আসানসোল , 14 মে : করোনা পরিস্থিতিতে ওষুধ না পাওয়ার ভয় মানুষের মনে জাঁকিয়ে বসেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরেই আসানসোলে গুজব ওঠে , কোভিড মোকাবিলায় যে দশটি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ , তা মিলছে না ৷ স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়়ায় আসানসোলে ৷ তাই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনিক কর্তাদের একটি দল আসানসোলের বিভিন্ন ওষুধ দোকান ঘুরে দেখেন ৷ যদিও দোকানগুলির মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানান সব গুজব মিথ্যে ৷
বেশ কিছুদিন ধরেই আসানসোলে প্রয়োজনীয় ওষুধ না মেলার গুজব ওঠে ৷ সেই গুজব সত্যি না মিথ্যে তা খতিয়ে দেখতে আসানসোলের জেলা হাসপাতালের নিকটবর্তী বিভিন্ন ওষুধ দোকান ঘুরে দেখেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের একটি দল ৷ যেখানে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের নোডাল অফিসার , জেলার পুলিশ সুপার ও হর্টিকালচার অফিসার ৷ গুজব ওঠে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেশকিছু ব্যবসায়ী ওষুধের কালোবাজারি করছে ৷ গুজব খতিয়ে দেখতেই তাঁদের এই অভিযান ৷ জানালেন নোডাল অফিসার রাজিবুল আলম ৷
তিনি আরও জানান, " আসানসোলের জেলা হাসপাতালের আশেপাশের চার পাঁচটি দোকান আমরা ঘুরে দেখি ৷ দোকানগুলির মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলার পর বুঝতে পারি যে দশটি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের অভাবের গুজব উঠছিল তা মিথ্যে ৷ পাশাপাশি আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি ওষুধের অভাব হলে সঙ্গে সঙ্গে তা আমাকে জানাতে ৷ যত দ্রুত সম্ভব , আমি দায়িত্ব নিয়ে সেই ওষুধের জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা করব ৷ "
আরও পড়ুন : সরকারি হাসপাতালে নার্সের লালসার শিকার কোভিড রোগী ! 24 ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু
জেলা পুলিশ সুপার জানান, ওষুধ দোকানের মালিকদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ না দিতে ৷ কিন্তু টেলিমেডিসিনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ দেখে ওষুধ দেওয়া যাবে ৷ সব মানুষ যাতে প্রয়োজনের সময় ওষুধ পায় , সেজন্যই এই অভিযান ৷