দুর্গাপুর, ৪ নভেম্বর: একটানা বেশ কয়েকবছর ধরেই পশ্চিম বর্ধমান জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির (District Woman President of TMC) পদ সামলানোর পরে হঠাৎ করে পরিবর্তন । মিনতি হাজরাকে সরিয়ে নুতন মহিলা জেলা সভাপতি হিসাবে অসীমা চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করা হল । কিন্তু কেন ? তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা (Changing Name of District Woman President of TMC) ।
কয়েকদিন আগে একটি কল রেকর্ডিং ভাইরাল হয়েছে । অভিযোগ, সেই ভয়েস মিনতি হাজরার ছিল (যদিও অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত) । সেই ভয়েস রেকর্ডিংয়ে স্পষ্ট বার্তা চাকরির নিয়োগ নিয়ে । তাতে দুই মহিলার কথোপকথনের মূল বিষয় ছিল যে চাকরি করে দেওয়ার কথা বলেও তা হচ্ছে না । তাহলে কি এই অভিযোগ ওঠার পরেই নড়েচড়ে বসল তৃণমূল কংগ্রেস ?
আরও পড়ুন: তরুণীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ, দলের নির্দেশে ইস্তফা দাঁইহাট পৌরসভার চেয়ারম্যানের
পশ্চিম বর্ধমান জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তড়িঘড়ি বদল কি সেই কারণেই ? কিন্তু কে এই অসীমা চক্রবর্তী ? দুর্গাপুর নগর নিগমের 2 বারের কাউন্সিলর । পেশায় বেসরকারি স্কুলের একজন শিক্ষিকা । সুবক্তা হিসাবে যিনি ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সুপরিচিত । বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি তিনটি ভাষাতেই তিনি বক্তব্য রাখতে পারেন । স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এই মহিলাকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল দলের পক্ষ থেকে ।
ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের মহিলা কর্মী সংগঠনকে 'চলো গ্রামে যাই' (Chalo Grame Jai) এমন আহ্বান তুলে গ্রামবাংলার মানুষের দরজায় দরজায় যাওয়ার কথা বলেছেন । সামনেই দুর্গাপুর পুরসভার নির্বাচন । সব মিলিয়ে তাই মহিলা সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর জন্যই কি অসীমা চক্রবর্তীকে এই নতুন দায়িত্ব ? এখন দেখার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের বাগডোর যখন আসানসোলের নেতাদের হাতে সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে দুর্গাপুরের এই মহিলা নেত্রী জেলার মহিলা সংগঠনকে কতটা চাঙ্গা করতে পারেন ।