আসানসোল, 22 অগস্ট : বেআইনি কয়লা খাদানের জন্য শেষ পর্যন্ত ভবিষ্যত অনিশ্চিত হতে চলেছে ইসিএলের সোদপুর এরিয়ার নরসমুদা খনির । গত 17 জুন বেআইনি খনির র্যাটহোল দিয়ে খনিগর্ভে জল ঢুকে যাওয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে খনি । আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত সুরক্ষার কারণে তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ মাইনস সেফটি বা ডিজিএমএস ৷
ইসিএলের সোদপুর এরিয়ার নরসমুদা খনি এলাকার চারপাশে ব্যাঙের ছাতার মত বেআইনি কয়লা খাদান গড়ে ওঠে । শ্রমিক ইউনিয়নগুলির পক্ষ থেকে বারবার বিপদের আশঙ্কা জানিয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে জানান ইউনিয়নের সদস্যরা ৷
কয়েকদিনের অতিবর্ষণে ক্ষেতে জমে থাকা প্রচুর পরিমাণ জল বেআইনি খনি পথ দিয়ে নরসমুদা খনিতে ঢুকে যায় । এই অবস্থায় অল্পের জন্য খনির শ্রমিকরা রক্ষা পেলেও বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন । সেই থেকে আজও বন্ধ রয়েছে খনি ৷ সম্প্রতি নরসমুদা খনির 140 জন শ্রমিককে অন্য খনিতে বদলি করার নোটিস বের করে ইসিএল । আর তাতেই খনি বন্ধের আশঙ্কা দেখছেন খনি শ্রমিক ও ইউনিয়নগুলি ।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব, বেআইনি খনি পরিদর্শন করে বললেন অগ্নিমিত্রা
তবে কি নরসমুদা কোলিয়ারির ভবিষ্যত অনিশ্চিত ? আর কি তা চালু করা যাবে না ? বেআইনি কয়লা খাদানের গ্রাসেই কি চলে গেল ইসিএলের এই আইনি খনি ? জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে উৎপাদন বন্ধে ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকা । কে নেবে এই ক্ষতির দায় ? উঠছে প্রশ্ন ।
এই বিষয়ে বাম শ্রমিক ইউনিয়ন সিটু-র নেতা সুদর্শন প্রসাদ বলেন, "বেআইনি কয়লা খাদান বন্ধ করতে কিছুই করেনি ইসিএল । আগে শ্রমিক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে বৈঠক করত ম্যানেজমেন্ট, এখন তাও করে না । আমাদের দাবি, খনি থেকে জল বের করে অবিলম্বে কয়লা খনি চালু করতে হবে । জল বের করা সঠিকভাবে হচ্ছে না । কর্মীদেরও অন্যত্র ছাঁটাই করা যাবে না "
অন্যদিকে, নরসমুদা খনির ম্যানেজার নন্দদুলাল সিংহ বলেন, "শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা ভেবে অক্টোবর পর্যন্ত খনি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ডিজিএমএস । তবে চারটি পাম্পের সাহায্যে ক্রমাগত জল বের করা হচ্ছে । পুরো বিষয়টি উচ্চমহলে জানানো হয়েছে ।"
আরও পড়ুন : Asansol Municipal Corporation : জিতেন্দ্র'র আমলের 550 কোটি বকেয়া, মাথায় হাত পৌর প্রশাসকের