আসানসোল, 17 ডিসেম্বর: উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়ে ফুসলিয়ে বাংলাদেশ থেকে 6 নাবালিকা এবং এক মহিলাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । আসানসোল স্টেশনে (Asansol Station) ধরা পড়ে গেল পাচারকারী । উদ্ধার হয়েছে নাবালিকারা ও মহিলা । আরপিএফ তাদের উদ্ধার করেছে । রেল পুলিশ বিভিন্ন ধারায় মামলা শুরু করেছে ।
বাংলাদেশ থেকে নাবালিকাদের নিয়ে এসে দেহ ব্যবসায় কাজে লাগানো নতুন নয় । এর আগে কুলটির লছিপুর নিষিদ্ধপল্লি থেকে এমন বহু বাংলাদেশি নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে । যাদের অনেকেই দাবি করেছিল, পরিচারিকার কাজ দেওয়া কিংবা উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাদের বাংলাদেশ থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল ।
আসানসোল রেল স্টেশনের ওয়েটিং রুমে এমনই নাবালিকাদের দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফের (RPF) । তাদের পোশাক পরিচ্ছদ, ভাষা ও আচরণ পরিচিত না হওয়ায়, আরপিএফ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । মোট 7 জন ছিলেন, যার মধ্যে 6 জন নাবালিকা । তাদের সঙ্গেই ছিলেন নূর রশিদ নামে মায়ানমারের এক ব্যক্তি । তবে নূর রশিদের সঙ্গে আরও একজন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে । তিনি সুযোগ বুঝে পালিয়েছেন বলে খবর । ওই মহিলা আরপিএফ আধিকারিকদের জানান, নূর রশিদ ও আরেক বাংলাদেশি ব্যক্তি তাদের উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছিল (Myanmar Trafficker Arrested with six Bangladeshi minor girl) ।
গত 15 ডিসেম্বর তারা বাংলাদেশ থেকে এই দেশে আসে । এরপর কোনওভাবে আসানসোল পৌঁছয় । সেখান থেকেই ট্রেন ধরে দিল্লি যেত তারা । দ্বিতীয়শ্রেণির বিশ্রামাগারে তারা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল । তখনই দায়িত্বপ্রাপ্ত আরপিএফদের দেখে সন্দেহ হয় । তাদের পোশাক পরিচ্ছদ, ব্যবহার ও ভাষা অন্যদেশের মনে হওয়াতে প্রথমে তাদের আরপিএফ পোস্টে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে । এরপরেই অবৈধ অভিবাসন এবং মানব পাচার সংক্রান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সবাইকে আসানসোল জিআরপি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: মানব পাচারচক্রের জাল থেকে উদ্ধার 4 নাবালিকা সহ 6, গ্রেফতার 1
বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে রেলপুলিশ । কীভাবে তারা এল, আসলে মহিলাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা সঠিক ভাবে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ৷