পাণ্ডবেশ্বর, 11 অগস্ট : দলের অসুস্থ নেত্রী সোনালী গিরির সঙ্গে তাঁর বাড়ি খোট্টাডিহিতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) ৷ সেখানেই শাসকদলের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ককে ৷ জিতেন্দ্রর অভিযোগ, টিএমসি সমর্থকরা তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ৷ এমনকি সোনালী গিরির বাড়ির বাইরে স্লোগানও দেয় তারা ৷ শুধু তাই নয়, সোনালী গিরির বাড়িতে পাথরও ছোড়া হয় । ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে নিগৃহীত হয়েছেন এক সাংবাদিকও ৷
এদিন সোনালী গিরির সঙ্গে দেখা করে তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময় শাসকদলের সমর্থকরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ জিতেন্দ্র তিওয়ারির । এমনকি একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, যিনি ঘটনাস্থলে ঘটনার ছবি তুলছিলেন, তাঁকেও মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ ওই সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন ৷ ঠেলাঠেলিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি মাটিতে বসেও পড়েন ৷ তাঁকেও পাল্টা চিৎকার দিতে শোনা যায় ৷
জিতেন্দ্রের অভিযোগ, "একজন ব্যক্তির খারাপ সময়ে তাঁর মঙ্গল কামনা কী অপরাধ ? যদি টিএমসির লোকেরা সত্যিই পাণ্ডবেশ্বরে জনস্বার্থে কাজ করে থাকে, তাহলে আমি পাণ্ডবেশ্বরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ কেন সৃষ্টি হয় ? স্বাধীন ভারতে যেকোন মানুষের যেকোন জায়গায় যাওয়ার স্বাধীনতা আছে । একজন নাগরিক হিসাবে আমি যেকোন জায়গায় যেতে পারি ৷"
তিনি আরও বলেন, "সোনালী গিরি সম্প্রতি টিউমারের অপারেশন হয়েছে । আমি সোনালী গিরির বাড়িতে গিয়ে মানবিক ভাবে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিলাম । এটাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ভুল । আমরা যে এখানে আসব একদিন আগে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম ৷ তা সত্ত্বেও, পুলিশের উপস্থিতিতে, এই ধরনের নিন্দনীয় কাজ টিএমসির লোকেরা করল ।" জিতেন্দ্র বলেন, "ভয় দেখিয়ে আমাকে আটকানো যাবে না । আমি যখন খুশি আমার দলের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে পারি ৷"
অন্যদিকে পাণ্ডবেশ্বরের টিএমসি বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী বলেন, "এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ নেই । সোনালী গিরি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন । তাই প্রতারিতরা তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান ।"
আরও পড়ুন : সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার অনুরোধ জানাতে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ জিতেন্দ্র তিওয়ারির