আসানসোল, 14 ডিসেম্বর: সকাল থেকেই ফিরহাদ হাকিমকে লেখা জিতেন্দ্র তেওয়ারির একটি চিঠি ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় । বিকেল পর্যন্ত বরফ গলেনি । অন্যদিকে আগামীকাল কলকাতায় বৈঠকে যাবেন বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি । তার আগে আজ বিকেলে কুলটির ডিসেরগড় মহা শ্মশানে একটি বৈদুতিন চুল্লির উদ্বোধন করেন তিনি । সেখানে তাঁর গলায় দেখা যায় গেরুয়া নামাবলি ।
আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ তাঁর অনুগামীদের গলায় গেরুয়া নামাবলি দেকা যায় । শ্মশানঘাটে বৈদুতিন চুল্লির উদ্বোধন, তাই নামাবলি দিয়ে অতিথি বরণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি । যদিও ইতিমধ্যেই এর মধ্যে অন্য ইঙ্গিত খুঁজতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকে ।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁর ভাষণে বলেন, "এটা ঠিক, যখন আসানসোলে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কলকাতায় গুটিকয়েক মানুষ আছেন যাঁরা এটা ভালো চোখে দেখেন না । কলকাতা এগিয়ে গেলে আমরা খুশি হই, কিন্তু আসানসোল এগিয়ে গেলে কলকাতার কিছু লোক আছে যাঁরা দুঃখ করে, দুঃখ পান । তাঁদের বলব দুঃখ করে ঘরে থাকুন । দুটো রুটি বেশি খান, কিন্তু আসানসোল এগিয়ে যাবেই ।"
আরও পড়ুন :-এই চিঠি যাঁরা জনসমক্ষে আনলেন, দায়দায়িত্ব তাঁদের ; বিস্ফোরক জিতেন্দ্র
জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, "আসানসোলের মানুষের আশা পূরণ করার জন্য যদি চেয়ার ছাড়তে হয় তবে তা ছাড়তে রাজি আছি । কলকাতায় বসে যদি কেউ ভাবেন তোমাকে চেয়ার দিয়েছি, সিকিউরিটি দিয়েছি, গাড়ি দিয়েছি, কিন্তু আসানসোলের কথা তুমি বলতে পারবে না ৷ কলকাতার সঙ্গে তুমি কম্পিটিশন করতে পারবে না । তাহলে বলব এরকম চেয়ার, গাড়ি, সিকিউরিটি কোনও কিছুরই দরকার নেই । আসানসোল আমার প্রাণকেন্দ্র । এখানকার মাটি আমার নিজের মাটি । এখানকার মানুষ যা চাইবে সেই কাজই আমরা করব ।’’