দুর্গাপুর, 27 নভেম্বর: টোটোয় চড়ে ভাড়া না দিয়ে টো-টো করে ঘুরে বেড়ানোই নেশা । বেনাচিতি বাজার, ইসকনের মন্দির থেকে স্টিল টাউনশীপের বিভিন্ন এলাকায় টোটোতে চড়ে ঘুরে বেড়ায় স্বয়ং বজরংবলী । এমনই নজির বিহীন দৃশ্য ধরা পড়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। যাত্রীবাহী একটি টোটো রিক্সায় নিত্যদিন হনুমানকে ঘুরে বেড়াতে দেখেন পথচারী থেকে টোটোর যাত্রীরা । আবার ওই টোটোতে বসেই স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করছেন আবার যাত্রীরাও । কাউকে কোনও ভাবে বিরক্ত করে না বজরংবলী ৷
শুধু যে টোটোয় চড়ে ঘুরে বেড়ায় তা নয় টোটো চালককে দু’হাত তুলে আর্শীবাদ দেয় ৷ আবার বজরঙ্গীজি'কে প্রণামও করতে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দাও ৷ টোটো চালক মুকেশ দত্তের দাবি, ওই হনুমানটিকে সঙ্গে নিয়ে টোটোর যাত্রা শুরু করলে আয় বেশ ভালোই হয় । দীর্ঘদিন ধরে এই ভাবেই জোড়ালো হচ্ছে মুকেশ ও বজরঙ্গীর অটুট সম্পর্ক । ওই টোটো চালক বলেন, " কয়েকমাস আগে একটা প্রাপ্তবয়স্ক হনুমান দল ছুট হয়ে গিয়েছিল । আমাদের এলাকায় একাই ঘোরাঘুরি শুরু করে । এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আমিও তাকে খাবার খাওয়াতাম । একদিন দেখি আমি টোটো নিয়ে রোজগারের জন্য বের হতেই আমার টোটোর সিটে এসে বসে পরে ওই হনুমানটি । প্রথমে ভাবতাম হয়ত যাত্রী আসবে না ৷ কিন্তু এখন দেখছি যাত্রীরা সাওয়ারি হচ্ছেন হনুমানের সঙ্গে ৷ টোটো করে ঘুরে বেড়ানো তার নেশা হয়ে দাড়িয়েছে বর্তমানে। এলাকায় ফিরে এসে সে নিজের মতো ফের ঘুরে ঘুরে বেড়ায়।"
স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ বোস বলেন, অবাক হয়েছিলাম এটা দেখে যে হনুমান আবার টোটোর যাত্রী । প্রায়ই দেখি যাত্রী-সহ ওই হনুমানটি টোটোতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে । আমরা শুনেছি হনুমানের বাচ্চা যখন মায়ের কোল থেকে নীচে পড়ে যায়। তখন তার মা বা হনুমানের দল তাকে আর সঙ্গে নেয় না। সেই বাচ্চা হনুমানটি লোকালয়ে বেড়ে ওঠে। সেই সময় সে মানুষের মত চালচলন শুরু করে । এই ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে অনুমান করছি । টোটোতে বসে যাচ্ছে তো মনে হচ্ছে মানুষের মত অবিকল এক যাত্রী যাচ্ছে । নজিরবিহীন দৃশ্য একেবারেই।"
আরও পড়ুন: