ETV Bharat / state

Jitendra Tiwari: তৃণমূলে থাকাকালীন অনেক অন্যায়-পাপ করতে হয়েছে, ক্ষমা চেয়ে বললেন জিতেন্দ্র - পশ্চিম বর্ধমানের নাম বদলের দাবি

2017 সালে দুর্গাপুর পৌরনিগমের নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের এনে ভোটলুঠের অভিযোগ উঠেছিল ৷ সেইসময়ে তৃণমূলে ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷ সোমবার সেই অভিযোগ মেনে নিয়ে, দুর্গাপুরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জিতেন্দ্র।

Etv Bharat
জিতেন্দ্র তিওয়ারি
author img

By

Published : May 1, 2023, 10:46 PM IST

জিতেন্দ্র তিওয়ারির বক্তব্য পালটা কটাক্ষ তৃণমূলের

দুর্গাপুর, 1 মে: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পশ্চিম বর্ধমান জেলার নাম পরিবর্তনের দাবি তুলে সরব বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি । একইসঙ্গে তাঁর স্বীকারোক্তি, তৃণমূলে থাকাকালীন তাঁকে অনেক অন্যায় ও পাপ করতে হয়েছে, তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী ৷ সোমবার দুর্গাপুরের 31 নম্বর বিদ্যাসাগর অ্যাভিনিউতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে আসানসোল-দুর্গাপুর জেলা করার দাবি তোলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি । এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত-সহ অন্যান্য জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ।

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নতুন এই নাম বদল ইস্যু নিয়ে তাঁরা আন্দোলনের নামবেন বলেও জানান জিতেন্দ্র তিওয়ারি । তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার আগে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কারখানার গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ফিরহাদ হাকিম-সহ তৃণমূলের বেশকিছু নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি । এদিন তাঁকে দুর্গাপুরের বিজেপি কার্যালয়ে বসে একইভাবে কলকাতার নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শোনা যায় । তাঁর দাবি, পশ্চিম বর্ধমান জেলার নামকরণ হয়েছিল কলকাতার নেতাদের ইচ্ছেতে । সেদিন তিনি ঘাসফুল শিবিরে থাকলেও কেন এই জেলার নামকরণ নিয়ে প্রতিবাদ করেননি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "একথা ঠিক যে আমি সেদিন আসানসোলের মেয়র ছিলাম । কিন্তু দলের অনুগত থাকার কারণে আমি প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতে না-পারলেও যেসব জায়গায় বলার সেই সমস্ত জায়গাতে বলেছিলাম । কিন্তু আমার কথা সেদিন শোনা হয়নি ।"

2017 সালে দুর্গাপুর পৌরনিগমের নির্বাচনে দুর্গাপুরের 43টি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়লাভ করেন । ভোটে ব্যাপক লুঠপাটের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা । এমনকী নির্বাচনের সেই দিনটিকে আজও বিরোধী সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে 'ব্ল্যাক ডে' হিসাবে পালন করা হয় প্রতিবছর । জিতেন্দ্র তিওয়ারি ছিলেন সেই সময় পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি । তাঁর নেতৃত্বে দুর্গাপুরের 43টি ওয়ার্ডে বহিরাগতদের নিয়ে ভোট লুটপাটের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা । আজ দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময়কাল পরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি সেই অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দিলেন । দুর্গাপুরের মানুষের কাছে তিনি ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন,"তৃণমূলে থাকাকালীন অনেক অন্যায়-পাপ করতে হয়েছে ৷ আমি ক্ষমাপ্রার্থী ৷ এবার কেউ ভোট লুঠ করতে এলে তা প্রতিরোধের ট্যাবলেট আছে আমাদের কাছে ৷"

আরও পড়ুন: অভিষেকের নবজোয়ার আসলে গণ খোঁয়ার, কটাক্ষ সুজনের

জিতেন্দ্রর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা কমিটির নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ওনার মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে । উনি আগে সুস্থ হয়ে রাজনীতিতে ফিরুন । যখন জেলার নামকরণ হয় হয়েছিল তখন তিনি এই জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য নেতা ছিলে ন। সেদিন উনি কী করছিলেন? আসলে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে জন্ম হলেও এখন ওনার গায়ে পদ্মের হাওয়া লেগেছে, উনি নিজে আগে ট্যাবলেট খান ।

জিতেন্দ্র তিওয়ারির বক্তব্য পালটা কটাক্ষ তৃণমূলের

দুর্গাপুর, 1 মে: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পশ্চিম বর্ধমান জেলার নাম পরিবর্তনের দাবি তুলে সরব বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি । একইসঙ্গে তাঁর স্বীকারোক্তি, তৃণমূলে থাকাকালীন তাঁকে অনেক অন্যায় ও পাপ করতে হয়েছে, তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী ৷ সোমবার দুর্গাপুরের 31 নম্বর বিদ্যাসাগর অ্যাভিনিউতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে আসানসোল-দুর্গাপুর জেলা করার দাবি তোলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি । এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত-সহ অন্যান্য জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ।

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নতুন এই নাম বদল ইস্যু নিয়ে তাঁরা আন্দোলনের নামবেন বলেও জানান জিতেন্দ্র তিওয়ারি । তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার আগে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কারখানার গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ফিরহাদ হাকিম-সহ তৃণমূলের বেশকিছু নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি । এদিন তাঁকে দুর্গাপুরের বিজেপি কার্যালয়ে বসে একইভাবে কলকাতার নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শোনা যায় । তাঁর দাবি, পশ্চিম বর্ধমান জেলার নামকরণ হয়েছিল কলকাতার নেতাদের ইচ্ছেতে । সেদিন তিনি ঘাসফুল শিবিরে থাকলেও কেন এই জেলার নামকরণ নিয়ে প্রতিবাদ করেননি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "একথা ঠিক যে আমি সেদিন আসানসোলের মেয়র ছিলাম । কিন্তু দলের অনুগত থাকার কারণে আমি প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতে না-পারলেও যেসব জায়গায় বলার সেই সমস্ত জায়গাতে বলেছিলাম । কিন্তু আমার কথা সেদিন শোনা হয়নি ।"

2017 সালে দুর্গাপুর পৌরনিগমের নির্বাচনে দুর্গাপুরের 43টি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়লাভ করেন । ভোটে ব্যাপক লুঠপাটের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা । এমনকী নির্বাচনের সেই দিনটিকে আজও বিরোধী সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে 'ব্ল্যাক ডে' হিসাবে পালন করা হয় প্রতিবছর । জিতেন্দ্র তিওয়ারি ছিলেন সেই সময় পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি । তাঁর নেতৃত্বে দুর্গাপুরের 43টি ওয়ার্ডে বহিরাগতদের নিয়ে ভোট লুটপাটের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা । আজ দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময়কাল পরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি সেই অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দিলেন । দুর্গাপুরের মানুষের কাছে তিনি ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন,"তৃণমূলে থাকাকালীন অনেক অন্যায়-পাপ করতে হয়েছে ৷ আমি ক্ষমাপ্রার্থী ৷ এবার কেউ ভোট লুঠ করতে এলে তা প্রতিরোধের ট্যাবলেট আছে আমাদের কাছে ৷"

আরও পড়ুন: অভিষেকের নবজোয়ার আসলে গণ খোঁয়ার, কটাক্ষ সুজনের

জিতেন্দ্রর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা কমিটির নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ওনার মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে । উনি আগে সুস্থ হয়ে রাজনীতিতে ফিরুন । যখন জেলার নামকরণ হয় হয়েছিল তখন তিনি এই জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য নেতা ছিলে ন। সেদিন উনি কী করছিলেন? আসলে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে জন্ম হলেও এখন ওনার গায়ে পদ্মের হাওয়া লেগেছে, উনি নিজে আগে ট্যাবলেট খান ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.