ETV Bharat / state

রাজনৈতিক যুদ্ধ শেষ, এবার শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছেন সুরিন্দর

বাড়ির জামাই BJP প্রার্থী । দুই ছেলে তৃণমূলের বড় নেতা । স্বভাবতই পরিবারের মধ্যে একটা গুমোট বাতাস বই ছিল । তাই স্বাভাবিক ভাবেই জেতার পর প্রশ্নটা উড়ে এসেছিল সুরিন্দরকে লক্ষ্য করে । প্রশ্ন ছিল, এ বার কি শ্বশুরবাড়ি যাবেন ? শোনা মাত্রই চটজলদি জবাব, ' এবার অবশ্যই যাব' ।

সুরিন্দর
author img

By

Published : May 24, 2019, 6:19 PM IST

আসানসোল, 24 মে : তাঁর দুই শ্যালকই তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা । রোড শো'র জন্য যে গাড়ি ছিল, সেই গাড়িতেই দাঁড়িয়েছিলেন । এমন কী শ্বশুরবাড়ির সামনের চায়ের দোকানেও গেছিলেন । চুমুকও দিয়েছিলেন চায়ে। পরিচিতদের দেখে কথাও বলেছিলেন । কিন্তু, সবই করেছিলেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে । আর তাই হয়তো প্রচারে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির চৌকাঠ মাড়াননি । পাছে কোনও বিতর্ক হয় । কিন্তু, জয়ের পরই বর্ধমান-দুর্গাপুরের BJP সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার ঘোষণা, ''এ বার জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি যাব ।''

দার্জিলিং থেকে তাঁকে দুর্গাপুরে প্রার্থী করায় দলের মধ্যেই অনেক জল্পনা তৈরি হয়েছিল । তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের মমতাজ সংঘমিতা । তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিয়ে অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন । গতকাল ভোটগণনার সময় প্রথম থেকেই চলছিল সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর । যদিও শেষ পর্যন্ত কয়েক হাজার ভোটে জয়ী হন সুরিন্দর ।

জামাই BJP প্রার্থী । বাড়ির দুই ছেলে তৃণমূলের নেতা । স্বভাবতই পরিবারের মধ্যে একটা গুমোট বাতাস বইছিল । তাই স্বাভাবিক ভাবেই জেতার পর প্রশ্নটা উড়ে এসেছিল সুরিন্দরকে লক্ষ্য করে । প্রশ্ন ছিল, এ বার কি শ্বশুরবাড়ি যাবেন ? শোনা মাত্রই চটজলদি জবাব, "এবার অবশ্যই যাব ।"

সালটা তখন ১৯৭৪ । রানিগঞ্জ টিডিবি কলেজের ছাত্র সুরিন্দর । তখনই আলাপ দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকার মেয়ে মনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে । প্রথম থেকেই সম্পর্কের বিষয়ে ভ্রূ কুঁচকে ছিল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য বরফ গলে । এখন সম্পর্ক মোটের উপর স্বাভাবিকই । মনিকার দুই ভাই তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নেতা । তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক । অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ও এলাকায় পরিচিত তৃণমূল নেতা হিসেবেই । বর্তমানে তিনি দুর্গাপুর নগরনিগমের মেয়র পরিষদ সদস্যও ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, ভোট প্রচারের সময় শ্বশুরবাড়ি গেলে বিতর্ক হতে পারে । সেই আশঙ্কাতেই এড়িয়ে গেছিলেন শ্বশুরবাড়়ির দরজা । নিজে না গেলেও প্রচারের সময় সঙ্গে থাকা ছেলেকে মামার বাড়িতে পাঠিয়েছিলে স্থানীয় BJP প্রার্থী । এমন কী বাড়ির জামাই এসেছেন শুনে সুরিন্দরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন অমিতাভর স্ত্রী ও ছেলেও ।

শ্বশুরবাড়ির লোকজন যাই বলুন, পাড়ার জামাই জয়ী হওয়ায় খুশি এলাকার লোকজন । খুশি সুরিন্দর নিজেও । রাজনৈতির প্রতিযোগিতা থাকলেও পারিবারিক বন্ধন ভুলতে চান না তিনি । তাই ভোট জয়ের পর এবার জামাইষষ্ঠীতে যাওয়ার কথাও জানিয়ে দিলেন ।

আসানসোল, 24 মে : তাঁর দুই শ্যালকই তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা । রোড শো'র জন্য যে গাড়ি ছিল, সেই গাড়িতেই দাঁড়িয়েছিলেন । এমন কী শ্বশুরবাড়ির সামনের চায়ের দোকানেও গেছিলেন । চুমুকও দিয়েছিলেন চায়ে। পরিচিতদের দেখে কথাও বলেছিলেন । কিন্তু, সবই করেছিলেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে । আর তাই হয়তো প্রচারে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির চৌকাঠ মাড়াননি । পাছে কোনও বিতর্ক হয় । কিন্তু, জয়ের পরই বর্ধমান-দুর্গাপুরের BJP সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার ঘোষণা, ''এ বার জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি যাব ।''

দার্জিলিং থেকে তাঁকে দুর্গাপুরে প্রার্থী করায় দলের মধ্যেই অনেক জল্পনা তৈরি হয়েছিল । তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের মমতাজ সংঘমিতা । তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিয়ে অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন । গতকাল ভোটগণনার সময় প্রথম থেকেই চলছিল সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর । যদিও শেষ পর্যন্ত কয়েক হাজার ভোটে জয়ী হন সুরিন্দর ।

জামাই BJP প্রার্থী । বাড়ির দুই ছেলে তৃণমূলের নেতা । স্বভাবতই পরিবারের মধ্যে একটা গুমোট বাতাস বইছিল । তাই স্বাভাবিক ভাবেই জেতার পর প্রশ্নটা উড়ে এসেছিল সুরিন্দরকে লক্ষ্য করে । প্রশ্ন ছিল, এ বার কি শ্বশুরবাড়ি যাবেন ? শোনা মাত্রই চটজলদি জবাব, "এবার অবশ্যই যাব ।"

সালটা তখন ১৯৭৪ । রানিগঞ্জ টিডিবি কলেজের ছাত্র সুরিন্দর । তখনই আলাপ দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকার মেয়ে মনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে । প্রথম থেকেই সম্পর্কের বিষয়ে ভ্রূ কুঁচকে ছিল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য বরফ গলে । এখন সম্পর্ক মোটের উপর স্বাভাবিকই । মনিকার দুই ভাই তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নেতা । তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক । অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ও এলাকায় পরিচিত তৃণমূল নেতা হিসেবেই । বর্তমানে তিনি দুর্গাপুর নগরনিগমের মেয়র পরিষদ সদস্যও ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, ভোট প্রচারের সময় শ্বশুরবাড়ি গেলে বিতর্ক হতে পারে । সেই আশঙ্কাতেই এড়িয়ে গেছিলেন শ্বশুরবাড়়ির দরজা । নিজে না গেলেও প্রচারের সময় সঙ্গে থাকা ছেলেকে মামার বাড়িতে পাঠিয়েছিলে স্থানীয় BJP প্রার্থী । এমন কী বাড়ির জামাই এসেছেন শুনে সুরিন্দরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন অমিতাভর স্ত্রী ও ছেলেও ।

শ্বশুরবাড়ির লোকজন যাই বলুন, পাড়ার জামাই জয়ী হওয়ায় খুশি এলাকার লোকজন । খুশি সুরিন্দর নিজেও । রাজনৈতির প্রতিযোগিতা থাকলেও পারিবারিক বন্ধন ভুলতে চান না তিনি । তাই ভোট জয়ের পর এবার জামাইষষ্ঠীতে যাওয়ার কথাও জানিয়ে দিলেন ।

Intro:সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া প্রতিক্রিয়াBody:সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া প্রতিক্রিয়াConclusion:সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া প্রতিক্রিয়া
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.