের কথা। উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের কথার রেস ধরে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, "আমাদের দলের একজন নেত্রী। তিনি হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা যারা কাউন্সিলর, বিধায়ক, মন্ত্রী হয়েছি তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদের হাত যার মাথা থেকে সরে যায়, তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।"
দলীয় সূত্রে খবর, কুলটির তৃণমূল কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্যর সঙ্গে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব অনেকদিনের। আজ অভিজিৎ আচার্যকে মঞ্চে দেখা যায়নি। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসার পর থেকেই অভিজিৎ আচার্যকে নিয়ে নানা সমস্যা দেখা গেছিল। উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বারকয়েক তাঁর বিরোধিতাও করেছেন।
১৯৯২ সালে এই মিঠানি গ্রামেই একটি বিচিত্রানুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন মুনমুন সেন। আজকের সভায় তিনি বলেন, "আমি সেইরকম অভিনেত্রী নয় যে আসব, হাত দেখাব, আদর করব আর চলে যাব। আমি আসব। থাকব তোমাদের পাশে।"