আসানসোল, 7 এপ্রিল: বেআইনি কয়লা পাচারের তদন্তে বারবার তলব করা হলেও এখনই গ্রেফতার করা হবে না ৷ এবার মলয় ঘটককে এমনই অভয়বাণী শোনাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ৷ একাধিকবার রাজ্য়ের মন্ত্রী মলয় ঘটককে নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি। কিন্তু একবার ছাড়া আর ইডি দফতরের মুখোমুখি হননি মলয় ৷ এবার একধাপ এগিয়ে হাইকোর্টে গেলেন রাজ্য়ের মন্ত্রী ৷ যদিও মলয় ঘটকের মামলা শুনতে রাজি হননি বিচারপতি ৷ অন্য়দিকে, এজলাসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে পালটা দাবি করা হয়, মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হবে না ৷ ইডির এই বক্তব্য় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
একবার ইডির মুখোমুখি হলেও তারপর থেকে প্রতিবারই কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব এড়িয়েছে মলয় ঘটক। এবার ইডির তলব এড়াতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু বিচারপতি মলয়ের আবেদন শোনেননি এমনকী মামলাটিও খারিজ করে দেন। মামলাটি সাংসদ-বিধায়কদের জন্য গঠিত বিশেষ বেঞ্চে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে। আগামী 12 এপ্রিল এই মামলার শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে। যদিও এদিন হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন মলয় ঘটককে এখনই গ্রেফতার করা হবে না।
সাত মাস আগে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে ইডি তলব করেছিল। বেআইনি কয়লা মামলাতে তাঁকে তলব করা হয়। তার আগেও তাকে বেশ কয়েকবার তলব করা হয়েছে। এর মাঝে মাত্র একবার ইডির মুখোমুখি হয়েছেন মলয় ঘটক। এছাড়াও বেআইনি কয়লা কাণ্ডে গত সেপ্টেম্বর মাসে মলয় ঘটকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সূত্রের খবর, তল্লাশিতে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি মন্ত্রীর বাড়ি থেকে। অন্য়দিকে, বেআইনি কয়লা কাণ্ডের কিংপিন অনুপ মাজির নথি সংক্রান্ত বিষয়ে মলয় ঘটককে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু বারবার নোটিশ পাঠানোর পরও ইডি দফতরে হাজিরা এড়িয়ে মলয় ঘটক দিল্লির হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: অয়নের হার্ড ডিস্ক থেকে আরও 12 কোটি টাকার হিসেব পেল ইডি
বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু বিচারপতি মামলাটিকে সাংসদ বিধায়কদের মামলার শুনানীর জন্য যে বিশেষ বেঞ্চ আছে, সেখানে পাঠিয়ে দেন। আগামী 12 তারিখ সেখানেই মলয় ঘটকের এই মামলার শুনানি হবে। তার আগে মলয়ের বিরুদ্ধে কোনওরকমের ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য ইডিকে জানিয়েছেন বিচারপতি। ইডির আইনজীবী মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন, মলয় ঘটককে এই মুহূর্তে গ্রেফতার করা হবে না। যদিও এই মৌখিক আশ্বাসের কোনও মূল্য় নেই বলেই জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। সেক্ষেত্রে তাঁদের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের সময়ও এরকম মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।