আসানসোল, 23 সেপ্টেম্বর: ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি আসানসোলে । পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় তার জন্য এবার আসরে নেমেছে আসানসোল পৌরনিগম ৷ শুরু করেছে সাফাই অভিযান পর্ব ৷ প্রথমধাপে এলাকায় যে সমস্ত বন্ধ ঘর আছে সেগুলি খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পৌরনিগমের পক্ষ থেকে ৷ প্রয়োজনে পরিত্যক্ত ঘরগুলির জমা জল ও আবর্জনা পরিষ্কার করতে সেই ঘরগুলির তালাও ভাঙবে পৌরনিগম ৷
এই প্রসঙ্গেই আসানসোল পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিম উল হক বলেন, "আসানসোল পৌরনিগম এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি রয়েছে যেগুলি পরিত্যক্ত এবং তালা বন্ধ করে দেওয়া আছে । সেই বাড়িগুলিতে জল জমে থাকতে পরে ৷ এমনকী আবর্জনা ভর্তি থাকারও সম্ভাবনা আছে ৷ পুলিশের সহায়তা নিয়ে সেই বাড়িগুলির তালা ভাঙ্গা হবে। বিশেষ করে সংবেদনশীল ওয়ার্ডগুলিতে যে বাড়িগুলি বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে সেগুলি তালা ভেঙে সেগুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে ।"
আসানসোল পৌরনিগম অঞ্চলেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা । ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে । আসানসোল জেলা হাসপাতালে অন্ততপক্ষে 50 জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে । পুজোর আগেই ডেঙ্গি রোধ করতে চাইছে আসানসোল পৌরনিগম । ইতিমধ্যেই রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব বৈঠক করেছেন আসানসোল পৌরনিগমের পৌরকর্তাদের সঙ্গে । সেই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে 10 অক্টোবরের মধ্যেই ডেঙ্গিকে নির্মূল করতে হবে শহর থেকে । তার জন্য প্রয়োজনীয় যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তা দ্রুত করতে হবে ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ঠিক কত ? রাজ্য ও পৌরনিগমের দেওয়া তথ্যে বিভ্রান্তি
ইতিমধ্যেই আসানসোল পৌরনিগমের 13টি ওয়ার্ডকে অতি সংবেদনশীল বলে ঘোষণা করা হয়েছে ডেঙ্গির জন্য ৷ বিশেষভাবে এই 13টি ওয়ার্ডের উপর অভিযান চলছে । পাশাপাশি আসানসোল পৌরনিগম এলাকার বৃহৎ অংশে ইসকো কারখানা, ইসিএল ও রেলের আবাসন আছে ৷ সেই সমস্ত জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং জমা জল রোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা নেওয়া হবে বলে পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে ।