ETV Bharat / state

নির্বাচনী প্রচারে MAMC খোলার আশ্বাস আলুওয়ালিয়ার - election

MAMC খোলার জন্য উদ্যোগী আলুওয়ালিয়া। নির্বাচনী প্রচারে জানালেন স্বয়ং।

সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া
author img

By

Published : Apr 13, 2019, 7:20 AM IST

দুর্গাপুর, 13 এপ্রিল : MAMC কারখানা কি ফের খুলতে চলেছে? এমনই আভাস শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার মুখে। গতকাল নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বিভিন্ন চালু ও বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রকল্প ও কারখানার আধুনিকীকরণের প্রয়োজনে বিশেষ দপ্তর তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বন্ধ ও ধুঁকতে থাকা কারখানার উন্নয়নে সবরকম সাহায্য করবে ওই দপ্তর।

দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। ওই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন, "এক সময় এই শিল্পনগরী স্বর্গ ছিল। কিন্তু বিগত দিনে কেন্দ্রে যে সরকার ছিল তারা ভারী শিল্প কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেনি। যে কারণে এই কারখানাগুলি রুগ্ন হয়ে পড়েছে। দুর্গাপুরের MAMC কারখানা বন্ধ হয়ে যায় সেই কারণেই।" এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, MAMC মূলত খনি থেকে কয়লা উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয় সেধরণের যন্ত্রাংশ তৈরি করে। ফের সেই সব যন্ত্রাংশ যাতে MAMC -তে তৈরি হয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সব কারখানার আধুনিকীকরণের প্রয়েজন তা নিয়ে একটি আলাদা দপ্তরও করেছেন।"

কয়েকবছর আগে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রাজনৈতিক সভায় MAMC কারখানা খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি সেই একই তিমিরে। তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় জানান, গত 5 বছর মোদি সরকার মিথ্যে ছাড়া আর কিছু বললনেনি। তিনি আরও বলেন, "এর আগে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন সবার অ্যাকাউন্টে 15 লাখ করে টাকা ঢুকে যাবে। কোটি কোটি বেকারের চাকরি হবে। ভাঁওতাবাজ মোদির একটা প্রতিশ্রুতিও বাস্তবে পূরণ হতে দেখা যায়নি। আর তার দলের এই প্রার্থী বন্ধ কারখানা খুলে দেব বলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।"

এবিষয়ে CPI(M) নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন "ভোট এলেই বন্ধ কারখানা নিয়ে প্রতিশ্রুতি শোনা যায়। অনেকের স্মতিতে আজ ভেসে ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মানুষের সামনে ফ্যাক্স বার্তা তুলে ধরার ঘটনার কথা। তখন অটলজি ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর আজ সেই দলেরই এক প্রতিনিধি ফের প্রতিশ্রুতি দিলেন MAMC কারখানা খোলার জন্য। এরা কেউ কারখানা খোলার পক্ষে নেই।

2002 সালে এই কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় 15০০ জন কর্মী সেই সময় এই কারখানায় প্রত্যক্ষভাবে কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কেন্দ্রে তখন NDA সরকার। অটল বিহারী বাজপেয়ি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তখন NDA এর একটি শরিক দল ছিল।

দুর্গাপুর, 13 এপ্রিল : MAMC কারখানা কি ফের খুলতে চলেছে? এমনই আভাস শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার মুখে। গতকাল নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বিভিন্ন চালু ও বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রকল্প ও কারখানার আধুনিকীকরণের প্রয়োজনে বিশেষ দপ্তর তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বন্ধ ও ধুঁকতে থাকা কারখানার উন্নয়নে সবরকম সাহায্য করবে ওই দপ্তর।

দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। ওই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন, "এক সময় এই শিল্পনগরী স্বর্গ ছিল। কিন্তু বিগত দিনে কেন্দ্রে যে সরকার ছিল তারা ভারী শিল্প কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেনি। যে কারণে এই কারখানাগুলি রুগ্ন হয়ে পড়েছে। দুর্গাপুরের MAMC কারখানা বন্ধ হয়ে যায় সেই কারণেই।" এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, MAMC মূলত খনি থেকে কয়লা উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয় সেধরণের যন্ত্রাংশ তৈরি করে। ফের সেই সব যন্ত্রাংশ যাতে MAMC -তে তৈরি হয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সব কারখানার আধুনিকীকরণের প্রয়েজন তা নিয়ে একটি আলাদা দপ্তরও করেছেন।"

কয়েকবছর আগে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রাজনৈতিক সভায় MAMC কারখানা খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি সেই একই তিমিরে। তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় জানান, গত 5 বছর মোদি সরকার মিথ্যে ছাড়া আর কিছু বললনেনি। তিনি আরও বলেন, "এর আগে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন সবার অ্যাকাউন্টে 15 লাখ করে টাকা ঢুকে যাবে। কোটি কোটি বেকারের চাকরি হবে। ভাঁওতাবাজ মোদির একটা প্রতিশ্রুতিও বাস্তবে পূরণ হতে দেখা যায়নি। আর তার দলের এই প্রার্থী বন্ধ কারখানা খুলে দেব বলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।"

এবিষয়ে CPI(M) নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন "ভোট এলেই বন্ধ কারখানা নিয়ে প্রতিশ্রুতি শোনা যায়। অনেকের স্মতিতে আজ ভেসে ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মানুষের সামনে ফ্যাক্স বার্তা তুলে ধরার ঘটনার কথা। তখন অটলজি ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর আজ সেই দলেরই এক প্রতিনিধি ফের প্রতিশ্রুতি দিলেন MAMC কারখানা খোলার জন্য। এরা কেউ কারখানা খোলার পক্ষে নেই।

2002 সালে এই কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় 15০০ জন কর্মী সেই সময় এই কারখানায় প্রত্যক্ষভাবে কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কেন্দ্রে তখন NDA সরকার। অটল বিহারী বাজপেয়ি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তখন NDA এর একটি শরিক দল ছিল।

Intro:দুর্গাপুরের বন্ধ রাষ্ট্রায়াত্ত কারখানা এম এ এম সি খোলার প্রতিশ্রুতি আজ শোনা গেল বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার গলায়। যা শুনে বহুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী সভায় এসে এই বন্ধ এম এ এম সি কারখানা খোলার ব্যাপারে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা মনে পড়ে গেল অনেকেরই।আলুওয়ালিয়া জানালেন এই কারখানায় খনিতে কয়লা উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি হতো। এখন কয়লা খনি গুলিতেও আধুনিক প্রযুক্তি এসেছে। এখন কয়লা খনি গুলি খোলামুখ খনি তে পরিণত হয়েছে। তাই এমএএমসি কারখানায় খোলামুখ খনির কাজে যেসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে তা তৈরীর প্রক্রিয়া চলছে। আর বিজেপির প্রার্থীর এই কথা শুনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় জানালেন গত 5 বছর মোদি সরকার মিথ্যে ধাপ্পা ছাড়া আর কিছু দেয়নি।এন ডি এ -ওয়ান সরকারের সময় কালে এই এম এ এম সি কারখানা বন্ধ হয়েছিল। আজ সেই এনডিএ জোটের বড় শরিক বিজেপির প্রার্থীর মুখে শোনা গেল এমএএমসি কারখানা খোলার কথা। এদেরকে আর কেউ বিশ্বাস করবে? ""বিজেপি প্রার্থীর এম এ এম সি খোলার কথা শুনে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বামেরাও।

দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন আইনজীবীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। এই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে এই বিজেপি প্রার্থী বলেন ""এক সময় এই শিল্প নগরী স্বর্গ ছিল। কিন্তু বিগত দিনে কেন্দ্রে যে সরকার গুলি ছিল তারা এই সমস্ত বড় বড় ভারী শিল্প কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেনি। যে কারণে এই কারখানা গুলি রুগ্ন হয়ে পড়েছে। দুর্গাপুরের এম এ এম সি কারখানা বন্ধ হয়ে যায় সেই কারণেই। এম এ এম সি কারখানায় মূলত কয়লা খনিতে কয়লা উৎপাদন এর কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি তৈরি হতো। এখন কয়লা খনির প্রকৃতি বদলেছে, এখন খোলামুখ খনি। তাই এই খনিতে কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরি কাজ এম এ এম সি তে যাতে হয় সেই ব্যবস্থা চলছে.।দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সব কারখানায় আধুনিকীকরণের প্রয়োজন তা নিয়ে একটি আলাদা দপ্তর করেছেন।"" অর্থাৎ দুর্গাপুরের বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় এম এ এম সি আবার খোলা হবে এমন আশ্বাস কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর গলায় শোনা গেল। 2002 সালে রাষ্ট্রায়াত্ব এই শিল্প কারখানা টি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় 15০০ জন কর্মী সেই সময় এই কারখানায় প্রত্যক্ষভাবে কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। কেন্দ্রে তখন এন ডি এ সরকার। অটল বিহারী বাজপায়ী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তখন এন ডি এ ওয়ান এর একটি শরিক দল ছিল। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরে ভোট প্রচারে এসে একটি ফ্যাক্স বার্তা জনগণের উদ্দেশ্যে তুলে ধরে বলেছিলেন ""অটল বিহারী বাজপায়ীর এই ফ্যাক্স বার্তা যাতে এম এ এম সি কারখানা খোলা হবে বলা হয়।কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আজও এম এ এম সি কারখানা আর খোলা হয়নি। 2010 সালে এম এ এম সি কারখানা 100 কোটি টাকায় নেই তিনটি রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা কোল ইন্ডিয়া, বি ই এম এল এবং ডিভিসি. কিন্তু এই তিন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকার কারণে বন্ধ এই রষ্ট্রায়াত্ব কারখানা আর খোলা যায়নি। বিজেপি প্রার্থীর এই কথা শুনে তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার টিএমসি র কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় জানালেন ""এর আগে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন সবার একাউন্টে 15 লক্ষ করে টাকা ঢুকে যাবে। বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে কোটি কোটি বেকারের চাকরি হবে। ভাঁওতাবাজ মোদির একটা প্রতিশ্রুতিও বাস্তবে পূরণ হতে দেখা যায়নি। আর তার দলের এই প্রার্থী বন্ধ কারখানা খুলে দেবো বলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।"" অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন ""ভোট এলেই বন্ধ কারখানা নিয়ে প্রতিশ্রুতি শোনা যায়। অনেকের স্মতিতে আজ ভেসে ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মানুষের সামনে ফ্যাক্স বার্তা তুলে ধরার ঘটনার কথা। তখন অটল বিহারী বাজপায়ী ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর আজ সেই দলেরই এক প্রতিনিধি ফের প্রতিশ্রুতি দিলেন এম এ এম সি কারখানা খোলার জন্য। এই কারখানা খোলার জন্য এই রাজ্যের প্রতিনিধিরা লোকসভায় লড়াই চালিয়েছিলেন ক্রমাগত তার জন্যই তিনটি রাষ্ট্রয়াত্ব সংস্থা এই বন্ধ কারখানা কে অধিগ্রহণ করে কিন্তু। পরে 2011 তে রাজ্য সরকারের পরিবর্তন এর পরেই সব বিশবাঁও জলে চলে গেছে। না বিজেপি, না তৃনমূল। এরা বন্ধ কারখানা খোলার পক্ষে তো নয়। উল্টে আরো যে কারখানা গুলি আছে হয় সেগুলির বেসরকারিকরণ না হয়ত সেগুলিকে রুগ্ন শিল্পের আখ্যা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার কথাই এরা ভাবে। একমাত্র বামপন্থীরাই বন্ধ শিল্প খোলার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।"" বর্ধমান-দুর্গাপুর এই কেন্দ্রে শিল্পনগরী দুর্গাপুরের বন্ধ কারখানা খোলার দাবি একটি নির্বাচনী ইস্যু।আর বিজেপি প্রার্থী কিন্তু দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে এই বন্ধ কারখানা খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন।যা শুনে ভোটারদের মন কতটা ভরল তা জানার জন্য অপেক্ষা ২৩ শে মে পর্যন্ত।।Body:কপিConclusion:কপি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.