শান্তিপুর, 14 ফেব্রুয়ারি: রামায়ণ রচনা করেছিলেন কবি কৃত্তিবাস (Krittibas Ojha's birthplace needs care) ৷ এখনও তাঁর জন্মদিন পালন করেন এলাকাবাসী ৷ কিন্তু চূড়ান্ত অবহেলায় পড়ে রয়েছে তাঁর জন্মভিটে । লাইব্রেরি আছে, কিন্তু বই পড়ার মানুষ নেই । পর্যটকদের জন্য নেই কোনও থাকার ব্যবস্থা । রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার উভয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।
নদিয়ার (Nadia news) শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় জন্মেছিলেন কবি কৃত্তিবাস (Writer of Ramayana Krittibas Ojha)। জানা যায়, সেখানেই তিনি রামায়ণ রচনা করেছিলেন । একটি বটগাছের তলায় বসে তিনি তাল পাতার উপর মহাকাব্য লিখেছেন বলে জানা যায় । তাঁর মৃত্যুর পর কবি কৃত্তিবাসের স্মৃতি রক্ষার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । তারাই কোনও রকমে রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে কবি কৃত্তিবাসের জন্মভিটের । তাঁর জন্মের সময় নিয়ে বিভিন্ন অভিমত থাকলেও শ্রীপঞ্চমী মাঘ মাসে তাঁর জন্ম জয়ন্তী উৎসব পালন করা হয় । তবে চূড়ান্ত অবহেলার মধ্যে রয়েছে কবির স্মৃতি বিজড়িত জন্মভিটে ।
কবি কৃত্তিবাসের নামে যে গ্রন্থাগার রয়েছে, সেখানে তাঁর সম্পর্কিত নানা ভাষায় বই রাখা আছে । কিন্তু বই পড়ার মতো কোনও পাঠক নেই । শুধু তাই নয়, ওই গ্রন্থাগারে নির্দিষ্ট কোনও গ্রন্থাগারিকও নেই । সেই কারণেই পর্যটকরা এলে তাঁদের চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় । শুধু তাই নয়, পর্যটকদের জন্য নেই কোনও থাকার ব্যবস্থা । সেই কারণেই পর্যটক আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: কৃত্তিবাসের লেখা আসল পুঁথি নেই জন্মস্থানের লাইব্রেরিতে
কৃত্তিবাসের নিজের হাতে লেখা যে আসল পুঁথি, সেটিও জানা যায় ফ্রান্সের কোনও অডিটরিয়ামে রয়েছে । স্মৃতি রক্ষা কমিটিতে নদিয়া জেলা প্রশাসনের পদাধিকারী এবং জনপ্রতিনিধিরা থাকলেও তাঁদের বিশেষ কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না ৷ সেই কারণেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । তাঁরা চাইছেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার যৌথভাবে কৃত্তিবাসের জন্মভিটে এবং তাঁর স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলির উন্নতি ঘটাক এবং পর্যটকদের জন্য সুব্যবস্থা করা হোক । কৃত্তিবাসের আসল পুঁথিটি যাতে ফ্রান্স থেকে নিয়ে এসে তাঁর জন্মভিটের অডিটোরিয়ামে রাখা যায়, সরকার তারও ব্যবস্থা করুক, চাইছেন স্থানীয়রা ৷
যদিও এ বিষয়ে শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেছেন, "দুদিন আগেই আমি কৃত্তিবাসের আসল পুঁথিটির বিষয়ে জানতে পেরেছি । এটা তো শুধু বিধায়কের একার কাজ নয়, উচ্চতর নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব, যতটা করা সম্ভব চেষ্টা করব যাতে কিছু ব্যবস্থা করা যায় ।"
আরও পড়ুন: নেই স্থায়ী লাইব্রেরিয়ান, বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় ফুলিয়ার কৃত্তিবাস লাইব্রেরি