দুর্গাপুর, 5 মে : সরকারি চাল পাচার হওয়ার অভিযোগ । এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা থানার দু'নম্বর কলোনির বাসিন্দারা আটকে দিল আট বস্তা চাল । আটক চাল ব্যবসায়ী শ্যামল পাল । তিনি অবশ্য জানালেন এই চাল তিনি কিনেছিলেন বীরভূমের ইলামবাজার থেকে ।
লকডাউন চলাকালীন সরকারের পক্ষ থেকে যাতে সবার কাছে ন্যূনতম চালের জোগানটুকু থাকে সেই কারণেই পর্যাপ্ত চাল পাঠানো হয়েছে রেশন ডিলারের কাছে । কিন্তু সেই চাল কালোবাজারে বিক্রির ঘটনা প্রত্যেকদিন সামনে আসছে । কয়েকদিন আগেই দুর্গাপুরের মেনগেটে, গতকাল রাতে অন্ডাল থানার উখরার পর তারপর এবার কাঁকসা থানা এলাকার দু'নম্বর কলোনির বাসিন্দারা একটি টোটোতে করে যাওয়া 8 বস্তা চাল আটকে দিল ।
আজ সকালে এলাকার মানুষ দেখতে পায় সরকারি লোগো লাগানো আট বস্তা চাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । সেই টোটোটি পানাগড়ের দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ার কারণ টোটো চালককে জিজ্ঞাসা করা হয় ৷ চালক বলে, বীরভূম জেলার ইলামবাজারের এক চাল ব্যবসায়ীর গোডাউন থেকে এই চাল নিয়ে আসা হচ্ছে পানাগড়ের এক ব্যবসায়ীর কাছে । খবর দেওয়া হয় কাঁকসা থানায় । পুলিশ এসে আটক চালের বস্তা ও টোটোর চালককেও থানায় নিয়ে যায় । আটক করা হয় চাল ব্যবসায়ী শ্যামল পালকে ।
যদিও ওই চাল ব্যবসায়ী শ্যামল পাল জানান, তিনি ইলামবাজার থেকে এই চাল কিনেছিলেন । এই চাল রেশনের চাল নয় । এই বস্তা গুলি সরকারি বস্তা । কিন্তু ভেতরের যে চাল তা তিনি ইলামবাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিনেছেন ।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ । অবন্যদিকে প্রতিনিয়ত রেশনের চাল পাচার ধরা পড়ে যাচ্ছে । কারণ স্থানীয় মানুষ কড়া নজর রাখছেন রেশন ডিলারদের দিকে । রাস্তাঘাটে গাড়িতে সরকারি চাল দেখতে পেলেই কৌতূহলী মানুষ জিজ্ঞাসা করছেন এই চাল কার কাছ থেকে আনছে? কোথায় যাচ্ছে ? সমস্ত কিছুই । কারণ সাধারণ মানুষ সজাগ রয়েছেন ৷ তাঁরা সরকারি সামগ্রী আর কোনওভাবেই পাচার করতে দেবেন না ।