ETV Bharat / state

Mid Day Meal: শিক্ষকদের ধর্মঘটের জেরে মিড-ডে মিল বন্ধ থাকায় বিক্ষোভ অভিভাবকদের - শিক্ষকদের ধর্মঘট

শিক্ষকদের ধর্মঘটের জেরে স্কুলে তালা ৷ মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) রান্না হয়নি কেন প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের ৷

Mid Day Meal
মিড ডে মিল
author img

By

Published : Mar 11, 2023, 8:27 PM IST

ধর্মঘটের জেরে মিড ডে মিল বন্ধ থাকায় বিক্ষোভ অভিভাবকদের

দুর্গাপুর, 11 মার্চ: শুক্রবার যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ডাকা 24 ঘণ্টা সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের (Protest in DA issue) আঁচ দুর্গাপুর পৌরনিগমের 12 নম্বর ওয়ার্ডের কাণ্ডেশ্বর স্বর্গীয় সত্যগোপাল মুখোপাধ্যায় অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । শতাধিক পড়ুয়ারা এসেছিল স্কুলে ৷ মিড-ডে মিলের কর্মীরাও যথাসময়ে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ে ৷ কিন্তু স্কুলের গেট না খোলায় তাদেরকে ফিরতে হয়েছে । কেন স্কুল বন্ধ ছিল ? কেন এই বিদ্যালয়ের প্রায় 125 জন খুদে পড়ুয়া অভুক্ত থাকল শুক্রবার ? এই প্রশ্ন তুলে শনিবার বেলা 11টা নাগাদ ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কয়েকজন অভিভাবক ।

দুর্গাপুর নগর নিগমের 12 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের বুথ কনভেনার উত্তমকুমার দাস রীতিমত প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন । স্কুলের টিচার ইনচার্জকে প্রশ্ন করেন, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসবে না বলে স্কুলের পরিচালন সমিতিকে কেন জানানো হল না ? কেন কচিকাঁচাদের মুখে সরকারি মিড-ডে মিলের খাবার পৌঁছে দেওয়া গেল না ? স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল পরিচালনা কমিটিকে না-জানিয়েই অভিযোগ ওয়ার্ডের কনভেনরের । তিনি প্রশ্ন তোলেন, পঠনপাঠন কেন বন্ধ রাখা হল ? কেন মিড-ডে মিল বন্ধ রাখা হল ?

প্রশ্নের উত্তরে ওই স্কুলের টিচার ইনচার্জ আকিবুর রহমান জানান, তাঁদের অধিকারের লড়াই ছিল । সেজন্যই তাঁরা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুক্ষণ ধরে স্কুল চত্বরে উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি তৈরি হয় । স্কুলের মিড-ডে মিলের সঙ্গে যুক্ত তিনজন কর্মী ৷ তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, "আমরা শুক্রবার সময় মত স্কুলে এসেছিলাম । এসে দেখলাম স্কুলের গেটে তালা ঝুলছে । ছাত্র-ছাত্রীরা এসেছিল । কিন্তু স্কুলের গেটে তালা থাকার কারণে আমরা কাল রান্না করতে পারিনি (Mid Day Meal not served at school) । আর সেই কারণেই শুক্রবার ছাত্র-ছাত্রীদের দুপুরের খাবার খেতে দেওয়া হয়নি ।"

যদিও ছাত্রছাত্রীদের এই কষ্টের কথা শোনার পরেও টিচার ইনচার্জের যুক্তি, তাঁরাও কষ্টে রয়েছেন । তাঁদের অনেক আবেদন নিবেদনে সরকার হয় কর্ণপাত করেনি । তিনি বলেন, "তাই এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলাম নৈতিকভাবে সমর্থন করে । তার জন্য আমাদেরকে স্কুল শিক্ষা দফতরে ব্যক্তিগতভাবে অনুপস্থিতির কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে । আমাদের একদিনের বেতন কেটে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে । আমরা কষ্ট করছি ।"

আরও পড়ুন: 'ইনিবিনি টাপাটিনি, ডিএ চোর দিদিমণি' স্লোগানে সরগরম আসানসোল

ধর্মঘটের জেরে মিড ডে মিল বন্ধ থাকায় বিক্ষোভ অভিভাবকদের

দুর্গাপুর, 11 মার্চ: শুক্রবার যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ডাকা 24 ঘণ্টা সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের (Protest in DA issue) আঁচ দুর্গাপুর পৌরনিগমের 12 নম্বর ওয়ার্ডের কাণ্ডেশ্বর স্বর্গীয় সত্যগোপাল মুখোপাধ্যায় অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । শতাধিক পড়ুয়ারা এসেছিল স্কুলে ৷ মিড-ডে মিলের কর্মীরাও যথাসময়ে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ে ৷ কিন্তু স্কুলের গেট না খোলায় তাদেরকে ফিরতে হয়েছে । কেন স্কুল বন্ধ ছিল ? কেন এই বিদ্যালয়ের প্রায় 125 জন খুদে পড়ুয়া অভুক্ত থাকল শুক্রবার ? এই প্রশ্ন তুলে শনিবার বেলা 11টা নাগাদ ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কয়েকজন অভিভাবক ।

দুর্গাপুর নগর নিগমের 12 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের বুথ কনভেনার উত্তমকুমার দাস রীতিমত প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন । স্কুলের টিচার ইনচার্জকে প্রশ্ন করেন, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসবে না বলে স্কুলের পরিচালন সমিতিকে কেন জানানো হল না ? কেন কচিকাঁচাদের মুখে সরকারি মিড-ডে মিলের খাবার পৌঁছে দেওয়া গেল না ? স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল পরিচালনা কমিটিকে না-জানিয়েই অভিযোগ ওয়ার্ডের কনভেনরের । তিনি প্রশ্ন তোলেন, পঠনপাঠন কেন বন্ধ রাখা হল ? কেন মিড-ডে মিল বন্ধ রাখা হল ?

প্রশ্নের উত্তরে ওই স্কুলের টিচার ইনচার্জ আকিবুর রহমান জানান, তাঁদের অধিকারের লড়াই ছিল । সেজন্যই তাঁরা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুক্ষণ ধরে স্কুল চত্বরে উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি তৈরি হয় । স্কুলের মিড-ডে মিলের সঙ্গে যুক্ত তিনজন কর্মী ৷ তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, "আমরা শুক্রবার সময় মত স্কুলে এসেছিলাম । এসে দেখলাম স্কুলের গেটে তালা ঝুলছে । ছাত্র-ছাত্রীরা এসেছিল । কিন্তু স্কুলের গেটে তালা থাকার কারণে আমরা কাল রান্না করতে পারিনি (Mid Day Meal not served at school) । আর সেই কারণেই শুক্রবার ছাত্র-ছাত্রীদের দুপুরের খাবার খেতে দেওয়া হয়নি ।"

যদিও ছাত্রছাত্রীদের এই কষ্টের কথা শোনার পরেও টিচার ইনচার্জের যুক্তি, তাঁরাও কষ্টে রয়েছেন । তাঁদের অনেক আবেদন নিবেদনে সরকার হয় কর্ণপাত করেনি । তিনি বলেন, "তাই এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলাম নৈতিকভাবে সমর্থন করে । তার জন্য আমাদেরকে স্কুল শিক্ষা দফতরে ব্যক্তিগতভাবে অনুপস্থিতির কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে । আমাদের একদিনের বেতন কেটে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে । আমরা কষ্ট করছি ।"

আরও পড়ুন: 'ইনিবিনি টাপাটিনি, ডিএ চোর দিদিমণি' স্লোগানে সরগরম আসানসোল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.