দুর্গাপুর, 24 এপ্রিল : রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ । মাতৃভাষা বাংলা । অথচ সেই ভাষাই এখন ছেলে-মেয়েদের স্কুলে দ্বিতীয় ভাষা । CV-তেও ভাষার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায় ইংরেজি, তারপর হিন্দি । আর একেবারে শেষে বাংলা । কথা বলার ক্ষেত্রেও ইংরেজি বা হিন্দিতেই এখন বেশিরভাগ মানুষ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে । 21 ফেব্রুয়ারি ছাড়া বছরের আর দিনগুলিতে খুব অচিরেই উপেক্ষিত হয় এই বাংলা ভাষা । মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি বা হিন্দিটাকেই বেছে নেওয়া হয় । কোরোনার সতর্কতার প্রচারেও অগ্রাধিকার পেল না এই বাংলা ভাষাই । দুর্গাপুরে ECL-এর তরফে কোরোনার সতর্কতার প্রচারের অঙ্গ হিসেবে যে পোস্টারগুলি লাগানো হয় তাতেও ইংরেজি ও হিন্দিকেই দেওয়া হয় প্রথম স্থান । যদিও এক্ষেত্রে দুর্গাপুরের বাংলাভাষীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানা এলাকার ঝাঁঝরা কলোনিতে ECL-এর তরফে একটি ইকো পার্ক তৈরি করা হয় । লকডাউনের জন্য তা আপাতত বন্ধ । সেই পার্কের মূল গেটের দু'পাশে কোরোনার সতর্কতামূলক পোস্টার লাগানো রয়েছে । এক পাশের পোস্টারে হিন্দিতে লেখা । আর এক পাশের পোস্টারে ইংরেজিতে লেখা । শুধু বাদ পড়েছে বাংলা ভাষা । আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুর্গাপুরের বাংলাভাষীরা । যদিও অনেকের মতে, ECL-এর উচ্চপদে আসীন রয়েছেন হিন্দিভাষীরা । তাই হয়তো উপেক্ষিত হয়েছে বাংলা ভাষা ।
প্রসঙ্গত, 2 নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের সময়ও এই একই ঘটনা সামনে এসেছিল । রাস্তার দু'পাশে জায়গার নামকরণের জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যে বোর্ড লাগিয়েছিল তাতেও হিন্দি ও ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল । আসানসোলের বাজারেও বিভিন্ন দোকানের নাম হিন্দি বা ইংরেজিতেই লেখা । যদিও পরবর্তীকালে এক্ষেত্রে কড়া হয়েছিলেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি । জানিয়ে দিয়েছিলেন, দোকানের নাম অন্যান্য ভাষার সঙ্গে বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক । অন্যথায় ট্রেড লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ করা হবে না ।