ETV Bharat / state

Jitendra Tiwari Bail Petition: জামিনের আবেদন ফের খারিজ, পুলিশ হেফাজতেই থাকছেন জিতেন্দ্র

ফের খারিজ হয়ে গেল জিতেন্দ্র তিওয়ারির জামিনের আবেদন ৷ বৃহস্পতিবার তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন আসানসোল আদালতের বিচারক তরুণকান্তি মণ্ডল (Jitendra Tiwari Bail Petition) ৷

Bail Petition of Jitendra Tiwari Rejected by Asansol Court
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Mar 23, 2023, 8:31 PM IST

আবেদন খারিজ

আসানসোল, 23 মার্চ: সুপ্রিম কোর্টের রায় হাতিয়ার করে জিতেন্দ্র তিওয়ারির জন্য আসানসোল আদালতে যে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিলেন বিচারক তরুণকান্তি মণ্ডল (Jitendra Tiwari Bail Petition) ৷ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন তিনি ৷ ফলে আগের রায় অনুসারে, আগামী 27 মার্চ পর্যন্ত জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে পুলিশ হেফাজতেই থাকতে হবে ৷ ওই দিন তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হবে ৷

গত 18 মার্চ দিল্লির যমুনা নগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ৷ কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনজনের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ ৷ 19 মার্চ তাঁকে আসানসোল সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক আটদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷ আগামী 27 মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৷ অন্যদিকে, গ্রেফতার হওয়ার আগেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর দুই সঙ্গী গৌরব গুপ্তা এবং তেজ প্রতাপ সিং সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানান ৷ গত 20 মার্চ সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই গ্রেফতার হয়ে যান জিতেন্দ্র ৷ ফলে 20 তারিখের মামলায় শীর্ষ আদালত তাঁকে নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি ৷

এই প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণভাবে গৌরব গুপ্তা এবং তেজপ্রতাপ সিংকে 14 দিনের রক্ষাকবচ দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷ সুপ্রিম কোর্টের এই রায় হাতিয়ার করে গত মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির জন্য জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী শেখর কুণ্ডু ৷ তাঁর বক্তব্য, যদি জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তড়িঘড়ি গ্রেফতার না করা হত, তাহলে তিনিও তাঁর বাকি দুই সঙ্গীর মতো রক্ষাকবচ পেতেন ৷ তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক ৷ শেখর কুণ্ডুর সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এদিন আদালতে শুনানি হয় ৷ কিন্তু, বিচারক শেখরের যুক্তি খারিজ করে দেন ৷

সরকার পক্ষের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ এই প্রসঙ্গে জানান, "জিতেন্দ্র তিওয়ারি গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে যখন আদালতে তোলা হয়, তখন জজসাহেব তদন্তের স্বার্থেই তাঁকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন ৷ পুলিশ হেফাজত বাকি থাকাকালীন হঠাৎ জামিনের আবেদনে আমরাও একটু আশ্চর্য হয়েছিলাম ৷ ওঁর আইনজীবী যা বলছেন, তাহল, কী হলে কী হত ! সেটা তো কোনও আইন নয় ৷ আমরা যেটা জানি, জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা ছিল না ৷"

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করে ফের জামিনের আবেদন জিতেন্দ্রর

অন্যদিকে, জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবী শেখর কুণ্ডু জানান, "এই মামলায় আগে সেশন জজ অন্তবর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন, কলকাতা হাইকোর্টও জামিনের আবেদন খারিজ করেছে ৷ আর তাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে যতক্ষণ না জোরদার কোনও অর্ডার আসছে, নিম্ন আদালতের পক্ষে অন্য কোনও রায় দেওয়া সম্ভব নয় ৷ আমরা এই কারণেই এখানে জামিনের আবেদন করেছিলাম, যাতে আগামী দিনে উচ্চ আদালতে যেতে পারি ৷"

আবেদন খারিজ

আসানসোল, 23 মার্চ: সুপ্রিম কোর্টের রায় হাতিয়ার করে জিতেন্দ্র তিওয়ারির জন্য আসানসোল আদালতে যে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিলেন বিচারক তরুণকান্তি মণ্ডল (Jitendra Tiwari Bail Petition) ৷ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন তিনি ৷ ফলে আগের রায় অনুসারে, আগামী 27 মার্চ পর্যন্ত জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে পুলিশ হেফাজতেই থাকতে হবে ৷ ওই দিন তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হবে ৷

গত 18 মার্চ দিল্লির যমুনা নগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ৷ কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনজনের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ ৷ 19 মার্চ তাঁকে আসানসোল সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক আটদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷ আগামী 27 মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৷ অন্যদিকে, গ্রেফতার হওয়ার আগেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর দুই সঙ্গী গৌরব গুপ্তা এবং তেজ প্রতাপ সিং সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানান ৷ গত 20 মার্চ সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই গ্রেফতার হয়ে যান জিতেন্দ্র ৷ ফলে 20 তারিখের মামলায় শীর্ষ আদালত তাঁকে নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি ৷

এই প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণভাবে গৌরব গুপ্তা এবং তেজপ্রতাপ সিংকে 14 দিনের রক্ষাকবচ দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷ সুপ্রিম কোর্টের এই রায় হাতিয়ার করে গত মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির জন্য জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী শেখর কুণ্ডু ৷ তাঁর বক্তব্য, যদি জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তড়িঘড়ি গ্রেফতার না করা হত, তাহলে তিনিও তাঁর বাকি দুই সঙ্গীর মতো রক্ষাকবচ পেতেন ৷ তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক ৷ শেখর কুণ্ডুর সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এদিন আদালতে শুনানি হয় ৷ কিন্তু, বিচারক শেখরের যুক্তি খারিজ করে দেন ৷

সরকার পক্ষের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ এই প্রসঙ্গে জানান, "জিতেন্দ্র তিওয়ারি গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে যখন আদালতে তোলা হয়, তখন জজসাহেব তদন্তের স্বার্থেই তাঁকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন ৷ পুলিশ হেফাজত বাকি থাকাকালীন হঠাৎ জামিনের আবেদনে আমরাও একটু আশ্চর্য হয়েছিলাম ৷ ওঁর আইনজীবী যা বলছেন, তাহল, কী হলে কী হত ! সেটা তো কোনও আইন নয় ৷ আমরা যেটা জানি, জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা ছিল না ৷"

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করে ফের জামিনের আবেদন জিতেন্দ্রর

অন্যদিকে, জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবী শেখর কুণ্ডু জানান, "এই মামলায় আগে সেশন জজ অন্তবর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন, কলকাতা হাইকোর্টও জামিনের আবেদন খারিজ করেছে ৷ আর তাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে যতক্ষণ না জোরদার কোনও অর্ডার আসছে, নিম্ন আদালতের পক্ষে অন্য কোনও রায় দেওয়া সম্ভব নয় ৷ আমরা এই কারণেই এখানে জামিনের আবেদন করেছিলাম, যাতে আগামী দিনে উচ্চ আদালতে যেতে পারি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.