ETV Bharat / state

দুবাইয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি, প্রতারণার প্রতিশোধ নিতেই অপহরণ ?

author img

By

Published : Nov 21, 2020, 7:36 PM IST

প্রতিশ্রুতি ছিল, চাকরির নূন্যতম সময়সীমা হবে দু'বছর । কিন্তু দুবাইয়ে গিয়ে মাত্র দেড় মাস পরে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় দেশে ফিরতে হয় অর্ঘ্যকে । এরপর থেকেই আশিসবাবুকে টাকা ফেরতের বিষয়টি নিয়ে বারবার চাপ দিতে থাকে অর্ঘ্য ।

Asansol crime news
প্রতারণার প্রতিশোধে অপহরণ

আসানসোল, 21 নভেম্বর : দু'নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে তখন শনশন গাড়ি চলছে । বিকেল হয়ে আসছে । আকাশে গোলাপি আভাল ধরেছে । আসানসোল জুবিলী মোড়ে একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায় । ভিতর থেকে নেমে আসেন ঝাড়খন্ডের ধানবাদের বাসিন্দা আশিসকুমার সিনহা । সামনে দাঁড় করানো ছিল একটি টাটা সুমো । সেই গাড়ির সামনে জনা চারেক যুবক । আশিসবাবুর এগিয়ে যান তাদের দিকে । কিছুক্ষন পরে বচসা শুরু হয় । হঠাৎ আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ওই যুবকরা আশিসবাবুকে টাটা সুমোতে তুলে নেয় । ঝড়ের গতিতে চোখের নিমেষে দুর্গাপুরের দিকে হারিয়ে যায় টাটা সুমোটি । গাড়িতে বসে হতভম্ভ আশিসবাবুর অসুস্থ বাবা-মা । বাবা-মায়ের চিকিৎসার জন্যেই তিনি আসানসোলে আসছিলেন ডাক্তারের কাছে । দ্রুত উপস্থিত বুদ্ধি কাজ করে প্রবীন দম্পতির । গাড়ি নিয়ে সোজা আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ি । গোটা ঘটনার বিবরণ দেন । ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ করেন । সক্রিয় ভূমিকা নেয় পুলিশও । দ্রুত সব থানায় খবর পোঁছে যায় । দু'নম্বর জাতীয় সড়কে বুদবুদের কাছে পুলিশ সুমোটিকে ধরে ফেলে । অপহৃত আশিসকুমার সিনহাকে উদ্ধার করে বুদবুদ থানার পুলিশ । সুমোর চালক-সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় । একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ।

গতকাল আসানসোল আদালতে চার যুবককে তোলা হয় । বর্তমানে তারা 14 দিনের জেল হেপাজতে আছে । ধৃত চার যুবকের নাম অর্ঘ্য দাস, রাজকুমার দাস বৈরাগ্য, বিষ্ণু দাস এবং শেখ মুজিবর রহমান । অর্ঘ্য দাসের বাড়ি কলকাতার লেকটাউনে । বাকি তিনজন পূর্ব বর্ধমানের লেকটাউনের বাসিন্দা । রাজকুমার অর্ঘ্যর নিকট আত্মীয় । বিষ্ণু রাজকুমারের বন্ধু এবং শেখ মুজিবর গাড়ির চালক ।

কী বলছেন ধৃত অর্ঘ্য দাসের বাবা ?

যে কোনও ঘটনার পিছনে একটি মোটিভ কাজ করে । এক্ষেত্রে ঘটনার মোটিভ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, আশিসকুমার সিনহার কাছে প্রতারিত হয়েছিলেন অর্ঘ্য দাস । অর্ঘ্যর পরিবার এমনই দাবি করেছে ।

সূত্রের খবর, আশিসবাবু চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিতেন । সেইভাবে অর্ঘ্যকে দুবাইয়ে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । অর্ঘ্য চাকরি পেয়ে দুবাই যায় । তার পরিবর্তে আশিসকুমার সিনহাকে 1 লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে অর্ঘ্যের বাবা মৃত্যুঞ্জয় দাস দাবি করেন । প্রতিশ্রুতি ছিল, চাকরির নূন্যতম সময়সীমা হবে দু'বছর । কিন্তু দুবাইয়ে গিয়ে মাত্র দেড় মাস পরে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় দেশে ফিরতে হয় অর্ঘ্যকে । এরপর থেকেই আশিসবাবুকে টাকা ফেরতের বিষয়টি নিয়ে বারবার চাপ দিতে থাকে অর্ঘ্য ।

অর্ঘ্যর বাবা মৃত্যুঞ্জয় দাস জানান, বৃহস্পতিবার টাকা দিতে ডাকে আশিস । আসানসোলের জুবিলী মোড়ের কাছে আশিসবাবু অর্ঘ্যকে ডেকেছিলেন টাকার জন্য । সেই মত নিজের মামার ছেলে রাজকুমার, তার দুই বন্ধু ও গাড়িচালককে নিয়ে আসানসোল পৌঁছায় । কিন্তু তারপর এমন কী ঘটে যে কারণে অর্ঘ্যরা আশিসবাবুকে গাড়িতে তুলে নেয়, সেটা এখনও অজানা । যদিও মৃত্যুঞ্জয়বাবুর দাবি, তাঁর ছেলেকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে ।

যদিও পুলিশের অনুমান, প্রতারণার শিকার হয়েছিল অর্ঘ্য । আর সেই প্রতিশোধ নিতেই, টাকা ফেরত না পেয়ে আশিসকুমার সিনহাকে অপহরণ করেছিল সে ।

আসানসোল, 21 নভেম্বর : দু'নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে তখন শনশন গাড়ি চলছে । বিকেল হয়ে আসছে । আকাশে গোলাপি আভাল ধরেছে । আসানসোল জুবিলী মোড়ে একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায় । ভিতর থেকে নেমে আসেন ঝাড়খন্ডের ধানবাদের বাসিন্দা আশিসকুমার সিনহা । সামনে দাঁড় করানো ছিল একটি টাটা সুমো । সেই গাড়ির সামনে জনা চারেক যুবক । আশিসবাবুর এগিয়ে যান তাদের দিকে । কিছুক্ষন পরে বচসা শুরু হয় । হঠাৎ আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ওই যুবকরা আশিসবাবুকে টাটা সুমোতে তুলে নেয় । ঝড়ের গতিতে চোখের নিমেষে দুর্গাপুরের দিকে হারিয়ে যায় টাটা সুমোটি । গাড়িতে বসে হতভম্ভ আশিসবাবুর অসুস্থ বাবা-মা । বাবা-মায়ের চিকিৎসার জন্যেই তিনি আসানসোলে আসছিলেন ডাক্তারের কাছে । দ্রুত উপস্থিত বুদ্ধি কাজ করে প্রবীন দম্পতির । গাড়ি নিয়ে সোজা আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ি । গোটা ঘটনার বিবরণ দেন । ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ করেন । সক্রিয় ভূমিকা নেয় পুলিশও । দ্রুত সব থানায় খবর পোঁছে যায় । দু'নম্বর জাতীয় সড়কে বুদবুদের কাছে পুলিশ সুমোটিকে ধরে ফেলে । অপহৃত আশিসকুমার সিনহাকে উদ্ধার করে বুদবুদ থানার পুলিশ । সুমোর চালক-সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় । একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ।

গতকাল আসানসোল আদালতে চার যুবককে তোলা হয় । বর্তমানে তারা 14 দিনের জেল হেপাজতে আছে । ধৃত চার যুবকের নাম অর্ঘ্য দাস, রাজকুমার দাস বৈরাগ্য, বিষ্ণু দাস এবং শেখ মুজিবর রহমান । অর্ঘ্য দাসের বাড়ি কলকাতার লেকটাউনে । বাকি তিনজন পূর্ব বর্ধমানের লেকটাউনের বাসিন্দা । রাজকুমার অর্ঘ্যর নিকট আত্মীয় । বিষ্ণু রাজকুমারের বন্ধু এবং শেখ মুজিবর গাড়ির চালক ।

কী বলছেন ধৃত অর্ঘ্য দাসের বাবা ?

যে কোনও ঘটনার পিছনে একটি মোটিভ কাজ করে । এক্ষেত্রে ঘটনার মোটিভ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, আশিসকুমার সিনহার কাছে প্রতারিত হয়েছিলেন অর্ঘ্য দাস । অর্ঘ্যর পরিবার এমনই দাবি করেছে ।

সূত্রের খবর, আশিসবাবু চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিতেন । সেইভাবে অর্ঘ্যকে দুবাইয়ে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । অর্ঘ্য চাকরি পেয়ে দুবাই যায় । তার পরিবর্তে আশিসকুমার সিনহাকে 1 লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে অর্ঘ্যের বাবা মৃত্যুঞ্জয় দাস দাবি করেন । প্রতিশ্রুতি ছিল, চাকরির নূন্যতম সময়সীমা হবে দু'বছর । কিন্তু দুবাইয়ে গিয়ে মাত্র দেড় মাস পরে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় দেশে ফিরতে হয় অর্ঘ্যকে । এরপর থেকেই আশিসবাবুকে টাকা ফেরতের বিষয়টি নিয়ে বারবার চাপ দিতে থাকে অর্ঘ্য ।

অর্ঘ্যর বাবা মৃত্যুঞ্জয় দাস জানান, বৃহস্পতিবার টাকা দিতে ডাকে আশিস । আসানসোলের জুবিলী মোড়ের কাছে আশিসবাবু অর্ঘ্যকে ডেকেছিলেন টাকার জন্য । সেই মত নিজের মামার ছেলে রাজকুমার, তার দুই বন্ধু ও গাড়িচালককে নিয়ে আসানসোল পৌঁছায় । কিন্তু তারপর এমন কী ঘটে যে কারণে অর্ঘ্যরা আশিসবাবুকে গাড়িতে তুলে নেয়, সেটা এখনও অজানা । যদিও মৃত্যুঞ্জয়বাবুর দাবি, তাঁর ছেলেকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে ।

যদিও পুলিশের অনুমান, প্রতারণার শিকার হয়েছিল অর্ঘ্য । আর সেই প্রতিশোধ নিতেই, টাকা ফেরত না পেয়ে আশিসকুমার সিনহাকে অপহরণ করেছিল সে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.