দুর্গাপুর, 14 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির অভিযোগ উঠেছে ৷ সেই পরিস্থিতিতে বামেদের কাঁধে দেখা গেল শক্ত বাঁশের সঙ্গে লাল পতাকা বাঁধা । এভাবেই বুধবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে মহকুমা শাসকের দফতরে বামেরা জেলা পরিষদের 10টি আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করে আসেন ।
স্বাভাবিকভাবে এই দৃশ্য দেখে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ প্রশ্ন ওঠে, অতীতের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্যই কি পতাকা বাঁধার জন্য এত মোটা বাঁশের লাঠির ব্যবহার ? আক্রান্ত হলে যাতে পালটা আক্রমণ শানাতে পারেন, তার জন্যই কি এত শক্ত লাঠিতে পতাকা বাঁধা হয়েছে ? যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলা সিপিএমের সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় এই কথা উড়িয়ে দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "আদি অনন্তকাল ধরে এরকম লাঠি তো পতাকা বাঁধার জন্য ব্যবহার করা হয় । প্রতিরোধের জন্য এত শক্ত লাঠির ব্যবহার নয় ।"
এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, "সিপিএম এত শক্ত লাঠি ব্যবহার করার শুরু করেছিল নিজেদের আমলেই । এই লাঠি দিয়েই তারা বিরোধী কন্ঠকে চুপ করিয়ে রেখেছিল 34 বছর । ওরা ভুলে গিয়েছে ওরা এখন বিরোধী । এ রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে এসেছে । তাই এত শক্ত লাঠির ব্যবহার ওদেরকে যে আর করতে হচ্ছে না ৷ এটা ওরা বুঝেও বুঝতে পারছে না ।"
প্রসঙ্গত, বুধবার মনোনয়নের পঞ্চম দিন ৷ এ দিন দুর্গাপুরে উত্তেজনা ছড়ায় । দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে বিমল দাশগুপ্ত ভবন থেকে মিছিল করে দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন পেশ করতে আসেন সিপিএম জেলা পরিষদের প্রার্থীরা, সঙ্গে ছিলেন বহুকর্মী সর্মথক । দুর্গাপুর মহকুমার 10 জন জেলা পরিষদের প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে আসতেই পুলিশের সঙ্গে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেখে প্রশ্ন তোলেন সিপিএম কর্মী সমর্থকেরা, সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় । সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশ তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে সরিয়ে দেয় ।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলের মনোনয়নপত্র পেশ করা প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা