চিত্তরঞ্জন, 20 জুলাই : চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা সহ দেশের আরও বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাকে কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । অর্থাৎ সরকারি কারখানা বেসরকারিকরণের দিকে এগোতে চাইছে তারা । এই বেসরকারিকরণ নিয়ে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন, শ্রমিকদের স্বার্থেই কারখানার বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে । বাবুল সুপ্রিয়র এহেন মন্তব্যের পর ক্রমশ জোরালো হচ্ছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলন ।
সেই আন্দোলনের এক রূপ দেখা গেল গতকাল রাতে । রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত গোটা চিত্তরঞ্জন শহর অন্ধকার হয়ে যায় । এক অভিনব প্রতিবাদে সামিল হন চিত্তরঞ্জন কারখানার শ্রমিক থেকে শুরু করে শ্রমিক পরিবার, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা । প্রত্যেকেই নিজেদের বাড়ি, দোকানের আলো নিভিয়ে গোটা শহর ব্ল্যাকআউট করে দেন । উদ্দেশ্য একটাই, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বার্তা পাঠানো । কেন্দ্রীয় সরকার যদি নিজের মত পরিবর্তন না করে তাহলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা বাঁচাও কমিটি এবং জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি ।
জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির কনভেনর নেপাল চক্রবর্তী বলেন, "আসানসোলের সাংসদের চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই । গত আর্থিক বর্ষে আমাদের 400টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করার টার্গেট ছিল । সেই টার্গেট পূরণ করে গোটা বিশ্বের কাছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা নজির গড়েছে । এ বছর আমাদের টার্গেট 500টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করা। আমরা সেই টার্গেটও পূরণ করব । একটি লাভজনক সংস্থাকে এভাবে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া মানে কারখানার ভবিষ্যৎ শেষ করে দেওয়া । তাই আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করছি । এই প্রস্তাব নাকচ না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব । প্রয়োজনে আমরা দিল্লিতে গিয়েও দরবার করব ।"