আগরতলা, 18 জুন : মুকুল রায় (Mukul Roy) বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগদান করার পর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে ত্রিপুরার (Tripura) রাজনীতি ৷ ওই রাজ্যের বিজেপিতে বেশ কয়েকজন মুকুল অনুগামী রয়েছেন ৷ তাই রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, সেখানে বিজেপিতে ভাঙন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ৷
যদিও দলের অন্দরে কোনও মতবিরোধ নেই বলে শুক্রবার দাবি করেছেন ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি মানিক সাহা ৷ তাঁর দাবি, দলের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই ৷ বরং দলের ভালর জন্য সবাই একসঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত ৷
আরও পড়ুন : মুকুলের পথে ঘরে ফিরে সুদীপ কি ত্রিপুয়ায় তৃণমূলের সুদিন ফেরাবেন ?
একই সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, যে যদি দলের মধ্যে কোনও বিরোধ হয়ে থাকে, তবে আলোচনা করেই মিটিয়ে ফেলা হবে ৷ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে একই কথা বলেছেন বিজেপির নেতা সুদীপ রায়বর্মনও ৷ তিনিও জানিয়েছে যে, কোনও সমস্যা থাকলে তা দলের মধ্যেই মিটিয়ে নেওয়া হবে ৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার রাজনীতিতে মুকুল রায়ের প্রভাব নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তার কেন্দ্রে রয়েছেন এই সুদীপ রায়বর্মন ৷ কারণ, তিনিই ওই রাজ্যে মুকুল রায়ের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ৷ তিনি ছিলেন কংগ্রেসে ৷ মুকুল রায়ের হাত ধরেই 2016 সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন ৷ তার পর 2017 সালে যোগ দেন বিজেপিতে ৷ তখন মুকুল রায়ও বিজেপিতে ৷
আরও পড়ুন : ত্রিপুরায় এবার খেলা হবে, বাঁধা হল গান
সম্প্রতি মুকুল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৷ আর তার পর থেকেই আলোচনায় সুদীপ রায়বর্মন ৷ তিনি সঙ্গীসাথীদের নিয়ে গেরুয়া শিবির ছাড়তে পারেন বলে আলোচনা চলছে ৷ যদিও এই সবই মিথ্যে বলে দাবি করেছেন তিনি ৷
এদিকে ত্রিপুরায় সাংগঠনিক আলোচনার জন্য গিয়েছিলেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ এবং ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফণীন্দ্রনাথ শর্মা ৷ তাঁরা দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি মানিক সাহার দাবি, ওই বৈঠকে সবাই একসঙ্গে লড়াই করার অঙ্গীকার করেছেন ৷
আরও পড়ুন : ত্রিপুরায় 92 শতাংশ সাংবাদিকের ভ্যাকসিনেশন করাল আগরতলা প্রেস ক্লাব
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরায় বিজেপি ঐক্যবদ্ধ থাকে, নাকি তৃণমূল বিজেপির ঘর ভাঙায়, এখন সেটাই দেখার ৷