দুর্গাপুর 22 এপ্রিল : লকডাউনের মধ্যেও ভিড়ের কারণে বারবার নাম উঠে আসছিল দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের । আজ বাজার পরিদর্শনে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে । বলেন, "বাজার থেকেই সংক্রমণের আশঙ্কা খুব বেশি । কারণ বাজারে প্রচুর মানুষ আসছেন ।" বাজারে এসে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । মাছ বিক্রেতাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন মহকুমা শাসক ।
কোরোনা সংক্রমণের জন্য কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রাজ্য তথা গোটা দেশ । সরকারিভাবে মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন চেষ্টা চালানো হচ্ছে । এমনকী গতকাল মাইক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও রাস্তায় মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচার চালাতে দেখা গেছে । দুর্গাপুরের চণ্ডীদাস, বেনাচিতি, স্টেশন বাজার, আশিস মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজারে লাগাতার পুলিশ প্রশাসন ,মহকুমা প্রশাসন, দুর্গাপুর নগর নিগম, বণিকসভার পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করার বিভিন্ন চেষ্টা চালানো হয়েছে । কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ সচেতনতা অবলম্বন করেননি এখনও । বেনাচিতি বাজারে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না এমন বেশ কিছু ছবি সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে ।
আজ দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে বেনাচিতি বাজার পরিদর্শনে আসেন । পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাজার পরিদর্শনে এসে কিছুটা স্বস্তির ছবি দেখতে পান । কারণ, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে পুলিশ একটু কড়াকড়ি হতেই বেনাচিতি বাজার যেন অনেকটাই সচেতন । মহকুমা শাসক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান ,"এই সময়টা খুব কঠিন । বাজার থেকে যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি রয়েছে তা বলা যায় । কারণ বাজারে বহু মানুষ আসছেন । আমি সেই বিষয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতন করতে বাজারে এসেছি । তাতেও না শুনলে আমাদের কড়া হাতে দমন করতে হবে ।" মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির আদেশানুসারে আগামী শুক্রবার গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলার সব বাজার ,সরকারি কার্যালয়সহ জনসমাগম হয় এমন সমস্ত জায়গায় স্যানিটাইজ়িংয়ের কাজ শুরু হবে।