ETV Bharat / state

বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে ছেলে, থানায় বৃদ্ধা

বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে ছেলে । তাই ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বৃদ্ধা । ছেলের ব্যবহারে কষ্ট পেলেও বললেন, "আমি তো বলিনি কোনও ছেলেকেই সম্পত্তি দেব না । আমি শুধু চাই জীবনের শেষ কটা দিন এই বাড়িতে থাকতে ।"

বৃদ্ধা
author img

By

Published : Jul 30, 2019, 3:54 AM IST

দুর্গাপুর, 30 জুলাই : সব সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দেওয়া হোক । ছেলের সেই দাবি মেটাতে পারেননি বৃদ্ধা । তাই তাঁকে জিনিসপত্র সহ বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা বন্ধ করে দিল ছেলে । ঘটনাটি দুর্গাপুর পৌরনিগমের 38 নম্বর ওয়ার্ডের । ঘটনায় কোকওভেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধা পদ্মা চ্যাটার্জি ।

পদ্মাদেবীর দুই ছেলে । বড় ছেলে বাসুদেব চ্যাটার্জি ও ছোটো ছেলে জয় চ্যাটার্জি । স্বামী ছিলেন DPL-র কর্মচারী । বছর পাঁচেক আগে মারা যান তিনি । তারপরই দুর্গাপুর পৌরনিগমের 38 নম্বর ওয়ার্ডের হেডকোয়ার্টারে একফালি জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেন পদ্মাদেবী । স্বামীর সঞ্চিত টাকার প্রায় সবটা দিয়ে বাড়ি বানিয়ে নেন তিনি । অভিযোগ, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই বৃদ্ধা পদ্মাদেবীকে দেখেন না তাঁর দুই ছেলে । কোনওরকমে দিন কাটান তিনি । বড়ছেলে থাকেন কোকওভেন থানার অন্তর্গত লেবারহাট কলোনিতে । আর ছোটো ছেলে পদ্মাদেবীর পাশেই বাড়ি তৈরি করে থাকেন ।

অভিযোগ, কিছুদিন ধরেই বড় ছেলে পদ্মাদেবীকে জোর করেন বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য । আবার কখনও বাড়ি বিক্রি করে নগদ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন । ছেলের সেই প্রস্তাবে বারবারই অসম্মতি প্রকাশ করেন পদ্মাদেবী । 25 জুলাইও বাড়ি বিক্রির জন্য পদ্মাদেবীকে চাপ দিতে শুরু করেন বাসুদেববাবু । কিন্তু, পদ্মাদেবী তাতে রাজি না হলে তাঁকে ঘর থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন এবং বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে ঘরে তালা দিয়ে দেন বলে অভিযোগ । ঘটনায় পদ্মাদেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় ।

পদ্মাদেবী বলেন, "আমি তো বলিনি কোনও ছেলেকেই সম্পত্তি দেব না । আমি শুধু চাই জীবনের শেষ কটা দিন এই বাড়িতে থাকতে । বড়ছেলে বাড়িতে এসে সম্পত্তি লিখিয়ে দেওয়ার জন্য আমায় চাপ দিত । রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করত, গালিগালাজ করত । এমন কী প্রতিবেশীরা বাধা দিতে এলে তাঁদের কেউ গালিগালাজ করত ।" কোকওভেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পদ্মাদেবী । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।

ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে পুলিশকে তিনি বলেন, "স্যার ওকে বলুন না আমার মৃত্যুর পরে তো এই ঘর, জমি ওরা দু'ভাই পাবে । "

দুর্গাপুর, 30 জুলাই : সব সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দেওয়া হোক । ছেলের সেই দাবি মেটাতে পারেননি বৃদ্ধা । তাই তাঁকে জিনিসপত্র সহ বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা বন্ধ করে দিল ছেলে । ঘটনাটি দুর্গাপুর পৌরনিগমের 38 নম্বর ওয়ার্ডের । ঘটনায় কোকওভেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধা পদ্মা চ্যাটার্জি ।

পদ্মাদেবীর দুই ছেলে । বড় ছেলে বাসুদেব চ্যাটার্জি ও ছোটো ছেলে জয় চ্যাটার্জি । স্বামী ছিলেন DPL-র কর্মচারী । বছর পাঁচেক আগে মারা যান তিনি । তারপরই দুর্গাপুর পৌরনিগমের 38 নম্বর ওয়ার্ডের হেডকোয়ার্টারে একফালি জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেন পদ্মাদেবী । স্বামীর সঞ্চিত টাকার প্রায় সবটা দিয়ে বাড়ি বানিয়ে নেন তিনি । অভিযোগ, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই বৃদ্ধা পদ্মাদেবীকে দেখেন না তাঁর দুই ছেলে । কোনওরকমে দিন কাটান তিনি । বড়ছেলে থাকেন কোকওভেন থানার অন্তর্গত লেবারহাট কলোনিতে । আর ছোটো ছেলে পদ্মাদেবীর পাশেই বাড়ি তৈরি করে থাকেন ।

অভিযোগ, কিছুদিন ধরেই বড় ছেলে পদ্মাদেবীকে জোর করেন বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য । আবার কখনও বাড়ি বিক্রি করে নগদ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন । ছেলের সেই প্রস্তাবে বারবারই অসম্মতি প্রকাশ করেন পদ্মাদেবী । 25 জুলাইও বাড়ি বিক্রির জন্য পদ্মাদেবীকে চাপ দিতে শুরু করেন বাসুদেববাবু । কিন্তু, পদ্মাদেবী তাতে রাজি না হলে তাঁকে ঘর থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন এবং বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে ঘরে তালা দিয়ে দেন বলে অভিযোগ । ঘটনায় পদ্মাদেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় ।

পদ্মাদেবী বলেন, "আমি তো বলিনি কোনও ছেলেকেই সম্পত্তি দেব না । আমি শুধু চাই জীবনের শেষ কটা দিন এই বাড়িতে থাকতে । বড়ছেলে বাড়িতে এসে সম্পত্তি লিখিয়ে দেওয়ার জন্য আমায় চাপ দিত । রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করত, গালিগালাজ করত । এমন কী প্রতিবেশীরা বাধা দিতে এলে তাঁদের কেউ গালিগালাজ করত ।" কোকওভেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পদ্মাদেবী । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।

ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে পুলিশকে তিনি বলেন, "স্যার ওকে বলুন না আমার মৃত্যুর পরে তো এই ঘর, জমি ওরা দু'ভাই পাবে । "

Intro:জীবনের শেষ সম্পত্তি মানে একখন্ড বাসভুমি বিক্রী করে বড় ছেলের দাবী না মেটাতে পারার খেসারত হিসাবে বড়ছেলে মা কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়ে সেই ঘরে তালা মেরে দিল। বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিল ঘরের ভেতর থাকা প্র‍য়াত বাবার একসময়ের ব্যাবহৃত ও মায়ের ব্যবহার্য সমস্ত জিনিসপত্র। বছর পাঁচেক আগে এই বৃদ্ধার স্বামী মারা যান।স্বামী ডিপিএল এ কাজ করার সুবাদে কিছু সঞ্চিত টাকা দিয়ে দুর্গাপুর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের হেডকোয়ার্টারে একফালি জমি কিনে তাতে বাড়ী বানিয়ে বেশ ছিলেন পদ্মা দেবী।দুই ছেলের মধ্যে ছোটো ছেলে প্রথম থেকেই মায়ের পাশের একটি বাড়িতেই থাকে। আর বড় ছেলে বাসুদেব চ্যাটার্জী তার স্ত্রী পরিবার নিয়ে কোকওভেন থানার অন্তর্গত লেবারহাট কলোনীতে থাকে।পদ্মাদেবীর অভিযোগ, বড় ছেলে বাসুদেব চ্যাটার্জী মাঝেমাঝেই হেডকোয়ার্টারে মায়ের কাছে এসে কখনও জমিটুকু লিখে দেওয়া আবার কখনও তা বিক্রী করে নগদ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। মা বারবার বড়ছেলের সেই প্রস্তাবে অসম্মত হলে জন্মদাত্রী মাকে ব্যাপক মারধর আর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ হজম করতে হয়। গত পঁচিশে জুন বড়ছেলে রুদ্রমুর্তি ধারন করে। অভিযোগ, এই দিনও বাসুদেব চ্যাটার্জী মায়ের বাড়িতে এসে একই ভাবে মা কে বাড়িবিক্রীর জন্য চাপ দিতে থাকে।পরে আবার জমি বাড়ী তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য।সেদিনও পদ্মা দেবী তাতে রাজী না হওয়ায় ভরা বর্ষাতে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘরের বাইরে বের করে দেয় এবং মা ও বাবার স্মৃতিবিজড়িত সমস্ত জিনিসপত্র বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেয় বাসুদেব চ্যাটার্জী।এরপরে ওই গুনধর বড় ছেলে পদ্মা দেবীর ঘরে তালা মেরে দিয়ে চলে যায়। পদ্মা দেবী হার্টের অসুখে ভুগছেন বেশ কয়েকবছর।ওইদিন তিনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় পদ্মাদেবীকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়.।হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সোমবার সকালে পদ্মাদেবী কোকওভেন থানায় গিয়ে বড় ছেলে বাসুদেব চ্যাটার্জীর নামে লিখিত অভিযোগ জানান। এই বৃদ্ধার অভিযোগ, আমি বলিনি কাউকে কিছু দেবো না। কিন্তু বড় ছেলে বাড়িতে এসে সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিত।মারধর, গালিগালাজ করত।বাড়ি লিখে বা বিক্রী করতে রাজী না হওয়ায় সব বাইরে ফেলে দেয়।আমি আজ থানায় লিখিত জানালাম।"" প্রতিবেশীরাও প্রতিবাদ করতে গিয়ে বড়ছেলের গালিগালাজ হজম করতে হয়েছে।আজ পদ্মাদেবীকে কোকওভেন থানার পুলিশ সাথে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেন।পুলিশ বাসুদেব চ্যাটার্জ্জীকে থানায় ডেকে পাঠানোর এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেয়।পদ্মাদেবী আতঙ্কিত।এবার বড়ছেলে তাকে না প্রাণে মেরে ফেলে সেইকথা ভেবে।তবে এবার প্রতিবেশীরা বাসুদেব চ্যাটার্জ্জী এলে তাকে ঘর থেকে বের করে দেবে সেকথা বলেন।অসহায় পদ্মাদেবী এত কিছুর মাঝেও পুলিশকে জানায়""স্যার ওকে বলুন না আমার মৃত্যুর পরে তো এই ঘর,জমি ওরা দু ভাই পাবে।""পদ্মাদেবী চাইছেন জীবনের শেষ কয়েকটা বছর সুখে আর শান্তিতে বাঁচতে।আর এটাই তার আবেদন।।Body:হConclusion:হ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.