আসানসোল, 16 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন আসিফ আনসারি ৷ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ৷ আসিফ পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বাসিন্দা ৷ মঙ্গলবার রাতে তাঁর গ্রেফতারির পরপরই খবর যায় আসানসোলের রেলপাড়ে কেটি রোডের বাড়িতে ৷ স্বভাবতই খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার বাবা আফজল আনসারি ও ইসরত পরভিন ৷
আসানসোল উত্তর থানার কেটি রোডে ছোট্ট একটি বাড়িতে থাকেন আসিফ আনসারির বাবা ও মা ৷ বাবা আফজল আনসারি কাপড় ফেরি করে সংসার চালান ৷ মা ইসরত পরভিন গৃহবধূ ৷ তিনি এমনিতেই অসুস্থ ৷ এর উপর ছেলের গ্রেফতারির খবরে বারেবারে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন মা ইসরত ৷
আফজল আনসারি ও ইসরত পরভিনের তিন ছেলে ও এক মেয়ে ৷ তবে মেধাবি ছাত্র আসিফ আনসারিকে নিয়েই স্বপ্ন দেখেন বাবা-মা ৷ ধৃত আসিফের বাবা আফজল বলেন, "ঘটনার দু'দিন পরই আসানসোলে এসেছিলেন আসিফ ৷ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন করে বারবার তাঁকে ডাকছিল ৷ তাই দু'দিন থেকেই চলে যায় ও ৷"
আফজলের মা ইসরত পরভিনের দাবি, তাঁর ছেলে খুবই পরোপকারি ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে বন্ধুর মতো সাহায্য করেছিলেন আসিফ ৷ এমনকী ওই পড়ুয়ার মা-বাবার সঙ্গেও আসিফ কথা বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন আসিফের মা ৷
আফজল আনসারি জানান, মঙ্গলবার রাত 10 থেক 11টার মধ্যে শেষবার আসিফের সঙ্গে কথা হয়েছিল ৷ রাত দেড়টা নাগাদ তাঁরা জানতে পারেন ছেলে আসিফ-সহ কয়েকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে ৷ ইতিমধ্যে আইনজীবী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে আসিফ আনসারি ৷ যদিও বাবা মায়ের স্থির বিশ্বাস, পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় কোনওভাবে যুক্ত নয় আসিফ ৷ বরং আসিফ তার পাশেই থাকতে চেয়েছিলেন ৷ পুলিশকেও তদন্তে সহযোগিতা করেছেন আসিফ ৷
আরও পড়ুন: লালবাজারে তলব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার-ডিন অফ স্টুডেন্টসকে
নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও পড়াশোনায় ভালো আসিফ ৷ আসানসোলের রহমানিয়া স্কুলের পড়ুয়া তিনি ৷ স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট থেকে শান্ত এবং পড়াশোনায় অত্যন্ত মনোযোগী ছিল আসিফ ৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "বিষয়টি নিয়ে আমি খুব বেশি জানি না ৷ তাই মন্তব্য করব না ৷"