জামুড়িয়া, 20 অগাস্ট : কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে অজয় নদ ৷ জলের তোড়ে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে অস্থায়ী সেতু ৷ তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নদী পারাপার করছে বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মানুষ৷ জামুড়িয়ার চুরুলিয়া পঞ্চায়েত ও বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের পাটসুণ্ডি, বড়ড়া, বাবুইজোড় গ্রাম পঞ্চায়তের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে অজয় ৷ অদূরেই রয়েছে ঝাড়খণ্ডের আফজলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত । তাই বীরভূম, ঝাড়খণ্ড থেকে অজয় নদ পেরিয়েই চুরুলিয়ার স্কুল-কলেজে আসছে পড়ুয়ারা ৷ চিকিৎসার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে আসতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ৷ গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন সেতু তৈরির দাবি জানালেও এখনও তা তৈরি হয়নি ৷
পশ্চিম বর্ধমানের চুরুলিয়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষা পেরিয়ে গেলে অজয়ের জল কমে যায় ৷ এরপর শুরু হয় বালি মাফিয়াদের রমরমা ৷ নদী গর্ভ থেকে অবাধে বালি তোলার কাজ চলে । অতিমাত্রায় বালি উত্তোলনের জেরে নদীর সামঞ্জস্য হারিয়ে গেছে । ফলে নদীর বুকে কোথাও গভীর গর্ত কোথাও আবার হাঁটু জল । নৌকা পারাপারেও খুব সমস্যা হয় । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অজয় নদ পারাপার করতে হয়৷ সেতু নিয়ে আগেই দাবি জানানো হয়েছে ৷ দুর্গাপুজোর আগে দরপত্র ডেকে অস্থায়ী সেতু তৈরি হয় । বর্ষায় নদের জলে সেই সেতু ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায় ।
এই বিষয়ে, জামুড়িয়া চুরুলিয়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দা লক্ষণ বাউরি বলেন, "স্থায়ী সেতু তৈরি হলে বীরভূমের অন্তত 50 টি গ্রামের বাসিন্দা উপকৃত হবেন । স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হবে ৷ কারণ 55 কিলোমিটার দূরে সিউড়ি হাসপাতালে যাওয়ার থেকে 22 কিলোমিটার দূরের আসানসোল জেলা হাসপাতাল যাওয়াটা সহজ । দুই জেলার মধ্যে ব্যাবসা-বাণিজ্যও বাড়বে ৷
এই বিষয়ে চুরুলিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রদীপ ব্যানার্জি বলেন, "স্থায়ী সেতুর দাবিতে স্মারকলিপি পেয়েছি ৷ অবিভক্ত জেলায় পঞ্চায়েতে সমিতির পক্ষে তখন অত টাকা খরচ করে সেতু তৈরি সম্ভব ছিল না । এখন নতুন জেলা গঠন হয়েছে । স্থায়ী সেতুর দাবি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে ৷"