দুর্গাপুর, 13 এপ্রিল : MAMC কারখানা কি ফের খুলতে চলেছে? এমনই আভাস শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার মুখে। গতকাল নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বিভিন্ন চালু ও বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রকল্প ও কারখানার আধুনিকীকরণের প্রয়োজনে বিশেষ দপ্তর তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বন্ধ ও ধুঁকতে থাকা কারখানার উন্নয়নে সবরকম সাহায্য করবে ওই দপ্তর।
দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। ওই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন, "এক সময় এই শিল্পনগরী স্বর্গ ছিল। কিন্তু বিগত দিনে কেন্দ্রে যে সরকার ছিল তারা ভারী শিল্প কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেনি। যে কারণে এই কারখানাগুলি রুগ্ন হয়ে পড়েছে। দুর্গাপুরের MAMC কারখানা বন্ধ হয়ে যায় সেই কারণেই।" এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, MAMC মূলত খনি থেকে কয়লা উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয় সেধরণের যন্ত্রাংশ তৈরি করে। ফের সেই সব যন্ত্রাংশ যাতে MAMC -তে তৈরি হয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সব কারখানার আধুনিকীকরণের প্রয়েজন তা নিয়ে একটি আলাদা দপ্তরও করেছেন।"
কয়েকবছর আগে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রাজনৈতিক সভায় MAMC কারখানা খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি সেই একই তিমিরে। তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় জানান, গত 5 বছর মোদি সরকার মিথ্যে ছাড়া আর কিছু বললনেনি। তিনি আরও বলেন, "এর আগে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন সবার অ্যাকাউন্টে 15 লাখ করে টাকা ঢুকে যাবে। কোটি কোটি বেকারের চাকরি হবে। ভাঁওতাবাজ মোদির একটা প্রতিশ্রুতিও বাস্তবে পূরণ হতে দেখা যায়নি। আর তার দলের এই প্রার্থী বন্ধ কারখানা খুলে দেব বলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।"
এবিষয়ে CPI(M) নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন "ভোট এলেই বন্ধ কারখানা নিয়ে প্রতিশ্রুতি শোনা যায়। অনেকের স্মতিতে আজ ভেসে ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মানুষের সামনে ফ্যাক্স বার্তা তুলে ধরার ঘটনার কথা। তখন অটলজি ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর আজ সেই দলেরই এক প্রতিনিধি ফের প্রতিশ্রুতি দিলেন MAMC কারখানা খোলার জন্য। এরা কেউ কারখানা খোলার পক্ষে নেই।
2002 সালে এই কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় 15০০ জন কর্মী সেই সময় এই কারখানায় প্রত্যক্ষভাবে কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কেন্দ্রে তখন NDA সরকার। অটল বিহারী বাজপেয়ি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তখন NDA এর একটি শরিক দল ছিল।