আসানসোল, 16 মার্চ: চাপের মাধ্যমেই সৃষ্টি হবে বিদ্যুৎ (Electricity from Pressure)। প্রয়োজন নেই কয়লা, রাসায়নিক কিমবা অন্য কোনও শক্তির । রাস্তায় যানবাহনের চলাচলের ফলে উৎপন্ন চাপ, এমনকী যেখানে প্রচুর মানুষ হাঁটেন, যেমন স্টেশন, শপিং মল এ সব জায়গায় মানুষের পায়ের চাপেও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব । অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই সত্যি । ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এই মডেল বড় আকারে স্টেশন, হাসপাতাল, শপিং মল-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োগ করা হলে বিনামূল্যে ও বিনা শক্তির অপচয়ে বিদ্যুৎ মিলবে । যা আবার দূষণমুক্ত রাখবে পৃথিবীকে ।
আসানসোল (Asansol News) ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রনিকস এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের 4 ছাত্রছাত্রী নীলাঞ্জন দত্ত, শুভঙ্কর রায়, স্বস্তিকা দাস, স্নিগ্ধা মাজি এই অভিনব মডেলটি বানিয়েছেন ।
কী এই মডেল ?
আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র নীলাঞ্জন দত্ত জানান, ''এই মডেলটি আসলে ফিজিয়ো ইলেকট্রিক মডেল । আমরা ছোট ক'রে এটা বানিয়েছি । এই মডেলে 15টি ফিজিয়ো ইলেকট্রিক প্লেট রয়েছে । যাতে চাপ পড়লেই এসি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে । এর সঙ্গে চারটি ডায়েড এবং একটি রেক্টিফায়ার দিয়ে বিদ্যুৎকে ডিসি কারেন্টে পরিণত করছি । যার ফলে ব্যাটারিতে এই বিদ্যুৎ জমা করে রাখা যাবে । পরবর্তীকালে সেই বিদ্যুৎ বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যাবে । আমাদের এই ছোট্ট পরীক্ষা লব্ধ মডেলেই আমরা 3.12 ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পেরেছি ।"
আরও পড়ুন: নয়া ভোটিং মেশিন বানিয়ে চমক আসানসোলের পাঁচ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার
আরেক ছাত্র শুভঙ্কর রায় জানান, "আমরা এখানে ফিজিয়ো সেন্সর ব্যবহার করেছি । বৃহত্তর ক্ষেত্রে ফিজিয়ো বার্জার ব্যবহার করতে পারি । যাতে অনেকটা চাপ নিতে পারবে । পাশাপাশি বেশি চাপে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ।"
ছাত্রী স্বস্তিকা দাস জানান, এই প্রজেক্টটি খুব কম খরচেই তৈরি হয়ে যায় । মাত্র 10 টাকা ফিজিয়ো ইলেকট্রিক প্লেট প্রতি খরচ হয়েছে । বড় ভাবে করলে আরও কমে আসবে খরচ । ফলে মধ্যবিত্তরাও এই প্রজেক্ট বাড়িতে ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানান তিনি ৷ আরেক ছাত্রী স্নিগ্ধা মাজি জানান, বিভিন্ন জায়গায় যেখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়, সেখানে এই মডেল ব্যবহার করলে প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব ।
ছাত্রছাত্রীদের দাবি, বিদেশে এই ধরনের প্রকল্প ইতিমধ্যেই হয়েছে । ভারতেও এমন প্রকল্প হলে প্রাকৃতিক শক্তির বদলে এই ভাবেও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব ।