ETV Bharat / state

তৃণমূল নেতাদের BJP-তে যোগদান করানোয় বিক্ষোভ, চেয়ার ছোড়াছুড়িতে আহত 8 - party worker against joining tmc leader in BJP

তৃণমূল নেতাদের BJP-তে যোগদানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুরের গান্ধি ময়দানে ৷ তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদানকারীদের দলের নেতা করে দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলেই জনসভায় চেয়ার ছোড়েন BJP-র একাংশ কর্মী-সমর্থকরা ৷ এই ঘটনায় আহত হন সাত থেকে আট জন BJP কর্মী ৷

চেয়ার ছুড়ছেন BJP-র কর্মীরা
author img

By

Published : Aug 11, 2019, 10:46 PM IST

Updated : Aug 11, 2019, 11:01 PM IST

দুর্গাপুর, 11 অগাস্ট: তৃণমূল নেতাদের BJP-তে যোগদানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুরের গান্ধি ময়দানে ৷ তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদানকারীদের দলের নেতা করে দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলেই জনসভায় চেয়ার ছোড়েন BJP-র একাংশ কর্মী-সমর্থকরা ৷ এই ঘটনায় আহত হন সাত থেকে আট জন BJP কর্মী ৷

আজ দুপুরে গান্ধি ময়দানে একটি জনসভায় আসানসোলের বারবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের আত্মীয় মলয় উপাধ্যায় BJP-তে যোগদান করেন ৷ তাঁর হাতে BJP-র রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা BJP সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই দলীয় পতাকা তুলে দিতেই গোলমাল বাঁধে ৷ BJP কর্মীদের একাংশ চেয়ার ছুড়তে থাকেন ৷ তাঁদের অভিযোগ, মলয় উপাধ্যায়রা যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন BJP কর্মীদের অত্যাচার করতেন ৷ BJP-তে যোগদানের পরই তাঁদের দলের নেতা করে দেওয়া হচ্ছে ৷ এই অভিযোগেই চেয়ার ছোড়েন BJP কর্মী-সমর্থকদের একটা অংশ ৷ উত্তেজিত দলীয় কর্মীদের থামানোর চেষ্টা করেন লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের সমর্থকরা ৷ তখন দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ৷ ঘটনার পরই সভামঞ্চ ছেড়ে বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি-সহ অন্যান্য নেতারা চলে যান ৷

আরও পড়ুন: সমকাজে সমবেতনের দাবিতে বিক্ষোভ দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে

BJP-র রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সভা ভন্ডুল করতেই এসেছিলেন৷ আজকে যাঁরা বিশৃঙ্খলা করেছেন, তাঁরা আমাদের দলের কর্মী-সমর্থক নয় ৷ সবাইকেই অনলাইনে দলে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে ৷ সবার সদস্যপদ গ্রহণ করা হচ্ছে ৷ তারপর বাছাই হবে ৷ যাঁরা ভালো, তাঁরা দলে থাকবেন ৷ যাঁরা খারাপ তাঁদেরকে ছেঁটে ফেলা হবে ৷ তৃণমূলের ঘর ভেঙে কর্মী-সদস্যরা BJP-তে যোগদান করছেন৷ সেটা রুখতেই এ ধরনের কাজ করছে তৃণমূল ৷ মানুষ আগমীদিনে এর জবাব দেবেন ৷ "

আজ দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হোটেলে BJP কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কমিটির নেতাদের নিয়ে চিন্তন শিবিরের আয়োজন করা হয় ৷ সেই শিবিরে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সামনেই দলের একাংশ কর্মী-সমর্থকরা পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হন ৷ জেলা সভাপতির পদ থেকে লক্ষ্মণ ঘোড়ুইকে সরানোর দাবি তোলা হয় ৷ দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বের সামনেই দলীয় কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় ৷ যদিও পরিস্থিতি সামাল দেন দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ৷

দুর্গাপুর, 11 অগাস্ট: তৃণমূল নেতাদের BJP-তে যোগদানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুরের গান্ধি ময়দানে ৷ তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদানকারীদের দলের নেতা করে দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলেই জনসভায় চেয়ার ছোড়েন BJP-র একাংশ কর্মী-সমর্থকরা ৷ এই ঘটনায় আহত হন সাত থেকে আট জন BJP কর্মী ৷

আজ দুপুরে গান্ধি ময়দানে একটি জনসভায় আসানসোলের বারবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের আত্মীয় মলয় উপাধ্যায় BJP-তে যোগদান করেন ৷ তাঁর হাতে BJP-র রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা BJP সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই দলীয় পতাকা তুলে দিতেই গোলমাল বাঁধে ৷ BJP কর্মীদের একাংশ চেয়ার ছুড়তে থাকেন ৷ তাঁদের অভিযোগ, মলয় উপাধ্যায়রা যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন BJP কর্মীদের অত্যাচার করতেন ৷ BJP-তে যোগদানের পরই তাঁদের দলের নেতা করে দেওয়া হচ্ছে ৷ এই অভিযোগেই চেয়ার ছোড়েন BJP কর্মী-সমর্থকদের একটা অংশ ৷ উত্তেজিত দলীয় কর্মীদের থামানোর চেষ্টা করেন লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের সমর্থকরা ৷ তখন দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ৷ ঘটনার পরই সভামঞ্চ ছেড়ে বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি-সহ অন্যান্য নেতারা চলে যান ৷

আরও পড়ুন: সমকাজে সমবেতনের দাবিতে বিক্ষোভ দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে

BJP-র রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সভা ভন্ডুল করতেই এসেছিলেন৷ আজকে যাঁরা বিশৃঙ্খলা করেছেন, তাঁরা আমাদের দলের কর্মী-সমর্থক নয় ৷ সবাইকেই অনলাইনে দলে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে ৷ সবার সদস্যপদ গ্রহণ করা হচ্ছে ৷ তারপর বাছাই হবে ৷ যাঁরা ভালো, তাঁরা দলে থাকবেন ৷ যাঁরা খারাপ তাঁদেরকে ছেঁটে ফেলা হবে ৷ তৃণমূলের ঘর ভেঙে কর্মী-সদস্যরা BJP-তে যোগদান করছেন৷ সেটা রুখতেই এ ধরনের কাজ করছে তৃণমূল ৷ মানুষ আগমীদিনে এর জবাব দেবেন ৷ "

আজ দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হোটেলে BJP কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কমিটির নেতাদের নিয়ে চিন্তন শিবিরের আয়োজন করা হয় ৷ সেই শিবিরে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সামনেই দলের একাংশ কর্মী-সমর্থকরা পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হন ৷ জেলা সভাপতির পদ থেকে লক্ষ্মণ ঘোড়ুইকে সরানোর দাবি তোলা হয় ৷ দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বের সামনেই দলীয় কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় ৷ যদিও পরিস্থিতি সামাল দেন দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ৷

Intro:আসানসোলের বারাবনির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এর এক আত্মীয় মলয় উপাধ্যায় কে দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়ে বিজেপির ডাকা জনসভায় বিজেপির পতাকা হাতে যোগদান করা নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড। চেয়ার ছোড়াছুড়ি তে প্রায় 7-8 জন বিজেপি কর্মী আহত। মাথা ফাটলো এক বিজেপি কর্মীর। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। দুই পক্ষের হাতাহাতি এবং বৃষ্টির জেরে ভেস্তে গেল জনসভা। মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয় বর্গী, অরবিন্দ মেনন,লকেট চট্টোপাধ্যায়রা মঞ্চের ধারে কাছেই এলেন না।

গতকাল এবং আজ দুর্গাপুরের সিটিসেন্টার এর একটি বেসরকারি হোটেলে বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য কমিটির নেতাদের নিয়ে চিন্তন শিবির আয়োজিত হল। আজ চিন্তন শিবিরের শেষে সিটিসেন্টারের গান্ধী ময়দানে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে সেই জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা কৈলাশ বিজয় বর্গী, অরবিন্দ মেনন, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, লকেট চ্যাটার্জি, সায়ন্তন বসু থেকে শুরু করে বিজেপির প্রায় সব রাজ্য নেতাদের। রবিবার চিন্তন শিবির শেষে বেসরকারি হোটেলের সামনে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের একাংশের নেতাকর্মীরা। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে লক্ষণ গোষ্ঠীর সাথে তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর হাতাহাতি বেঁধে যায়। কিন্তু সেখানে এই সংঘাত খুব বড় আকার ধারণ করেনি। তার আগে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার এর একটি বেসরকারি হোটেলে গেরুয়া শিবিরের দুই শ্রমিক সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে বৈঠক চলাকালীন মারামারি হয়। সেই ঘটনাতেও জখম হন দুজন বিজেপি কর্মী। এই সব কান্ড শেষে দুপুর তিনটে নাগাদ গান্ধী মোড়ে জনসভায় গিয়ে প্রথমে হাজির হন বিজেপির রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই সহ জেলা স্তরের বেশকিছু নেতা নেত্রীরা। প্রথমেই বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী বক্তব্য দেন।পরে তার হাত থেকে বিজেপি পতাকা ধরিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করানো হয় বেশ কিছু নেতাকর্মীদের। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বারাবনির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নিকট আত্মীয় মলয় উপাধ্যায়। তার হাতে সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী এবং লক্ষণ ঘোড়ুই গেরুয়া শিবিরের পতাকা তুলে দিতেই বেঁধে যায় ধুন্ধুমার কান্ড। আসানসোল থেকে আসা বিজেপি কর্মীরা চেয়ার ছুটতে শুরু করেন। এবং তারা অভিযোগ করেন এই মলয় উপাধ্যায় রা যখন তৃণমূলে ছিলেন তখন বিজেপি কর্মীরা তাদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছেন। আর আজ তাদেরকেই দলে এনে নেতা বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগেই এলোপাথাড়ি চেয়ার ছুটতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একটা বড় অংশ। তাদেরকে বাধা দিতে যান লক্ষণ গোষ্ঠীর বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এবং সভাস্থলের মাঠেই দুই পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। যা দেখে বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীরা মঞ্চ ছেড়ে চলে যান এবং মুষলধারে বৃষ্টি আসার কারণে সভা ভন্ডুল হয়ে যায়। গেরুয়া শিবিরের প্রকাশ্যে এই দ্বন্দ্ব তাদেরকে যে শিল্প শহরে অনেকটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিল তাঁর বলার অপেক্ষা রাখে না। চেয়ার ছোড়াছুড়ির কারণে আহত 7 -8 জন বিজেপি কর্মীকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।আজ দিনভর যেভাবে বিজেপি শিবিরের দ্বন্দ প্রকাশ্যে আসে তা দেখে নিজের প্রতিক্রিয়া দেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার টিএমসি সভাপতি জীতেন্দ্র তিওয়ারি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন এরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের ছিল। এরা সভা ভন্ডুল করার জন্য এসেছিল। আমরা অনলাইনে সবাইকে আমাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করছি। আমরা সদস্যপদ সবার গ্রহণ করছি। তারপর বাছাই হবে। যারা ভালো তারা থাকবেন। যারা খারাপ তাদের কে ছেঁটে ফেলা হবে। কিন্তু আজকের এই ঘটনায় যারা উৎশৃংখলতা করল তারা আমাদের দলের কেউ নয়। এই একই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটান পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপির সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই। তবে বিজেপি নেতারা যাই বলুন না কেন। আজ সকাল থেকেই দফায় দফায় সিটি সেন্টার জুড়ে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের যে ছবি ফুটে উঠল। তা কিন্তু পদ্ম শিবিরের পক্ষে মোটেও সুখকর নয়।Body:হConclusion:ব
Last Updated : Aug 11, 2019, 11:01 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.