ETV Bharat / state

গ্রামের মানুষদের 7 শতাংশ কমিশন দেওয়ার লোভে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট! সাইবার প্রতারণার নতুন ছক

Cyber Crime: কমিশনের লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার হদিশ পেল আসানসোল সাইবার থানার পুলিশ ৷ জালে 5 প্রতারক৷

Etv Bharat
প্রতীকী ছবি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 23, 2023, 1:28 PM IST

আসানসোল, 23 নভেম্বর: সাইবার ক্রাইম নিয়ে সাধারণ মানুষ ও পুলিশ যত সচেতন হচ্ছে ততই ক্রাইম দুনিয়ায় আধিপত্য বাড়াতে নতুন নতুন পন্থা ব্যবহার করছেন অপরাধীরা ৷ এবার সাধারণ মানুষকে টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁদের নামে তৈরি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে দুর্নীতি শুরু করে সাইবার অপরাধীরা ৷ ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার পাশাপাশি এবার দুমকাতেও সাইবার অপরাধের বড় চক্র গড়ে উঠেছে। সাইবার প্রতারকরা প্রতারণার জাল বিছিয়েছে রানিগঞ্জ থানার জেকে নগর এলাকায়। এখানকার স্থানীয় মানুষদের 7 শতাংশ টাকার লোভ দেখিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে সেই অ্যাকাউন্টেই অন্য গ্রাহকদের টাকা লোপাট করছে প্রতারকরা ৷ সম্প্রতি জেকে নগরের দুর্নীতির ঘটনায় 5 জনকে গ্রেফতার করার পর এই নতুন প্রতারণা চক্রের হদিশ পায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানার পুলিশ।

কীভাবে বিছানো হয়েছে এই জাল?

পুলিশ সূত্রে খবর, এই কাজ মূলত 4 ভাগে হচ্ছে। প্রতিক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা কমিশন আছে। ঠিক যেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। যুবকদের মগজধোলাই করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলানো হয়। টাকার 7 শতাংশ পাওয়ার লোভে এক একজন 10-15 টা ক'রে অ্যাকাউন্ট খুলে রেখেছেন। মূল প্রতারকরা ঝাড়খণ্ডের দুমকায় বসে পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গিয়েছে । তারাই মূলত সাধারণ মানুষকে ফোন করে বোকা বানিয়ে টাকা লোপাট করছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে। এরপর লোপাট হওয়া টাকা ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলিতে ফেলা হয়। সেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের 7 শতাংশ কমিশন দিয়ে টাকা নিয়ে নেয় মিডিল ম্যানরা। মিডিল ম্যানরা আবার সেখান থেকে 8 শতাংশ টাকা কেটে বাকি টাকা দিয়ে দেয় কেরিয়ারদের

মিডলম্যানরাই এই যুবকদের উৎসাহী করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলতে। কেরিয়াররা আসানসোলে এসে সেই লুটের টাকা মিডিলম্যানদের কাছ থেকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে দশ শতাংশ টাকা কেটে মূল চাঁ‌ইয়ের হাতে আসে মোট প্রতারণার 75 শতাংশ টাকা। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) কুলদীপ সোনাওয়ানে বলেন, "সা‌ইবার প্রতারণায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।" পুলিশের দাবি কোটি কোটি টাকা এভাবে প্রতারণা করা হয়েছে। পুরো চক্রটিকে ধরতে তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ।

দুর্নীতির চারটে স্তর মিলিয়ে মোট 23 জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে আসানসোল সাইবার থানার পুলিস।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া জেরে নগরের অভিযুক্ত পাঁচ বাসিন্দা হলেন, গঙ্গা প্রসাদ, রাকেশ কুমার রায়, সঞ্জয় কুমার, সনু যাদব ও সুবারক আনসারি। এদের মধ্যে দু’জন সাত শতাংশ কমিশনে নিজের ভুয়ো অ্যাকাউন্টে প্রতারণায় ব্যবহার করতে দিত বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন:

1. মানবিক! গয়া স্টেশনে অসুস্থ যাত্রী, প্রাণ বাঁচালেন অস্ট্রেলিয়ার মহিলা চিকিৎসক

2. উত্তরকাশীর জন্য প্রার্থনা মহাবীর খনিতে আটকে পড়া শ্রমিক-উদ্ধারকারীর, শোনালেন 34 বছর আগের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

3. বিয়ের পরেও লুকিয়ে প্রেম করা মিস করছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা!

আসানসোল, 23 নভেম্বর: সাইবার ক্রাইম নিয়ে সাধারণ মানুষ ও পুলিশ যত সচেতন হচ্ছে ততই ক্রাইম দুনিয়ায় আধিপত্য বাড়াতে নতুন নতুন পন্থা ব্যবহার করছেন অপরাধীরা ৷ এবার সাধারণ মানুষকে টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁদের নামে তৈরি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে দুর্নীতি শুরু করে সাইবার অপরাধীরা ৷ ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার পাশাপাশি এবার দুমকাতেও সাইবার অপরাধের বড় চক্র গড়ে উঠেছে। সাইবার প্রতারকরা প্রতারণার জাল বিছিয়েছে রানিগঞ্জ থানার জেকে নগর এলাকায়। এখানকার স্থানীয় মানুষদের 7 শতাংশ টাকার লোভ দেখিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে সেই অ্যাকাউন্টেই অন্য গ্রাহকদের টাকা লোপাট করছে প্রতারকরা ৷ সম্প্রতি জেকে নগরের দুর্নীতির ঘটনায় 5 জনকে গ্রেফতার করার পর এই নতুন প্রতারণা চক্রের হদিশ পায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানার পুলিশ।

কীভাবে বিছানো হয়েছে এই জাল?

পুলিশ সূত্রে খবর, এই কাজ মূলত 4 ভাগে হচ্ছে। প্রতিক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা কমিশন আছে। ঠিক যেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। যুবকদের মগজধোলাই করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলানো হয়। টাকার 7 শতাংশ পাওয়ার লোভে এক একজন 10-15 টা ক'রে অ্যাকাউন্ট খুলে রেখেছেন। মূল প্রতারকরা ঝাড়খণ্ডের দুমকায় বসে পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গিয়েছে । তারাই মূলত সাধারণ মানুষকে ফোন করে বোকা বানিয়ে টাকা লোপাট করছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে। এরপর লোপাট হওয়া টাকা ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলিতে ফেলা হয়। সেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের 7 শতাংশ কমিশন দিয়ে টাকা নিয়ে নেয় মিডিল ম্যানরা। মিডিল ম্যানরা আবার সেখান থেকে 8 শতাংশ টাকা কেটে বাকি টাকা দিয়ে দেয় কেরিয়ারদের

মিডলম্যানরাই এই যুবকদের উৎসাহী করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলতে। কেরিয়াররা আসানসোলে এসে সেই লুটের টাকা মিডিলম্যানদের কাছ থেকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে দশ শতাংশ টাকা কেটে মূল চাঁ‌ইয়ের হাতে আসে মোট প্রতারণার 75 শতাংশ টাকা। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) কুলদীপ সোনাওয়ানে বলেন, "সা‌ইবার প্রতারণায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।" পুলিশের দাবি কোটি কোটি টাকা এভাবে প্রতারণা করা হয়েছে। পুরো চক্রটিকে ধরতে তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ।

দুর্নীতির চারটে স্তর মিলিয়ে মোট 23 জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে আসানসোল সাইবার থানার পুলিস।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া জেরে নগরের অভিযুক্ত পাঁচ বাসিন্দা হলেন, গঙ্গা প্রসাদ, রাকেশ কুমার রায়, সঞ্জয় কুমার, সনু যাদব ও সুবারক আনসারি। এদের মধ্যে দু’জন সাত শতাংশ কমিশনে নিজের ভুয়ো অ্যাকাউন্টে প্রতারণায় ব্যবহার করতে দিত বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন:

1. মানবিক! গয়া স্টেশনে অসুস্থ যাত্রী, প্রাণ বাঁচালেন অস্ট্রেলিয়ার মহিলা চিকিৎসক

2. উত্তরকাশীর জন্য প্রার্থনা মহাবীর খনিতে আটকে পড়া শ্রমিক-উদ্ধারকারীর, শোনালেন 34 বছর আগের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

3. বিয়ের পরেও লুকিয়ে প্রেম করা মিস করছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা!

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.