দুর্গাপুর, 30 অগাস্ট: সদ্যোজাত নাতনিকে দুর্গাপুর থেকে বিহারে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাশুড়ির বিরুদ্ধে (Police Rescued Newborn Baby)। নিখোঁজ শিশুকে বিহার থেকে উদ্ধার করছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে দিদিমাকে । রাজ্য পুলিশের সাফল্যে খুশি পরিবার-পরিজন থেকে এলাকাবাসী ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর থানা এলাকার বিজু পাড়ার বাসিন্দা নাজিস খানের সঙ্গে বিয়ে হয় বিহারের মসারক থানা এলাকার মুসকান খাতুনের । সাড়ে চার মাস আগে তাঁদের কন্যা সন্তান হয় । চলতি মাসের 21 তারিখ মুসকান খাতুনের মা শাহানা খাতুন বিহারে মেয়েকে ও নাতনিকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যায় । তার দু'দিন পর মেয়ে মুসকান খাতুনকে বাড়িতে রেখে নাতনিকে মসারক থানা এলাকার চিকিৎসকের কাছে যায় ।
আরও পড়ুন: জোর করে গোমাংস ভক্ষণ করাল স্ত্রী, সুরাতে আত্মঘাতী যুবক
জানা গিয়েছে, দীর্ঘ সময় পর পার হয়ে গেলেও মেয়েকে নিয়ে ফেরে না শাহানা ৷ পরে নাতনিকে না-নিয়েই বাড়িতে ফেরে অভিযুক্ত শাহানা খাতুন । মায়ের কাছে মুসকান জানতে চান তাঁর মেয়ে কোথায় গেল । শাহানা খাতুন তার মেয়েকে জানায় নাতনিকে সে বিক্রি করে দিয়েছে । এমনকী তারপর মেয়েকে নতুন করে বিয়ে দেওয়ার কথায়ও জানায় । একথা জানার পর মুসকান মায়ের সঙ্গে ভীষণ অশান্তি করে ৷ কোনওভাবেই শাহানা তার মেয়েকে বাগে আনতে না-পেরে তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু করে ৷
এরপর কোনওক্রমে বিহার থেকে দুর্গাপুরে ফিরে স্বামী নাজিস খানকে বিষয়টি জানান । তারপর দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । অভিযোগের ভিত্তিতে বিহারের মসারক থানা এলাকা থেকে সোমবার উদ্ধার হয় শিশুটি ৷ গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত শাশুড়ি শাহানা খাতুনকে । মঙ্গলবার আনা হয় দুর্গাপুরে । পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহাকুমা আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত শাহানাকে । রাজ্য পুলিশের সাফল্যে কুর্নিশ জানিয়েছে পরিবার-পরিজন থেকে এলাকাবাসী ।