আসানসোল, 15 জুন : আসানসোল পৌরনিগমের ফাইনান্স বিভাগের কর্মীদের গাফিলতিতে এক অস্থায়ী পৌরকর্মীর অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে দুটি বেতন ঢুকত । ওই পৌরকর্মীও 21 মাস ধরে "ডবল বেতন" পেলেও এতদিন বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানাননি পৌরনিগমে । সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হতেই তোলপাড় হয় (Asansol Municipal Worker Double Salary)। যদিও আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ওই পৌরকর্মীর বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না । মেয়রের দাবি, ওই পৌরকর্মী ক্যানসার আক্রান্ত । তাই মানবিক কারণে তাঁর উপরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না । উনি ইতিমধ্যেই প্রায় 50 শতাংশ টাকা ফেরত দিয়েছেন । আগামী আরও তিনটি কিস্তিতে বাকি টাকা ফেরত দেবেন ।
2020 সালে চুক্তিভিত্তিকভাবে শ্রীজিতা মিত্র নামে এক মহিলা আসানসোল পৌরনিগমে চাকরিতে নিযুক্ত হন । প্রথমে আসানসোল পৌরনিগমের মূল দফতরে এবং পরে রানিগঞ্জে বোরো অফিসে তিনি বদলি হয়ে যান । গত 21 মাস ধরে ওই পৌরকর্মী পৌরনিগমের ফিনান্স দফতরের গাফিলতিতে আসানসোল দফতর থেকে এবং রানিগঞ্জ দফতর থেকে দুটি বেতন পেয়ে আসছেন । অস্থায়ী কর্মী হিসেবে তাঁর বেতন 10 হাজার টাকা । অর্থাৎ তিনি 2 লক্ষ 10 হাজার টাকা অতিরিক্ত নিয়েছেন । কখনই পৌরনিগমকে বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন করেননি । সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয় । আর তারপরেই শোরগোল পড়ে । মেয়র বিধান উপাধ্যায় ওই পৌরকর্মীকে ডেকে পাঠান । তাঁকে টাকা ফেরত দিতে বলা হয় । ইতিমধ্যেই ওই পৌরকর্মী প্রায় 50 শতাংশ টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিধান উপাধ্যায় ।
আরও পড়ুন : রাত পোহালেই পাঁচ মেয়র পারিষদ পাবে আসানসোল, কটাক্ষ বিরোধীদের
তবে ওই পৌরকর্মী যেহেতু ক্যানসার আক্রান্ত, তাই তাঁর বিরুদ্ধে মানবিক কারণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না । পাশাপাশি যাদের গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে তাদের শোকজ করে সাবধান করা হয়েছে । যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে । যদিও বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন আসানসোল পৌরনিগমের কাউন্সিলর গুলাম সরোভর । তাঁর দাবি, চোর চুরি করে যদি চুরি যাওয়া সম্পত্তি ফেরৎ দিয়ে দেয় তাহলে কি চোরকে ক্ষমা করা যায়? এই বিষয়টি নিয়ে সঠিক তদন্ত করে যাদের গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন ছিল । সাসপেন্ড করা দরকার ছিল । না হলে আগামিদিনে পুরকর্মীরা এমনভাবেই গা ছাড়া দিয়ে কাজ করবে ।