ETV Bharat / state

কারখানা বাঁচাতে আঁধার নামল চিত্তরঞ্জনে ! - CLW

ঘড়িতে তখন রাত আটটা । চিত্তরঞ্জন রেল শহরে একে একে সব আলো নিভে গেল । কারখানা বাঁচাতে অভিনব আন্দোলনে নামলেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার শ্রমিকরা । গত রাতে আধ ঘণ্টার জন্য শহর ছিল ব্ল্যাক আউট ।

চিত্তরঞ্জন
author img

By

Published : Jul 20, 2019, 5:06 AM IST

চিত্তরঞ্জন, 20 জুলাই : চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা সহ দেশের আরও বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাকে কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । অর্থাৎ সরকারি কারখানা বেসরকারিকরণের দিকে এগোতে চাইছে তারা । এই বেসরকারিকরণ নিয়ে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন, শ্রমিকদের স্বার্থেই কারখানার বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে । বাবুল সুপ্রিয়র এহেন মন্তব্যের পর ক্রমশ জোরালো হচ্ছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলন ।

সেই আন্দোলনের এক রূপ দেখা গেল গতকাল রাতে । রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত গোটা চিত্তরঞ্জন শহর অন্ধকার হয়ে যায় । এক অভিনব প্রতিবাদে সামিল হন চিত্তরঞ্জন কারখানার শ্রমিক থেকে শুরু করে শ্রমিক পরিবার, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা । প্রত্যেকেই নিজেদের বাড়ি, দোকানের আলো নিভিয়ে গোটা শহর ব্ল্যাকআউট করে দেন । উদ্দেশ্য একটাই, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বার্তা পাঠানো । কেন্দ্রীয় সরকার যদি নিজের মত পরিবর্তন না করে তাহলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা বাঁচাও কমিটি এবং জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি ।

জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির কনভেনর নেপাল চক্রবর্তী বলেন, "আসানসোলের সাংসদের চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই । গত আর্থিক বর্ষে আমাদের 400টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করার টার্গেট ছিল । সেই টার্গেট পূরণ করে গোটা বিশ্বের কাছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা নজির গড়েছে । এ বছর আমাদের টার্গেট 500টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করা। আমরা সেই টার্গেটও পূরণ করব । একটি লাভজনক সংস্থাকে এভাবে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া মানে কারখানার ভবিষ্যৎ শেষ করে দেওয়া । তাই আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করছি । এই প্রস্তাব নাকচ না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব । প্রয়োজনে আমরা দিল্লিতে গিয়েও দরবার করব ।"

চিত্তরঞ্জন, 20 জুলাই : চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা সহ দেশের আরও বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাকে কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । অর্থাৎ সরকারি কারখানা বেসরকারিকরণের দিকে এগোতে চাইছে তারা । এই বেসরকারিকরণ নিয়ে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন, শ্রমিকদের স্বার্থেই কারখানার বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে । বাবুল সুপ্রিয়র এহেন মন্তব্যের পর ক্রমশ জোরালো হচ্ছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলন ।

সেই আন্দোলনের এক রূপ দেখা গেল গতকাল রাতে । রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত গোটা চিত্তরঞ্জন শহর অন্ধকার হয়ে যায় । এক অভিনব প্রতিবাদে সামিল হন চিত্তরঞ্জন কারখানার শ্রমিক থেকে শুরু করে শ্রমিক পরিবার, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা । প্রত্যেকেই নিজেদের বাড়ি, দোকানের আলো নিভিয়ে গোটা শহর ব্ল্যাকআউট করে দেন । উদ্দেশ্য একটাই, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বার্তা পাঠানো । কেন্দ্রীয় সরকার যদি নিজের মত পরিবর্তন না করে তাহলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা বাঁচাও কমিটি এবং জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি ।

জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির কনভেনর নেপাল চক্রবর্তী বলেন, "আসানসোলের সাংসদের চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই । গত আর্থিক বর্ষে আমাদের 400টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করার টার্গেট ছিল । সেই টার্গেট পূরণ করে গোটা বিশ্বের কাছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা নজির গড়েছে । এ বছর আমাদের টার্গেট 500টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করা। আমরা সেই টার্গেটও পূরণ করব । একটি লাভজনক সংস্থাকে এভাবে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া মানে কারখানার ভবিষ্যৎ শেষ করে দেওয়া । তাই আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করছি । এই প্রস্তাব নাকচ না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব । প্রয়োজনে আমরা দিল্লিতে গিয়েও দরবার করব ।"

Intro:ঘড়িতে তখন রাত আটটা। ঝুপ করে যেন অন্ধকার নেমে এল। একে একে সব আলো নিভে গেল। আবাসন, দোকানপাট, ক্লাব, কমিউনিটি হল সমস্ত জায়গায় আলো নিভিয়ে দেওয়া হলবগোটা রেল শহরে। আধুনিক চিত্তরঞ্জন রেল শহর তখন যেন অন্ধকার শ্মশান ভূমি। যেখানে কোন দিন ধর্মঘট, বনধ তো দূরের কথা নিছক আন্দোলনও হয়নি, সেখানে কারখানা বাঁচাতে অভিনব আন্দোলনে নামল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার শ্রমিকরা। আজ রাতে আধ ঘন্টার জন্য গোটা শহর ব্ল্যাক আউট হয়ে গেল।


Body:সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের রেল মন্ত্র প্রস্তাব নিয়েছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা সহ দেশের আরও বেশ কয়েকটি কারখানা কে কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে ।অর্থাৎ কারখানাকে বেসরকারিকরণের দিকে এগোতে চাইছে কেন্দ্র সরকার ।বিষয়টি নিয়ে আসানসোলের সংসদ বাবুল সুপ্রিয় কে প্রশ্ন করা হলেও তিনি জানিয়েছিলেন কারখানা এবং শ্রমিকদের মঙ্গলের কারণেই কারখানার বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে । আর বাবুল সুপ্রিয়র এমন মন্তব্যের জেরে পর পর আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায়। সেই আন্দোলনের একটি অভিনব রূপ দেখা গেল আজ রাতে। আজ রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত গোটা চিত্তরঞ্জন শহর অন্ধকার হয়ে গেল। এক অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন চিত্তরঞ্জনে কারখানার শ্রমিক থেকে শুরু করে শ্রমিক পরিবার, স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ প্রত্যেকেই ।নিজেদের আলো নিভিয়ে গোটা শহরে ব্ল্যাকআউট ডে পালন করলেন সবাই মিলে। উদ্দেশ্য একটাই, কেন্দ্র সরকারের কাছে বার্তা পাঠান।
সরকার যদি নিজেদের মত পরিবর্তন না করে তাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা বাঁচাও কমিটি এবং সমস্ত ইউনিয়ন সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট একশন কমিটি ।
কমিটির কনভেনার নেপাল চক্রবর্তী জানান সাংসদের কোন ধারণা নেই চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা নিয়ে। গত আর্থিক বর্ষে আমাদের 400 টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করার টার্গেট ছিল। সেই টার্গেট পূরণ করে গোটা বিশ্বের কাছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা নজির সৃষ্টি করেছে। এ বছর আমাদের টার্গেট 500 এবং আমরা সেই টার্গেট পূরণ করব ।একটি লাভজনক সংস্থাকে এভাবে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া মানে কারখানার ভবিষ্যতে শেষ করে দেওয়া। তাই কেন্দ্র সরকারের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা আমরা জানাচ্ছি আগামী দিনে এই প্রস্তাব নাকচ না হলে আমরা রেল রোকো, পথ অবরোধ সহ নানান আন্দোলনে নামবো। প্রয়োজনে দিল্লীতে গিয়েও দরবার করব।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.