আসানসোল, 11 এপ্রিল : একদিকে বাড়ছে কোভিড রোগীর সংখ্যা আর তার সঙ্গে দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের অভাব নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷ এমন সময় পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান (পশ্চিম)-এর আসানসোল রেল ডিভিশনে আনা হল আইস লাইনন্ড রেফ্রিজারেটর, সংক্ষেপে আইএলআর ।
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এক হাজারের বেশি মানুষ করোনা সংক্রামিত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভোট-উৎসবে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা । অন্যদিকে আসানসোল রেল হাসপাতাল থেকে শুরু করে ইস্কো হাসপাতাল, চিত্তরঞ্জন রেল হাসপাতালের প্রচুর স্বাস্থ্যকর্মী ইতিমধ্যে করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। তাই স্বাস্থ্যকর্মী ও রেলকর্মীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখার কথা ভাবছে রেল। তার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ঠিকঠাক ব্যবস্থা ৷ সে কাজই করবে এই আইস লাইনন্ড রেফ্রিজারেটর।
আসানসোল রেল ডিভিশনাল হাসপাতালের চিফ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট মনোরঞ্জন মাহাতা এ বিষয়ে বলেন, ‘'ভ্যাকসিন রাখার প্রাথমিক শর্ত হল আইএলআর। এতদিন পর্যন্ত আসানসোল রেল ডিভিশনের কোনও হাসপাতালে এই ধরনের রেফ্রিজারেটর ছিল না। ফলে আমরা ভ্যাকসিন স্টোর করে রাখতে পারতাম না। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছ থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে এসে ফের বিকেলে অব্যবহৃত ভ্যাকসিন ফেরত দিয়ে আসতে হত। এবার আমরা নিজেরাই ভ্যাকসিন স্টোর করতে পারব আইএলআরে।'
আরও পড়ুন: সম্পূর্ণ লকডাউনের দিকে এগোচ্ছে মহারাষ্ট্র?
কী এই আইএলআর?
চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এই বিশেষ ধরনের রেফ্রিজারেটর। এখানে ভ্যাকসিনকে দু'ডিগ্রি থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। আসানসোল রেল মণ্ডল হাসপাতালে যে রেফ্রিজারেটর লাগানো হয়েছে, তাতে কমপক্ষে ১০ হাজার ভ্যাকসিন স্টোর করা যাবে ৷ তা ছাড়াও কোনও কারণে সাত দিন ধরে লোডশেডিং থাকলেও এই ব্যবস্থার মধ্যে ভ্যাকসিন নষ্ট হবে না বলেই দাবি করেছেন রেল হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ।
এতে আগামী দিনে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হবে রেল হাসপাতাল। রেলকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে তা কাজে লাগবে ৷
করোনা মোকাবিলায় এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রেলের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ।