অণ্ডাল, 17 সেপ্টেম্বর: "দিদিকে বলো" কর্মসূচি পালনে এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য হরিদাস পাল । ঘটনাটি অণ্ডালের উখরা পঞ্চায়েতের বিবির বাঁধের শান্তি পাড়া এলাকার । স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনেই বিভিন্ন ইশুতে পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য ভিন্ন সুরে কথা বলেন । পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা । উলটো দিকে হরিদাস অভিযোগ করেন, দলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে পরিষেবা দিতে পারছন না ।
আজ এলাকায় যান তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলি, তাঁর স্ত্রী নার্গিস বানো, উখরা পঞ্চায়েতের প্রধান রিতা ঘোষ, পঞ্চায়েত সদস্য হরিদাস পাল সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা । বিধায়কের সামনেই পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা । তাঁর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন । স্থানীয় বাসিন্দা আস্পিয়া বিবি, রবিউল খান ও মিরাজ খানের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য এলাকার কোনও খোঁজ রাখেন না । তাঁর কাছে কোনও অভাব-অভিযোগ নিয়ে গেলে তিনি কোনও গুরুত্ব দেন না । এলাকায় যাদের আবাস, ত্রিপল, রেশন কার্ড, বার্ধক্য ভাতা প্রয়োজন তাঁরা চেয়েও পাচ্ছেন না । অথচ যাদের প্রয়োজন নেই তারাই সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন ।
হরিদাস বলেন, "আমার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন । আমি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার ।" তাঁর পালটা অভিযোগ, "আমি জনপ্রতিনিধি অথচ আমাকে অন্ধকারে রেখেই পঞ্চায়েত প্রধান নিজের ইচ্ছামত কাজ করছেন । বিষয়টি আমি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও জেলাশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছি ।" এই অভিযোগ প্রসঙ্গে রিতা ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকার করেন । তবে উপপ্রধান রাজু মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের এলাকায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই । হরিদাসবাবু কেন এই ধরনের অভিযোগ করলেন তা খতিয়ে দেখব ।"