দুর্গাপুর, 21 জুন : যুবকের মৃত্যু ঘিরে বাবার ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা । মৃতের নাম তাপস দত্ত । তাঁর বাড়ি পাণ্ডবেশ্বরের গোবিন্দপুর দাসপাড়ায় । অভিযোগ, তাপসকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে তাঁর বাবাই । কারণ এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ ।
তাপসের দৃষ্টিশক্তি কম ছিল । তাঁর বাবা সুকুমার দত্ত পেশায় একজন ECL কর্মী । কয়েকবছর আগে সুকুমার দত্তের স্ত্রীর মৃত্যু হয় । অভিযোগ, কোন্দা গ্রামের এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে সুকুমারের। এইদিকে তাপসকেও তিনি গুরুত্ব দিতেন না । এমনকী ঠিকঠাকভাবে ছেলের চোখের চিকিৎসাও করাননি । অথচ সুকুমারের বেতন কম নয় ।
তিনদিন আগে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাপসকে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভরতি করা হয় ।আজ তাপসের মৃত্যু হয় । এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সুকুমার দত্তের বাড়ি ঘেরাও করেন এলাকার মানুষ । বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । তাঁদের অভিযোগ, সুকুমার দত্ত তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলেছে । তাঁর কড়া শাস্তি প্রয়োজন । দীর্ঘক্ষণ সুকুমার দত্তের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা । ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ । মোতায়েন হয় কমব্যাট ফোর্স ।
পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ । কিন্তু কাজ না হলে শেষে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ । আপাতত স্থানীয়দের রোষ থেকে বাঁচাতে সুকুমার দত্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সুকুমার । তাই স্ত্রী এবং সন্তানকে অবহেলা করতেন । তার জেরেই স্ত্রী’র পর এইবার ছেলের মৃত্যু হল । সুকুমার দত্তের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।