দুর্গাপুর, 26 নভেম্বর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে 500 টাকা দিচ্ছেন, বিজেপি (BJP) এলে ঘরের লক্ষ্মীদের 2 হাজার টাকা করে দেবে । দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বাড়িতে দলত্যাগী দুই নেতাকে ফের দলে যোগ করিয়ে এই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ।
আসানসোল উত্তরের বিজেপির মণ্ডল তিনের সভাপতি সুদীপ চৌধুরী ও জেলা বিজেপির তৎকালীন অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন চৌবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিয়েছিলেন ৷ এদিন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বাড়িতে এই দুই দলত্যাগীর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিয়ে তাঁদেরকে স্বাগত জানান সুকান্ত মজুমদার ৷
সেখানেই তিনি বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকল্প আমাদের দলীয় ইস্তাহারে ছিল ৷ দুর্ভাগ্যবশত আমরা মানুষের কাছে এই ইস্তাহার পৌঁছাতে পারিনি ৷ সুযোগটাকে কাজে লাগান তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ 500 টাকা করে ভিক্ষে দিচ্ছেন আর আমরা ক্ষমতাতে এলে 2000 টাকা করে দেব এই প্রকল্পে ৷ সঙ্গে বেকারদের চাকরি দেব ।’’ একই সঙ্গে তিনি এদিন আবার ডিসেম্বর ডেডলাইনের বিতর্ক ফের উস্কে দিয়েছেন ৷ বলেছেন, ‘‘পিঠে খেলে পেটে সয় ৷ তৃণমূলও বুঝবে এই ডিসেম্বরে কী হতে চলেছে এই সরকারের ।’’
আজ দুর্গাপুরের ঝাঁঝরা কোলিয়ারি মাঠে দলের কেন্দ্রীয় নেতা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) এক জনসভায় যোগ দেন, সেখানে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ, মান, অভিমান নিয়ে জানতে চান কেন্দ্রীয় স্তরের বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী । দলীয় কর্মীরা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে কাছে পেয়ে জেলা নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন ৷
তাঁরা অভিযোগ করেন, দলের নেতারা কেউ ফোন ধরে না৷ পাশে পাওয়া যায় না ৷ ভোট পরবর্তী হিংসার পর দলীয় কর্মীরা হিংসার শিকার হলেও দলীয় নেতাদের পাশে পাননি ৷ দলীয় কর্মীদের এই ক্ষোভ বিক্ষোভে বেশ বিড়ম্বনার মাঝে পড়ে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে জেলাস্তরের নেতারা ৷ উত্তরে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘মানুষ তৃণমূলের সন্ত্রাসে যেমন ভয়ে ছিল, তখনকার পরিস্তিতিতে দলের নেতৃত্ব কর্মী ও নেতারাও ভয়ে ছিলেন ৷ হতে পারে সেই জন্য সমস্যা হয়েছে ৷ আর এই সমস্যা হবে না ৷’’
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে উৎখাত করতে বামেদের সঙ্গে জোটে জোর সওয়াল মিঠুনের