দুর্গাপুর, 15 এপ্রিল : "যাক পুরাতন স্মৃতি / যাক ভুলে যাওয়া গীতি"- গুরুদেবের এই অঙ্গীকার নিয়ে আজ আরও একটা নতুন বছরে পদার্পণ করলাম আমরা ৷ পুরাতন যা কিছু যাক ধুয়ে নূতনের জোয়ারে । আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও সেই পুরাতনকে ছেড়ে নতুনকে মানিয়ে নেওয়া, মেনে নেওয়া । পাড়ার মোড়ের চা দোকান থেকে ক্যাফেটেরিয়া, রেস্তোরাঁ থেকে তিনতারা হোটেল, পাড়ার মোড়ের দোকান থেকে ঝাঁ চকচকে শপিং মল সবেতেই নতুনের ছোঁয়া । তবে নতুনকে সাদরে বরণ করে নিলেও পুরাতন স্মৃতিতে রয়ে যায় স্বমহিমায় ৷
একটা সময় নববর্ষ মানেই ছিল দোকানে দোকানে লক্ষ্মী-গণেশের সঙ্গে লাল খাতার পুজো ৷ এই লাল খাতায় পুরনো জের মিটিয়ে খরিদ্দারের সঙ্গে নতুন পথ চলা শুরু হত ব্যবসায়ীর ৷ তবে কালের নিয়মে এই পুরাতন রেওয়াজ আজ লুপ্ত হওয়ার পথে ৷ লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া ৷ ডিজিটাল এসে যাওয়ায় কপাল পুড়েছে লালখাতা ওরফে হালখাতার ৷ এখন কেবলমাত্র রেওয়াজ ও পরম্পরা ধরে রাখতে ছোট লাল খাতা পুজো করা হয় ৷ বাকিটা সব গ্রাস করেছে ডিজিটাল যন্ত্রাংশ ৷
আরও পড়ুন : Suvo Nababarsha 1429 : করোনার আক্রমণ শিথিল, জমে উঠুক এবারের নববর্ষ
আর তাতেই অস্তিত্ব সংকটে হালখাতার ব্যবসায়ীরাও (Situation of Halkhata Business in Digital Era) ৷ দুর্গাপুরের সবচেয়ে বড় হালখাতা ব্যবসায়ী এম এল ট্রেডার্সের কর্ণধার মানিক হালদারের কথায়, কম্পিউটার এসে যাওয়ায় হালখাতার ব্যবহার উঠে গিয়েছে ৷ আগে যেখানে প্রায় 10 হাজার টাকার লাল খাতা বিক্রি হত এখন তার পরিমাণ খুবই কম ৷ ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যেতে বসেছে হালখাতা ৷"এক দোকানের বিক্রেতা জানান, "খাতার চেয়ে কম্পিউটারে সব তথ্য লোড করা সবচেয়ে সহজ ৷ এখন ডিজিটালের যুগে হালখাতা আর কেউ সেভাবে ব্যবহার করেন না ৷ তবে পয়লা বৈশাখের দিন কেউ দোকানে এলে মিষ্টি দেওয়া হয় ৷"
আরও পড়ুন : ETV Bharat Horoscope for 15th April : বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন, কেমন যাবে জেনে নিন