ETV Bharat / state

Independence Day 2023: অমৃত আজাদিতেও আদিবাসী সমাজে উপেক্ষিত 'নেহরুর বউ' বুধনি মেঝান - নেহরুর বউ

'Nehru's wife' Budhni Mejhan: 1959 সালের 6 ডিসেম্বর বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ডিভিসির পাঞ্চেত জলাধারের উদ্বোধনের সময় ঘটে যায় একটি ঘটনা ৷ তারই জেরে আজকের অমৃত আজাদিতেও আদিবাসী সমাজে উপেক্ষিত থেকে গিয়েছেন 'নেহরুর বউ'-এর তকমা পাওয়া বুধনি মেঝান ৷ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে তারক চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ প্রতিবেদন ৷

77th Independence Day
'নেহরুর বউ' বুধনি মেঝান
author img

By

Published : Aug 14, 2023, 7:41 PM IST

Updated : Aug 14, 2023, 8:21 PM IST

আজও সমাজে উপেক্ষিত 'নেহরুর বউ' বুধনি মেঝান

আসানসোল, 14 অগস্ট: স্বাধীনতার 75তম বর্ষ পেরিয়ে যাচ্ছে । বর্ণাঢ্য উৎসবে গোটা দেশ মেতে উঠছে । 'হর ঘর তিরঙ্গা'-য় ভরেছে চতুর্দিক । অথচ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল 'নেহরুর স্ত্রী' তকমা পেয়ে আজও নিজের সমাজ থেকে বিচ্যুত বিতাড়িত এক আদিবাসী মহিলা । হ্যাঁ, আশ্চর্য হলেও সত্যি । একটি সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র ক'রে পাঞ্চেতের আদিবাসী মহিলা বুধনি মেঝান আদিবাসী সমাজের কাছে 'নেহরুর বৌ' হয়ে যান । আর আজও তাঁর 80 বছর বয়সে সেই গ্লানি, কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন বুধনি । আজও নিজের সমাজে তাঁর ঠাঁই নেই ।

ডিভিসির পাঞ্চেত জলাধারের উদ্বোধন: দিনটা ছিল 1959 সালের 6 ডিসেম্বর । বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ডিভিসির পাঞ্চেত জলাধারের উদ্বোধন । দুই রাজ্যের লোকে লোকারণ্য পাঞ্চেত এলাকা । হবে নাইবা কেন ! পাঞ্চেত জলাধারের উদ্বোধন করতে এসেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু । ডিভিসি কর্তৃপক্ষ চেয়েছিলেন, যাঁদের শ্রম দিয়ে এই জলাধার তৈরি হয়েছে, সেই শ্রমিকরাই পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে বরণ করুন । ডাক পড়ল পঞ্চদশী আদিবাসী সুন্দরী বুধনি মেঝান ও আরও এক আদিবাসী যুবক রাবণ মাঝির । স্থানীয় আদিবাসী গ্রাম কারবানাতে বাড়ি ছিল বুধনি মেঝানের ।

কী হয়েছিল সে দিন: ঠিক হল, মঞ্চে বুধনি মেঝান এবং রাবণ মাঝি উপস্থিত থাকবেন আর বুধনি মেঝান পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে স্বাগত জানাবেন । জওহরলাল নেহরু মঞ্চে এলে পরিকল্পনা মাফিক বুধনি মেঝান তাঁকে মালা পরিয়ে বরণ করে নেন । জওহরলাল নেহরুও মজার ছলে সেই মালা নিজের গলা থেকে খুলে বুধনি মেঝানের গলায় পরিয়ে দেন । শুধু তাই নয়, পাঞ্চেত জলাধারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় বুধনি মেঝানকে ডেকে নেন জওহরলাল নেহরু । পণ্ডিত নেহরুর বিশেষ ইচ্ছেয় বুধনির হাত দিয়েই সুইচ টিপে উদ্বোধন হয় পাঞ্চেত জলাধারের ।

আরও পড়ুন: নেই সংগ্রহশালা, বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর স্মৃতিবিজড়িত পালাড়া গ্রাম ও চন্দননগর বিস্মৃতির অতলে

বুধনি পেল 'নেহরুর বউ'-এর তকমা: জীবনের এত বড় পাওয়া কখনও আশা করেননি বুধনি মেঝান । আর তাই সুখানুভূতি নিয়েই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি ৷ কিন্তু কারবানা গ্রামে ঢুকতেই সব কেমন অচেনা । কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন না । সবাই দূরত্ব বজায় রাখছেন । সেই দিনই গ্রামের মোড়ল'রা সালিশি সভা ডেকে বুধনি'কে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করল । বুধনি অবাক । কী অপরাধ করেছে সে ? মোড়ল নিদান দিলেন, বুধনি জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে মালাবদল করেছে অর্থাৎ সে এখন ভিনজাতের লোকের স্ত্রী । তাই তাকে তাদের সমাজে আর নেওয়া হবে না । বুধনিকে বিতাড়িত করা হয় গ্রাম থেকে । এরপর থেকে বুধনির আর খোঁজ পাওয়া যায় না । শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে ডিভিসির থেকে তার চাকরিও চলে যায় । বুধনি এলাকা ছেড়ে নিরুদ্দেশে চলে যায় ।

রাজীব গান্ধি ফেরালেন চাকরি: বিষয়টি নিয়ে সেই সময় থেকে নানা পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি শুরু হয় । 1988 সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারেন এই ঘটনার কথা । তিনি ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, বুধনি মেঝানকে খুঁজে নিয়ে আসতে হবে এবং তার চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে ।

চাকরি পেলেও কষ্ট কাটেনি: বুধনি মেঝান তখন অন্য শহরে জনৈক সুধীর দত্ত'র সঙ্গে প্রণয়ে আবদ্ধ হয়ে ঘর বেঁধেছে । তাদের একটি মেয়েও হয়েছে । ডিভিসি কর্তৃপক্ষ বুধনির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হয় এবং তাকে রাজীব গান্ধির নির্দেশ মতো চাকরি ফিরিয়ে দেয় । ডিভিসির পক্ষ থেকে এক চিলতে আবাসনও পায় বুধনি । পরবর্তীকালে অবসর নিয়েছেন বুধনি মেঝান । স্বামী সুধীর দত্ত মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকবছর । বর্তমানে ডিভিসির একটি ছোট্ট আবাসনে দিন গুজরান করেন বুধনি । মেয়ে রত্না দত্ত তাঁর সঙ্গেই থাকেন । ছোট্ট অ্যাসবেসটসের ঘর আর ডিভিসির পেনশনের সামান্য টাকায় খুব কষ্টে দিন কাটছে বুধনি মেঝানের ।

সংবাদ মাধ্যমের লোক দেখলে রেগে যান। মাথাও ঠিকঠাক কাজ করে না । মুম্বই থেকে তাঁকে নিয়ে বায়োপিক করার জন্য পরিচালকও এসেছিলেন । রাজি হননি বুধনি । আজও সেদিনের সেই অপমান, অভিমান বুকে নিয়েই বাঁচেন । ওই প্রসঙ্গে কথা উঠলেই জ্বলে ওঠেন বুধনি ।

আরও পড়ুন: বাড়িতেই স্বাধীনতা দিবস পালন, পাতে রাখুন তেরঙা রেসিপি

ডিভিসি-র কাছে দাবি: স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার বান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের মুখিয়া ভৈরব মণ্ডল জানান, "সেদিন যে দুজন মঞ্চে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে রাবণ মাঝির ছেলেকে চাকরি দিয়েছিল ডিভিসি কর্তৃপক্ষ । সে রকম ভাবে বুধনির নাতিকে যদি চাকরি দিত ডিভিসি, তাহলে হয়তো আরও সুখে শান্তিতে থাকতে পারত ওরা । আমরা চেয়েছি বুধনির জন্য একটি ভালো ঘর । ডিভিসি কর্তৃপক্ষ ওকে মডেল হিসেবে তুলে ধরে যদি কিছু উপহার দেয় তাহলে সেটাই তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া হবে ।"

বুধনি মেঝানের মেয়ে রত্না দত্ত বললেন, "মায়ের খুব শরীর খারাপ । মা আর কিছুই মনে রাখতে পারেন না । দেখাশোনা করার লোক নেই । টাকা পয়সাও তেমন বিশেষ কিছু নেই । তাও রাজীব গান্ধি ছিলেন বলেই আমরা আজ বাঁচতে পারছি ।"

যদিও এত সবের মাঝখানে সেই কষ্টটাই সবচেয়ে বড়, যে নিজের সমাজে আর কখনও ফিরে যেতে পারেননি বুধনি মেঝান । এখনও কারবানা গ্রামে আদিবাসী সমাজে বুধনির কোনও স্থান নেই । এখনও তিনি সবার মনে 'নেহরুর বউ' হয়েই আছেন ।

আজও সমাজে উপেক্ষিত 'নেহরুর বউ' বুধনি মেঝান

আসানসোল, 14 অগস্ট: স্বাধীনতার 75তম বর্ষ পেরিয়ে যাচ্ছে । বর্ণাঢ্য উৎসবে গোটা দেশ মেতে উঠছে । 'হর ঘর তিরঙ্গা'-য় ভরেছে চতুর্দিক । অথচ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল 'নেহরুর স্ত্রী' তকমা পেয়ে আজও নিজের সমাজ থেকে বিচ্যুত বিতাড়িত এক আদিবাসী মহিলা । হ্যাঁ, আশ্চর্য হলেও সত্যি । একটি সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র ক'রে পাঞ্চেতের আদিবাসী মহিলা বুধনি মেঝান আদিবাসী সমাজের কাছে 'নেহরুর বৌ' হয়ে যান । আর আজও তাঁর 80 বছর বয়সে সেই গ্লানি, কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন বুধনি । আজও নিজের সমাজে তাঁর ঠাঁই নেই ।

ডিভিসির পাঞ্চেত জলাধারের উদ্বোধন: দিনটা ছিল 1959 সালের 6 ডিসেম্বর । বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ডিভিসির পাঞ্চেত জলাধারের উদ্বোধন । দুই রাজ্যের লোকে লোকারণ্য পাঞ্চেত এলাকা । হবে নাইবা কেন ! পাঞ্চেত জলাধারের উদ্বোধন করতে এসেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু । ডিভিসি কর্তৃপক্ষ চেয়েছিলেন, যাঁদের শ্রম দিয়ে এই জলাধার তৈরি হয়েছে, সেই শ্রমিকরাই পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে বরণ করুন । ডাক পড়ল পঞ্চদশী আদিবাসী সুন্দরী বুধনি মেঝান ও আরও এক আদিবাসী যুবক রাবণ মাঝির । স্থানীয় আদিবাসী গ্রাম কারবানাতে বাড়ি ছিল বুধনি মেঝানের ।

কী হয়েছিল সে দিন: ঠিক হল, মঞ্চে বুধনি মেঝান এবং রাবণ মাঝি উপস্থিত থাকবেন আর বুধনি মেঝান পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে স্বাগত জানাবেন । জওহরলাল নেহরু মঞ্চে এলে পরিকল্পনা মাফিক বুধনি মেঝান তাঁকে মালা পরিয়ে বরণ করে নেন । জওহরলাল নেহরুও মজার ছলে সেই মালা নিজের গলা থেকে খুলে বুধনি মেঝানের গলায় পরিয়ে দেন । শুধু তাই নয়, পাঞ্চেত জলাধারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় বুধনি মেঝানকে ডেকে নেন জওহরলাল নেহরু । পণ্ডিত নেহরুর বিশেষ ইচ্ছেয় বুধনির হাত দিয়েই সুইচ টিপে উদ্বোধন হয় পাঞ্চেত জলাধারের ।

আরও পড়ুন: নেই সংগ্রহশালা, বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর স্মৃতিবিজড়িত পালাড়া গ্রাম ও চন্দননগর বিস্মৃতির অতলে

বুধনি পেল 'নেহরুর বউ'-এর তকমা: জীবনের এত বড় পাওয়া কখনও আশা করেননি বুধনি মেঝান । আর তাই সুখানুভূতি নিয়েই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি ৷ কিন্তু কারবানা গ্রামে ঢুকতেই সব কেমন অচেনা । কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন না । সবাই দূরত্ব বজায় রাখছেন । সেই দিনই গ্রামের মোড়ল'রা সালিশি সভা ডেকে বুধনি'কে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করল । বুধনি অবাক । কী অপরাধ করেছে সে ? মোড়ল নিদান দিলেন, বুধনি জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে মালাবদল করেছে অর্থাৎ সে এখন ভিনজাতের লোকের স্ত্রী । তাই তাকে তাদের সমাজে আর নেওয়া হবে না । বুধনিকে বিতাড়িত করা হয় গ্রাম থেকে । এরপর থেকে বুধনির আর খোঁজ পাওয়া যায় না । শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে ডিভিসির থেকে তার চাকরিও চলে যায় । বুধনি এলাকা ছেড়ে নিরুদ্দেশে চলে যায় ।

রাজীব গান্ধি ফেরালেন চাকরি: বিষয়টি নিয়ে সেই সময় থেকে নানা পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি শুরু হয় । 1988 সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারেন এই ঘটনার কথা । তিনি ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, বুধনি মেঝানকে খুঁজে নিয়ে আসতে হবে এবং তার চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে ।

চাকরি পেলেও কষ্ট কাটেনি: বুধনি মেঝান তখন অন্য শহরে জনৈক সুধীর দত্ত'র সঙ্গে প্রণয়ে আবদ্ধ হয়ে ঘর বেঁধেছে । তাদের একটি মেয়েও হয়েছে । ডিভিসি কর্তৃপক্ষ বুধনির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হয় এবং তাকে রাজীব গান্ধির নির্দেশ মতো চাকরি ফিরিয়ে দেয় । ডিভিসির পক্ষ থেকে এক চিলতে আবাসনও পায় বুধনি । পরবর্তীকালে অবসর নিয়েছেন বুধনি মেঝান । স্বামী সুধীর দত্ত মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকবছর । বর্তমানে ডিভিসির একটি ছোট্ট আবাসনে দিন গুজরান করেন বুধনি । মেয়ে রত্না দত্ত তাঁর সঙ্গেই থাকেন । ছোট্ট অ্যাসবেসটসের ঘর আর ডিভিসির পেনশনের সামান্য টাকায় খুব কষ্টে দিন কাটছে বুধনি মেঝানের ।

সংবাদ মাধ্যমের লোক দেখলে রেগে যান। মাথাও ঠিকঠাক কাজ করে না । মুম্বই থেকে তাঁকে নিয়ে বায়োপিক করার জন্য পরিচালকও এসেছিলেন । রাজি হননি বুধনি । আজও সেদিনের সেই অপমান, অভিমান বুকে নিয়েই বাঁচেন । ওই প্রসঙ্গে কথা উঠলেই জ্বলে ওঠেন বুধনি ।

আরও পড়ুন: বাড়িতেই স্বাধীনতা দিবস পালন, পাতে রাখুন তেরঙা রেসিপি

ডিভিসি-র কাছে দাবি: স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার বান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের মুখিয়া ভৈরব মণ্ডল জানান, "সেদিন যে দুজন মঞ্চে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে রাবণ মাঝির ছেলেকে চাকরি দিয়েছিল ডিভিসি কর্তৃপক্ষ । সে রকম ভাবে বুধনির নাতিকে যদি চাকরি দিত ডিভিসি, তাহলে হয়তো আরও সুখে শান্তিতে থাকতে পারত ওরা । আমরা চেয়েছি বুধনির জন্য একটি ভালো ঘর । ডিভিসি কর্তৃপক্ষ ওকে মডেল হিসেবে তুলে ধরে যদি কিছু উপহার দেয় তাহলে সেটাই তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া হবে ।"

বুধনি মেঝানের মেয়ে রত্না দত্ত বললেন, "মায়ের খুব শরীর খারাপ । মা আর কিছুই মনে রাখতে পারেন না । দেখাশোনা করার লোক নেই । টাকা পয়সাও তেমন বিশেষ কিছু নেই । তাও রাজীব গান্ধি ছিলেন বলেই আমরা আজ বাঁচতে পারছি ।"

যদিও এত সবের মাঝখানে সেই কষ্টটাই সবচেয়ে বড়, যে নিজের সমাজে আর কখনও ফিরে যেতে পারেননি বুধনি মেঝান । এখনও কারবানা গ্রামে আদিবাসী সমাজে বুধনির কোনও স্থান নেই । এখনও তিনি সবার মনে 'নেহরুর বউ' হয়েই আছেন ।

Last Updated : Aug 14, 2023, 8:21 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.