দুর্গাপুর, 5 জুলাই: নেই স্থায়ী ঘর, তাই মৃত ব্যক্তির ইন্দিরা আবাস যোজনার পরিত্যক্ত ঘরে নোংরা আগাছাপূর্ণ পরিবেশেই চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । বিষাক্ত কীটপতঙ্গ আর সাপের আতঙ্কের মধ্যেই চলে রান্নাবান্না (Panicked Children and Pregnant Women are not Coming to School) । আতঙ্কের জেরে এখানে আসেই না পড়ুয়ারা । কোনওক্রমে অভিভাবকরা এসে পুষ্টিকর খাবার নিয়ে চলে যায় । কাঁকসার মলানদিঘির লোহারপাড়ার 320 নং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই অবস্থায় খুদেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন উঠছে প্রশ্ন । রয়েছে 10-12 জন পড়ুয়া এবং বেশ কিছু গর্ভবতী মহিলা ৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, 2010 সাল থেকে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি শুরু হয় এলাকারই মৃত এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত ইন্দিরা আবাস যোজনার টিনের একচিলতে ঘরেই । মলানদিঘি-রঘুনাথপুর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশেই অস্থায়ী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় খুদেদের পাঠায়ও না অভিভাবকরা । কয়েক বছর আগে ইন্দিরা আবাস যোজনার অস্থায়ী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির পাশেই 351 নং দাগে সরকারি জমি অধিগ্রহণ হয় । আশ্বাসও দেওয়া হয় নতুন করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গড়ার । কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও শুরু হয়নি কাজ ।
আরও পড়ুন : Snake Found in Khichdi : অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে সাপ ! অসুস্থ শিশু, প্রসূতি
ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা সুধারানী সাহা জানান, 2010 সালে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি শুরু হওয়ার সময় এই ঘরটিতে ছিল দরজা-জানলা, তখন ঠিকই ছিল । কিন্তু বর্তমানে দেওয়াল ভেঙে পড়েছে, টিনের চালও ফেটে গিয়েছে । নেই দরজা জানালা । ঝড়-বৃষ্টি হলে স্থানীয়দের ঘরেই রান্না করতে হয় । একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্বেও কোনও সুরাহা মিলছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন ।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, পাশেই জমি অধিগ্রহণ হওয়ার পরেও কেন এগিয়ে আসছে না প্রশাসন, কেন নিচ্ছে না কোনও ব্যবস্থা । কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখোপাধ্যায় জানান, গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলে স্থানীয়দের দাবি পাঠানো হয়েছে । কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন ।