ETV Bharat / state

রুক্ষ জমিতে আমবাগান ! পথ দেখাচ্ছে সালানপুর - New emplyment

মাটি জল ধারণ করতে না পারলে গাছের গোড়ায় একটি হাঁড়ি পুঁতে রাখা হয় ৷ হাঁড়ির মধ্যে থাকে ছোট্ট একটি ছিদ্র ৷ তাতে লাগানো থাকে একটি কাপড়ের টুকরো ৷ হাঁড়িতে জল ঢাললে ছিদ্র দিয়ে জল চুঁইয়ে সারাদিন গাছের গাোড়ার মাটি ভিজিয়ে রাখে ৷ এর ফলে জল অপচয়ও বন্ধ হয় ৷

রুক্ষ জমিতে আমবাগান ! পথ দেখাচ্ছে সালানপুর
author img

By

Published : Aug 24, 2019, 9:33 AM IST

Updated : Aug 24, 2019, 11:36 AM IST

সালানপুর, 24 অগাস্ট : খরাপ্রবণ এলাকায় চাষবাস হয় না ? ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় ৷ খরাপ্রবণ এলাকায় চাষবাস করে দেখালেন সালানপুরের বাসিন্দারা । আসানসোলের সালানপুর ব্লকে কয়েকটি গ্রামে হাঁড়িসেচের মাধ্যমে আমবাগান তৈরি করা হয়েছে । সেই গাছ ইতিমধ্যেই বেড়ে উঠেছে । আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেই গাছে ফলন আসবে বলে মনে করছেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা ৷

আসানসোলের রুক্ষ ভূমি মানেই সালানপুর ব্লক । এই এলাকার কোনও মাটিতেই জল ধারণ ক্ষমতা তেমন নেই । সেই কারণে চাষবাস হয় না বললেই চলে । এলাকার বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর । বিকল্প পদ্ধতিতে চাষবাসের মাধ্যমে বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সালানপুর ব্লক অফিস । হাঁড়িসেচের মাধ্যমে অভাবনীয়ভাবে আমবাগান তৈরি করা হচ্ছে । এই আমবাগানের মাধ্যমে 100 দিনের কাজে বাসিন্দাদের নতুন কর্মসংস্থানের হদিশ মিলছে । সালানপুরের আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রামচন্দ্রপুর এলাকায় হাঁড়িসেচের মাধ্যমে আমবাগান তৈরি হয়েছে ৷

দেখুন ভিডিয়ো

কী এই প্রকল্প?

মাটি জল ধারণ করতে না পারলে গাছের গোড়ায় একটি হাঁড়ি পুঁতে রাখা হয় ৷ হাঁড়ির মধ্যে থাকে ছোট্ট একটি ছিদ্র ৷ তাতে লাগানো থাকে একটি কাপড়ের টুকরো ৷ হাঁড়িতে জল ঢাললে ছিদ্র দিয়ে জল চুঁইয়ে সারাদিন গাছের গাোড়ার মাটি ভিজিয়ে রাখে ৷ এর ফলে জল অপচয়ও বন্ধ হয় ৷

Salanpur
হাঁড়িতে একটি ছোট ছিদ্র করে কাপরের টুকরো লাগানো হয়

পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ সেলিম বলেন, "হাঁড়িসেচের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল । সেই সেচ ব্যবহার করে বাগান তৈরি হয়েছে । প্রায় ৩০০টি আম গাছ সেখানে লাগানো হয়েছে । প্রত্যেকটি আম গাছই বেঁচে আছে । খুব তাড়াতাড়ি সেগুলি ফলন দেবে ।"

employment
গাছের গোড়ায় এভাবেই পোঁতা হয় হাঁড়ি

সালানপুরের BDO তপন সরকার বলেন, "বিকল্প পদ্ধতিতে চাষ করে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে । ১০০ দিনের কাজে বাসিন্দাদের নতুন কর্মসংস্থানের হদিশ মিলেছে । এই কাজ সফল হয়েছে । এই সেচের মাধ্যমে আল্লাডি, কল্যা-সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েতের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন ।"

সালানপুর, 24 অগাস্ট : খরাপ্রবণ এলাকায় চাষবাস হয় না ? ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় ৷ খরাপ্রবণ এলাকায় চাষবাস করে দেখালেন সালানপুরের বাসিন্দারা । আসানসোলের সালানপুর ব্লকে কয়েকটি গ্রামে হাঁড়িসেচের মাধ্যমে আমবাগান তৈরি করা হয়েছে । সেই গাছ ইতিমধ্যেই বেড়ে উঠেছে । আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেই গাছে ফলন আসবে বলে মনে করছেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা ৷

আসানসোলের রুক্ষ ভূমি মানেই সালানপুর ব্লক । এই এলাকার কোনও মাটিতেই জল ধারণ ক্ষমতা তেমন নেই । সেই কারণে চাষবাস হয় না বললেই চলে । এলাকার বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর । বিকল্প পদ্ধতিতে চাষবাসের মাধ্যমে বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সালানপুর ব্লক অফিস । হাঁড়িসেচের মাধ্যমে অভাবনীয়ভাবে আমবাগান তৈরি করা হচ্ছে । এই আমবাগানের মাধ্যমে 100 দিনের কাজে বাসিন্দাদের নতুন কর্মসংস্থানের হদিশ মিলছে । সালানপুরের আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রামচন্দ্রপুর এলাকায় হাঁড়িসেচের মাধ্যমে আমবাগান তৈরি হয়েছে ৷

দেখুন ভিডিয়ো

কী এই প্রকল্প?

মাটি জল ধারণ করতে না পারলে গাছের গোড়ায় একটি হাঁড়ি পুঁতে রাখা হয় ৷ হাঁড়ির মধ্যে থাকে ছোট্ট একটি ছিদ্র ৷ তাতে লাগানো থাকে একটি কাপড়ের টুকরো ৷ হাঁড়িতে জল ঢাললে ছিদ্র দিয়ে জল চুঁইয়ে সারাদিন গাছের গাোড়ার মাটি ভিজিয়ে রাখে ৷ এর ফলে জল অপচয়ও বন্ধ হয় ৷

Salanpur
হাঁড়িতে একটি ছোট ছিদ্র করে কাপরের টুকরো লাগানো হয়

পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ সেলিম বলেন, "হাঁড়িসেচের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল । সেই সেচ ব্যবহার করে বাগান তৈরি হয়েছে । প্রায় ৩০০টি আম গাছ সেখানে লাগানো হয়েছে । প্রত্যেকটি আম গাছই বেঁচে আছে । খুব তাড়াতাড়ি সেগুলি ফলন দেবে ।"

employment
গাছের গোড়ায় এভাবেই পোঁতা হয় হাঁড়ি

সালানপুরের BDO তপন সরকার বলেন, "বিকল্প পদ্ধতিতে চাষ করে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে । ১০০ দিনের কাজে বাসিন্দাদের নতুন কর্মসংস্থানের হদিশ মিলেছে । এই কাজ সফল হয়েছে । এই সেচের মাধ্যমে আল্লাডি, কল্যা-সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েতের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন ।"

Intro:খরা প্রবন এলাকায় হাঁড়ি সেচের মাধ্যমে আম বাগান


কে বলে খরাপ্রবণ এলাকায় চাষবাস হয় না ? ইচ্ছে থাকলেই যে উপায় হয় তা করে দেখাচ্ছে সালানপুরের বাসিন্দারা ।আসানসোলের সালানপুর ব্লকে বেশ কয়েকটি গ্রামে হাঁড়িসেচের মাধ্যমে আম বাগান তৈরি করা হয়েছে। সেই গাছ ইতিমধ্যেই বেড়ে উঠেছে ।আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেই গাছে ফলন আসবে বলে মনে করছে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরাম

আসানসোলের রুক্ষ ভূমি মানেই সালানপুর ব্লক। সালানপুর ব্লকের কোন গ্রামেই মাটিতে জল ধারনের তেমন ক্ষমতা নেই । সেই কারণে চাষবাস হয় না বললেই চলে। মানুষজন বেশিরভাগই দিনমজুর শ্রেণীর। আর এখান থেকেই বিকল্প পদ্ধতিতে চাষবাসের মাধ্যমে বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের নতুন উদ্যোগ এনে দিয়েছে সালানপুর ব্লক অফিস। হাঁড়ি সেচের মাধ্যমে অভাবনীয় ভাবে আম বাগান তৈরি করেছে সালানপুর ব্লক অফিস। আর 100 দিনের কাজে বাসিন্দাদের নতুন কর্মসংস্থানের হদিস মিলছে এই আম বাগান ঘিরে।
কি এই প্রকল্প?
যেহেতু মাটিতে জল ধারণ করতে পারে না আর সেই কারণে গাছের গোড়ার কাছে একটি হাড়ি পুঁতে রাখা হয়। হাড়ির মধ্যে থাকে ছোট্ট একটি ছিদ্র। তাতে লাগানো থাকে একটি কাপড়ের টুকরো । হাঁড়িতে জল ঢাললে সেই সূঁচাকৃতি ছিদ্র দিয়ে জল সারাদিন ধরে গাছের তলায় মাটি কে ভিজিয়ে রাখে। ধীরে ধীরে সেই জল চুঁইয়ে হাঁড়ির জল গাছের গোড়া ভিজিয়ে রাখে। এর ফলে একদিকে যেমন জল অপচয় বন্ধ হয়। তেমনি পাশাপাশি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জল এই পদ্ধতির মাধ্যমে পাওয়া যায় । সালানপুরের আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রামচন্দ্রপুর এলাকায় এই সেচের মাধ্যমে আম বাগান তৈরি হয়েছে।
পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ সেলিম জানালেন বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এই হাঁড়ি সেচ নিয়ে। এবং সেই সেচ ব্যবহার করে বাগান তৈরি হয়েছে। প্রায় ৩০০ টি আম গাছ সেখানে লাগানো হয়েছে। প্রত্যেকটি আম গাছই বেঁচে উঠেছে। খুব তাড়াতাড়ি সেগুলি ফলন দেবে। সালানপুরের বিডিও তপন সরকার জানালেন বিকল্প পদ্ধতিতে চাষ করে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। ১০০ দিনের কাজে বাসিন্দাদের নতুন ভাবে ব্যবহার করা গিয়েছে। এই কাজ সফল হয়েছে ।আল্লাডি, কল্যা সহ বিভিন্ন এলাকা পঞ্চায়েতের মানুষরা উপকৃত হচ্ছেন এই সেচের মাধ্যমে।
কথাতেই আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় তাই খরা মাটিতেও চাষ করে তাক লাগাচ্ছেন সালানপুরের মানুষজন।




Body:..


Conclusion:
Last Updated : Aug 24, 2019, 11:36 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.