ETV Bharat / state

Medha Patkar: কারখানা বিক্রির চক্রান্ত করছে কেন্দ্র ! অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে পথে মেধা পাটকর

author img

By

Published : Dec 8, 2022, 8:38 PM IST

আসানসোলের (Asansol) ঐতিহ্যশালী চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা (Chittaranjan Locomotive Works) বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই অভিযোগ তুলে এবং এর প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার পথে নামলেন সমাজকর্মী মেধা পাটকর (Medha Patkar) ৷ কী বললেন তিনি ?

Medha Patkar hold Agitation in Asansol to show protest against decentralization of Chittaranjan Locomotive Works
Medha Patkar: কারখানা বিক্রির চক্রান্ত করছে কেন্দ্র ! অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে পথে মেধা পাটকর

আসানসোল, 8 ডিসেম্বর: বিলগ্নীকরণের নামে ধীরে ধীরে বেচে দওয়া হচ্ছে আসানসোলের (Asansol) চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা (Chittaranjan Locomotive Works) ৷ এই অভিযোগ তুলে আন্দোলনে সামিল হল কয়েকটি সংগঠন ৷ বৃহস্পতিবার আসানসোলে এসে সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সমাজকর্মী মেধা পাটকর (Medha Patkar) ৷

এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচির আওতায় রূপনারায়ণপুর থেকে দীর্ঘ মিছিল শুরু হয় ৷ বাকিদের সঙ্গে তাতে পা মেলান মেধাও ৷ স্থির করা হয়েছিল, এই মিছিল শেষ হবে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় ৷ মিছিল শেষে কারখানায় ঢুকে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন আন্দোলনকারীরা ৷ কিন্তু, মিছিলটি তার গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই চিত্তরঞ্জন রেল শহরের তিন নম্বর প্রবেশপথের কাছে ব্যারিকেড করে দেয় আরপিএফ ৷ ফলে সেখানেই আটকে যায় মেধাদের মিছিল ৷ এরপর বেশ কিছুক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে বচসা এবং ব্যারিকেড নিয়ে টানাটানি চলে ৷ কারখানার ভিতরে যাওয়ার সুযোগ না পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন মেধা ও তাঁর অনুগামীরা ৷

আরও পড়ুন: রেল কারখানার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল চিত্তরঞ্জন শহর

এই অবস্থান বিক্ষোভের ফলে বেশ কিছুক্ষণ শহরের তিন নম্বর প্রবেশপথ অবরুদ্ধ হয়ে যায় ৷ প্রসঙ্গত, চিত্তরঞ্জন রেল শহরের এই তিন নম্বর প্রবেশপথটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারণ এই পথ দিয়েই আসানসোল থেকে বাস ও অন্যান্য যানবাহন যাতায়াত করে ৷ প্রায় দেড় ঘণ্টা মেধা পাটকর ও তাঁর অনুগামীরা রাস্তাতেই বসে থাকেন ৷ শেষ পর্যন্ত চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্দোলনকারীদের তরফে পাঁচজন প্রতিনিধি ভিতরে ঢুকতে পারবেন ৷ তাঁদের সকলকেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে ৷ সেই অনুসারে, মেধা পাটকর-সহ মোট পাঁচজন কারখানার ভিতর যান এবং নিজেদের দাবিপত্র কর্তৃপক্ষকে জমা দেন ৷

পথে নেমে প্রতিবাদ ৷

আন্দোলন চলাকালীন মেধা পাটকার বলেন, "চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার গৌরবজনক অতীত ছিল ৷ তারা 500 ইঞ্জিন তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড করেছে ৷ কিন্তু, বর্তমানে সমস্ত যন্ত্রাংশ বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয় ৷ এখানে শুধুমাত্র সেইসব যন্ত্রাংশ অ্য়াসেম্বল করা হয় ৷ আগে যেখানে 18 হাজার শ্রমিক এখানে কাজ করতেন, আজ সেখানে মাত্র 9 হাজার 500 শ্রমিক রয়েছেন ৷ তাও তাঁদের অধিকাংশই চুক্তিভিত্তিক কর্মী ৷ এই কারখানাকে আদানি, আম্বানির কাছে গোপনে বেচে দেওয়া চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ আমরা তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি ৷ আমরা ভয় পাই না, ভয় দেখাইও না ৷ আমরা ততদিন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অহিংস আন্দোলন করে যাব, যতদিন না এই কারখানা বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত কেন্দ্র প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ৷"

আসানসোল, 8 ডিসেম্বর: বিলগ্নীকরণের নামে ধীরে ধীরে বেচে দওয়া হচ্ছে আসানসোলের (Asansol) চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা (Chittaranjan Locomotive Works) ৷ এই অভিযোগ তুলে আন্দোলনে সামিল হল কয়েকটি সংগঠন ৷ বৃহস্পতিবার আসানসোলে এসে সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সমাজকর্মী মেধা পাটকর (Medha Patkar) ৷

এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচির আওতায় রূপনারায়ণপুর থেকে দীর্ঘ মিছিল শুরু হয় ৷ বাকিদের সঙ্গে তাতে পা মেলান মেধাও ৷ স্থির করা হয়েছিল, এই মিছিল শেষ হবে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় ৷ মিছিল শেষে কারখানায় ঢুকে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন আন্দোলনকারীরা ৷ কিন্তু, মিছিলটি তার গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই চিত্তরঞ্জন রেল শহরের তিন নম্বর প্রবেশপথের কাছে ব্যারিকেড করে দেয় আরপিএফ ৷ ফলে সেখানেই আটকে যায় মেধাদের মিছিল ৷ এরপর বেশ কিছুক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে বচসা এবং ব্যারিকেড নিয়ে টানাটানি চলে ৷ কারখানার ভিতরে যাওয়ার সুযোগ না পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন মেধা ও তাঁর অনুগামীরা ৷

আরও পড়ুন: রেল কারখানার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল চিত্তরঞ্জন শহর

এই অবস্থান বিক্ষোভের ফলে বেশ কিছুক্ষণ শহরের তিন নম্বর প্রবেশপথ অবরুদ্ধ হয়ে যায় ৷ প্রসঙ্গত, চিত্তরঞ্জন রেল শহরের এই তিন নম্বর প্রবেশপথটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারণ এই পথ দিয়েই আসানসোল থেকে বাস ও অন্যান্য যানবাহন যাতায়াত করে ৷ প্রায় দেড় ঘণ্টা মেধা পাটকর ও তাঁর অনুগামীরা রাস্তাতেই বসে থাকেন ৷ শেষ পর্যন্ত চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্দোলনকারীদের তরফে পাঁচজন প্রতিনিধি ভিতরে ঢুকতে পারবেন ৷ তাঁদের সকলকেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে ৷ সেই অনুসারে, মেধা পাটকর-সহ মোট পাঁচজন কারখানার ভিতর যান এবং নিজেদের দাবিপত্র কর্তৃপক্ষকে জমা দেন ৷

পথে নেমে প্রতিবাদ ৷

আন্দোলন চলাকালীন মেধা পাটকার বলেন, "চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার গৌরবজনক অতীত ছিল ৷ তারা 500 ইঞ্জিন তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড করেছে ৷ কিন্তু, বর্তমানে সমস্ত যন্ত্রাংশ বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয় ৷ এখানে শুধুমাত্র সেইসব যন্ত্রাংশ অ্য়াসেম্বল করা হয় ৷ আগে যেখানে 18 হাজার শ্রমিক এখানে কাজ করতেন, আজ সেখানে মাত্র 9 হাজার 500 শ্রমিক রয়েছেন ৷ তাও তাঁদের অধিকাংশই চুক্তিভিত্তিক কর্মী ৷ এই কারখানাকে আদানি, আম্বানির কাছে গোপনে বেচে দেওয়া চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ আমরা তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি ৷ আমরা ভয় পাই না, ভয় দেখাইও না ৷ আমরা ততদিন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অহিংস আন্দোলন করে যাব, যতদিন না এই কারখানা বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত কেন্দ্র প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.