আসানসোল, 7 জুলাই : কাজ থেকে ফিরে বাড়িতে বিশ্রাম করছিলেন বরাকরের শ্যামল বাউরি । বরাকর ফাঁড়ির সিভিক পুলিশরা তাঁকে তিনদিন আগে রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে বরাকর থানায় । তারপর থেকে আর বাড়ির লোকেরা শ্যামল বাউরির খোঁজ পায়নি । বুধবার পরিবারের লোকেরা খবর পেয়ে ছুটে আসে আসানসোল জেলা হাসপাতালে । শ্যামলের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছিল শ্যামলকে । সেই জন্যই এই অবস্থা হয়েছে তাঁর । পরিবারের দাবি শ্যামল নির্দোষ ছিল ।
গত কয়েকদিন ধরে বরাকরে বাড়ছিল চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা । সেই চুরির কিনারা করতে গিয়ে মহম্মদ আরমান আনসারি নামে এক যুবককে আটক করেছিল পুলিশ । পরে জানা যায়, শ্যামল বাউরি নামে আরও একজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ । মঙ্গলবার পুলিশ হেফাজতেই আরমান আনসারির মৃত্যু হয় । এই খবর ছড়াতেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বরাকর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকা । উত্তেজিত জনতা অবরোধ করার পাশাপাশি ভাঙচুর চালায় বরাকর ফাঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে । আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি গাড়িতে ।
আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বরাকর, পুলিশের গাড়িতে আগুন
বুধবার সকালে ফের খবর পাওয়া যায় শ্যামল বাউরিও মারা গিয়েছেন । যদিও সেই খবর সঠিক ছিল না । বর্তমানে আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্যামল বাউরি । পরিবারের লোকের খবর পেয়ে আজ দেখা করতে যায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে । কিন্তু তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি । পরিবারের দাবি, তাদের কোনও কিছু জানানো হয়নি । পুলিশ মারধর করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে । শ্যামল নির্দোষ । তাঁকে মিথ্যে ফাঁসানো হয়েছে । এই ঘটনায় আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে ।