ETV Bharat / state

ECL coal mines : শিক্ষা নেয়নি ইসিএল, শতাধিক র‍্যাট হোল খনি বিপদ বাড়াচ্ছে

আসানসোলের কুলটি থানার বেজডি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে বেআইনি কয়লা খাদান । এখনও সেই বেআইনি কয়লা খাদান থেকে কয়লা তোলা হয় এবং সাইকেল করে পাচার হয় ।

rat-hole-mines
rat-hole-mines
author img

By

Published : Jun 26, 2021, 9:57 PM IST

আসানসোল, 26 জুন : সম্প্রতি অতিবর্ষণে বেআইনি কয়লা খনির খোলামুখ দিয়ে জল ঢুকে গিয়েছিল ইসিএলের (ECL) সোদপুর এলাকার নরসমুদা খনিতে । তারপর থেকে সেই খনিতে উৎপাদনের কাজ শুরু হয়নি । কবে শুরু হবে সেটাও অনিশ্চিত । মনে করা হয়েছিল, ইসিএল বোধহয় এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবে । কিন্তু কোথায় কি ? ইসিএলের সোদপুর এলাকাতেই বেজডি গ্রাম সংলগ্ন জমিতে রয়ে গিয়েছে শতাধিক বেআইনি খুনি মুখ বা র‍্যাট হোল (Rat hole mines)। যেগুলি বুজিয়ে ফেলার চেষ্টাই করা হয়নি । আর এই বেআইনি খনি মুখ দিয়ে জল ঢুকলে ইসিএলের অন্ততপক্ষে চারটি খনিতে জল ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ জানাচ্ছেন খনি বিশেষজ্ঞরা ।

আসানসোলের কুলটি থানার বেজডি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে বেআইনি কয়লা খাদান । এখনও সেই বেআইনি কয়লা খাদান থেকে কয়লা তোলা হয় এবং সাইকেল করে পাচার হয় । প্রায় শতাধিক কয়লা খাদান রয়েছে এই এলাকায় । যে স্থানে এই র‍্যাট হোলগুলি গড়ে উঠেছে তার একদিকে রয়েছে বেজডি খনি ৷ আরও এক দিকে রয়েছে পাটমোহনা খনি । দু‘টিই ইসিএলের সোদপুর এলাকার অন্তর্গত । যদি খনি সুড়ঙ্গের সংযোগ ধরা হয় তাহলে কিছুটা দূরে রয়েছে চিনাকুড়ি এক নম্বর ও দুই নম্বর কোলিয়ারি ।

কয়েকদিন আগে সোদপুর এলাকার নরসমুদা খনিতে জল ঢুকে বিপত্তি ঘটেছিল । বেআইনি খনি মুখ দিয়ে জল ঢোকে । শ্রমিকরা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও এখনও পর্যন্ত খনিতে কাজ শুরু করা যায়নি । জলে মেশিনপত্র ডুবে গিয়েছিল । একইভাবে বেজডি এলাকার এই বেআইনি খনি মুখগুলো দিয়ে বেজডি ও পাটমোহনা খনিতে জল ঢুকছে বলে দাবি করছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলি । আগামীদিনে এই দু‘টি খনিতেও বিপদ নেমে আসবে যদি এখনই র‍্যাট হোলগুলি বন্ধ না করা হয় ।

শতাধিক র‍্যাট হোল খনি বিপদ বাড়াচ্ছে

অন্যদিকে খনি সংযোগ দেখতে গেলে এই দুটি খনিতে একবার জল ঢুকলে সেই জল চিনাকুড়ি 1 নম্বর ও 2 নম্বর খনি পর্যন্ত গড়িয়ে যেতে পারে । ফলে চারটি খনি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করছেন খনি বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ ৷ ট্রেড ইউনিয়নের নেতা, কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা এডিডিএ ভাইস চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় গোটা বিষয়টিতে ইসিএলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, পুলিশ সচেষ্ট হলে এই বেআইনি কয়লা খাদানগুলি বন্ধ করা যেত । এখনও বেজডি এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে কয়লা পাচার হচ্ছে । সাইকেলে চলছে এই পাচার ।

আরও পড়ুন : ECL coal mines : রক্ষা মিলেছে বরাতজোরে, বেআইনি খনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কী, উত্তর অধরাই

বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে অস্বীকার করেছেন ইসিএলের আধিকারিকরা । যদিও ফোন মারফত পাটমোহনা কোলিয়ারির ম্যানেজার শ্যামল চক্রবর্তী এবং বেজডি কোলিয়ারির ম্যানেজার মনোজ মিশ্র জানিয়েছেন, তাঁদের খনি বর্তমানে নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে । যদিও এই কথা স্রেফ আইওয়াশ বলেই মনে করছেন ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা । সিটুর কয়লাঞ্চলের সহ-সম্পাদক সুদর্শন প্রসাদ বলেছেন, "আমরা বিষয়টি নিয়ে বিপদের আশঙ্কা করেই ইসিএলের সঙ্গে বারবার আলোচনায় বসতে চেয়েছি । কিন্তু ইসিএলের পক্ষ থেকে এখনও সাড়া পাইনি ।"

আসানসোল, 26 জুন : সম্প্রতি অতিবর্ষণে বেআইনি কয়লা খনির খোলামুখ দিয়ে জল ঢুকে গিয়েছিল ইসিএলের (ECL) সোদপুর এলাকার নরসমুদা খনিতে । তারপর থেকে সেই খনিতে উৎপাদনের কাজ শুরু হয়নি । কবে শুরু হবে সেটাও অনিশ্চিত । মনে করা হয়েছিল, ইসিএল বোধহয় এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবে । কিন্তু কোথায় কি ? ইসিএলের সোদপুর এলাকাতেই বেজডি গ্রাম সংলগ্ন জমিতে রয়ে গিয়েছে শতাধিক বেআইনি খুনি মুখ বা র‍্যাট হোল (Rat hole mines)। যেগুলি বুজিয়ে ফেলার চেষ্টাই করা হয়নি । আর এই বেআইনি খনি মুখ দিয়ে জল ঢুকলে ইসিএলের অন্ততপক্ষে চারটি খনিতে জল ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ জানাচ্ছেন খনি বিশেষজ্ঞরা ।

আসানসোলের কুলটি থানার বেজডি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে বেআইনি কয়লা খাদান । এখনও সেই বেআইনি কয়লা খাদান থেকে কয়লা তোলা হয় এবং সাইকেল করে পাচার হয় । প্রায় শতাধিক কয়লা খাদান রয়েছে এই এলাকায় । যে স্থানে এই র‍্যাট হোলগুলি গড়ে উঠেছে তার একদিকে রয়েছে বেজডি খনি ৷ আরও এক দিকে রয়েছে পাটমোহনা খনি । দু‘টিই ইসিএলের সোদপুর এলাকার অন্তর্গত । যদি খনি সুড়ঙ্গের সংযোগ ধরা হয় তাহলে কিছুটা দূরে রয়েছে চিনাকুড়ি এক নম্বর ও দুই নম্বর কোলিয়ারি ।

কয়েকদিন আগে সোদপুর এলাকার নরসমুদা খনিতে জল ঢুকে বিপত্তি ঘটেছিল । বেআইনি খনি মুখ দিয়ে জল ঢোকে । শ্রমিকরা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও এখনও পর্যন্ত খনিতে কাজ শুরু করা যায়নি । জলে মেশিনপত্র ডুবে গিয়েছিল । একইভাবে বেজডি এলাকার এই বেআইনি খনি মুখগুলো দিয়ে বেজডি ও পাটমোহনা খনিতে জল ঢুকছে বলে দাবি করছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলি । আগামীদিনে এই দু‘টি খনিতেও বিপদ নেমে আসবে যদি এখনই র‍্যাট হোলগুলি বন্ধ না করা হয় ।

শতাধিক র‍্যাট হোল খনি বিপদ বাড়াচ্ছে

অন্যদিকে খনি সংযোগ দেখতে গেলে এই দুটি খনিতে একবার জল ঢুকলে সেই জল চিনাকুড়ি 1 নম্বর ও 2 নম্বর খনি পর্যন্ত গড়িয়ে যেতে পারে । ফলে চারটি খনি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করছেন খনি বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ ৷ ট্রেড ইউনিয়নের নেতা, কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা এডিডিএ ভাইস চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় গোটা বিষয়টিতে ইসিএলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, পুলিশ সচেষ্ট হলে এই বেআইনি কয়লা খাদানগুলি বন্ধ করা যেত । এখনও বেজডি এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে কয়লা পাচার হচ্ছে । সাইকেলে চলছে এই পাচার ।

আরও পড়ুন : ECL coal mines : রক্ষা মিলেছে বরাতজোরে, বেআইনি খনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কী, উত্তর অধরাই

বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে অস্বীকার করেছেন ইসিএলের আধিকারিকরা । যদিও ফোন মারফত পাটমোহনা কোলিয়ারির ম্যানেজার শ্যামল চক্রবর্তী এবং বেজডি কোলিয়ারির ম্যানেজার মনোজ মিশ্র জানিয়েছেন, তাঁদের খনি বর্তমানে নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে । যদিও এই কথা স্রেফ আইওয়াশ বলেই মনে করছেন ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা । সিটুর কয়লাঞ্চলের সহ-সম্পাদক সুদর্শন প্রসাদ বলেছেন, "আমরা বিষয়টি নিয়ে বিপদের আশঙ্কা করেই ইসিএলের সঙ্গে বারবার আলোচনায় বসতে চেয়েছি । কিন্তু ইসিএলের পক্ষ থেকে এখনও সাড়া পাইনি ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.